×

সাহিত্য

মঞ্চে ‘হ্যামলেট’ ও ‘মাইকেল মধুসূদন’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০১৯, ১২:২২ পিএম

মঞ্চে ‘হ্যামলেট’ ও ‘মাইকেল মধুসূদন’
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রবাদ প্রতিম পুরুষ মাইকেল মধুসূদন দত্ত। এই মহান সাহিত্যিকের শেষ জীবনের কাহিনী অবলম্বনে বিশেষ প্রযোজনা মঞ্চে এনেছে বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্য সংগঠন প্রাঙ্গণেমোর। প্রযোজনাটির নাম ‘মাইকেল মধুসূদন’। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৬তম মৃত্যুদিন উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডের মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির মঞ্চস্থ হয়। ‘মাইকেল মধুসূদন’ নাটকটি রচনা করেছেন তরুণ নাট্যকার অপূর্ব কুমার কুন্ডু, নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। অবশ্য এর আগে নাটকটি ‘দাঁড়াও জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নামেই উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয় ২০১৭ সালে ২৬ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে নাটকটির ৭টি প্রদর্শনীও সম্পন্ন হয়েছে। তবে নাট্যকার ও নির্দেশকের যৌথ সিদ্ধান্তে গতকাল ২৯ এপ্রিল মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৬তম মৃত্যুদিন থেকে নাটকটির নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘মাইকেল মধুসূদন’ নামে মঞ্চস্থ হলো। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন দুপুর ২টায় আলিপুর দাতব্য হাসপাতালে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মারা যান। মৃত্যুর আগে এক ঘণ্টায় মহাকবির মনোজগতের ভাবনার টানাপোড়েন নিয়ে প্রাঙ্গণেমোরের ১২তম প্রযোজনা ‘মাইকেল মধুসূদন’। সব কাজের বিষয়ে হেনরিয়েটাকে জানালেও এফিটাফ তথা শোকগাঁথা রচনার বিষয়ে মধুসূদন কেন হেনরিয়েটাকে জানাল না সেই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করা হয়েছে নাটকটিতে। প্রাসঙ্গিকভাবে চরিত্র হিসেবে উপস্থিত হয় হেনরিয়েটা, বিদ্যাসাগর এবং স্বয়ং মাইকেল মধুসূদন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, শুভেচ্ছা রহমান ও আল-আভী জাহান তুসি। এ ছাড়া নাটকটির মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেন নূনা আফরোজ, সঙ্গীত পরিকল্পনা করেন রামিজ রাজু ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আহমেদ সুজন। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোরের নন্দিত প্রযোজনা মাইকেল মধুসূদন দত্তকে নিয়ে রচিত ‘মাইকেল মধুসূদন’। শিল্পকলায় হ্যামলেট : উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কালজয়ী নাটক হ্যামলেট। কিংবদন্তি এই ব্রিটিশ কবি ও নাট্যকারের মৃত্যুর ৪০০ বছর পরও দর্শককে উদ্দীপ্ত করে তার রচিত এ নাটকের কাহিনী। পিতৃহত্যার প্রতিশোধের নেশায় মত্ত ডেনিশ যুবরাজ হ্যামলেট। অভিযুক্ত চাচাকে হত্যার সুযোগ পেয়েও হত্যা করে না। কেন? ক্লডিয়াস ওই সময়টায় প্রার্থনারত ছিলেন বলে? এ রকম অনেক প্রশ্নেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভিড় করে হ্যামলেটের মনে। সৈয়দ শামসুল হক অনূদিত শেক্সপিয়রের হ্যামলেট নাটকটি মঞ্চে এনেছে শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগ। হ্যামলেটের নির্দেশনা দিয়েছেন আতাউর রহমান। উইলিয়াম শেক্সপিয়র রচিত হ্যামলেট বিশ্ববাসীর অতিপরিচিত একটি বিয়োগান্তক নাটক। এই নাটকে ডেনমার্কের যুবরাজ হ্যামলেটের জীবনযুদ্ধের দ্বন্দ্ব ও সংকটময় রূপ চিত্রিত হয়েছে, যা কাহিনীবিন্যাস ও মর্মকথায় হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। ৪০০ বছর ধরে এই নাটকটি বিশ্বের অগণিত দেশে বিরতিহীনভাবে মঞ্চে অভিনীত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও এর আগে অনেকবার হয়েছে। গতকাল জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটি মঞ্চস্থ হলো। নতুন করে অনুবাদ করা হলেও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক কাহিনীবিন্যাস ও মূল গল্পের মর্মকথায় কোনো ব্যত্যয় ঘটাননি। নাটকটি দেখে মনে হয়েছে, শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ যেন হয়ে ওঠে এই বাংলার ‘হ্যামলেট’ তথা বাংলাদেশের ‘হ্যামলেট’। কাহিনীর কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে সৈয়দ হক গ্রথিত করেছেন বাঙালি কবিদের কাব্যাংশ ও গান। পাশাপাশি এসেছে বাংলার নিজস্ব লোকজ পালাগানেরও নানা আঙ্গিক। নৃত্যেও সচেতনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এ দেশীয় নৃত্য আঙ্গিক ও ভাবনা। অভিনয় করেছেন আমিনুর রহমান, শামীম শেখ, ফারজানা কামাল, মাসউদ সুমন, শফিকুল ইসলাম, শামীম সাগর, বাপ্পি আমীন, তৃপ্তি রানী মণ্ডল, মেরিনা মিতু প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App