×

অর্থনীতি

বাজেট পাস আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০১৯, ১১:৩৬ এএম

বড় কোনো সংশোধনী ছাড়াই অর্থবিল-২০১৯ জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার উপস্থিতিতে কণ্ঠভোটে এ বিল পাস করা হয়। প্রস্তাবিত অর্থবিলে কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনী আনতে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড় কোনো সংশোধনী ছাড়াই গতকাল সংসদে অর্থবিল-২০১৯ পাস হয়ে যায়। আজ রবিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাস করবে জাতীয় সংসদ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। এরপর থেকে বাজেটের ওপর ২৭০ জন এমপি ও মন্ত্রী বক্তব্য পেশ করেন এবং বাজেটের নানা বিষয়ে আলোচনা- সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বাজেটের ওপর বক্তব্যের পরে সংসদে সমাপনী বক্তব্য রাখেন অসুস্থ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় সংসদে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অসুস্থতার কারণে তিনি বসে তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অর্থবিল উত্থাপনের অনুরোধ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থবিল উত্থাপন করলে অর্থ বিলের সংশোধনীর ওপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। এরপর বিলটি পাসের জন্য সংসদে ভোটে দেয়া হয়। সদস্যদের স্থিরিকৃত আকারে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস করা হয়। এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান এবং অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তবে অর্থ বিল পাসের আগে বিভিন্ন দফায় সংশোধনীর প্রস্তাব করেন বিরোধী দলের সদস্যরা। তারা বিলটিকে জন মত যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন। এদের মধ্যে ছিলেন, জাপার মো. ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, পীর ফজলুর রহমান, জাপার মুজিবুল হক চুন্নু, জাপার মশিউর রহমান রাঙ্গা, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা, শামীন হায়দার পাটোয়ারী এবং সরকারি দলের সাবেক চিপ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামন সরকার, এমপি ইসরাফিল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান, এমপি আব্দুস শহীদ ১০২ দফার ওপর সংশোধনী দেন। মাত্র কয়েকটি শব্দ, ভাষা ও আইনগত সংশোধনী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করলেও জনমত যাচাইয়ের বিষয়টি এবং অন্য সংশোধনীগুলো তিনি নাকচ করে দেন। তবে সঞ্চয় পত্রের ওপর উৎসে কর না কমিয়ে, বিদ্যুতের সংযোগের ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক না করে এবং আরো কয়েকটি দাবি জানানো হলেও তা গ্রহণ না করেই অর্থ বিল পাস হয়। অর্থ বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয় ‘এই বিলের উদ্দেশ্য হলো- ২০১৯ সালের ১ জুলাই তারিখে শুরু অর্থবছরের জন্য আর্থিক বিধান করা এবং কতিপয় আইন সংশোধন করা’। অর্থবিলের সংশোধনীসমূহ: প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের (অর্থবিলের) কয়েকটি বিষয়ে ব্যবসায়ী, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যে পরিমাণ স্টক ডিভিডেন্ট প্রদান করবেন, একই পরিমাণ নগদ ডিভিডেন্ট দেবেন। এ ক্ষেত্রে স্টক ডিভিডেন্টের পরিমাণ নগদ ডিভিডেন্টের চেয়ে বেশি দেয়া হয় সে ক্ষেত্রে সব স্টক ডিভিডেন্টের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর করা প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ১৫ শতাংশ করার হয়েছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App