×

অর্থনীতি

পরিবার পরিকল্পনায় বরাদ্দ বাড়ল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ০১:২৩ পিএম

এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। আজকের উন্নয়নের পেছনে ভূমিকা রেখেছে, এমন কয়েকটি খাতের উল্লেখযোগ্য একটি হলো পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম। বর্তমান সরকার পরিবার পরিকল্পনা খাতে বেশ জোর দিচ্ছে। এ জন্য প্রতি বছরই বাজেটে এ খাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়। যদিও এ কার্যক্রম বর্তমানে সমালোচনার সম্মুখীন, স্থবির হয়ে আছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। সম্প্রতি সংসদে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। নতুন অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনায় সরকার বেশি নজর দিচ্ছেন। আগামী অর্থবছরে আগের তুলায় বরাদ্দ বেশি বলে সরকারের মহল থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে এ বরাদ্দ অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য খাতের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালন ব্যয় ১০ হাজার ৭ কোটি ও উন্নয়ন ব্যয় ৯ হাজার ৯৩৬ কোটি এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৫৭ কোটি এবং উন্নয়ন ব্যয় ধারা হয়েছে ২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। আসন্ন অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির ১.০২ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ৫.৬৩ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান ২০১৮-১৯ অর্থবছরের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট ছিল ২২ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই প্রস্তাব করেন। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে চিকিৎসা খাতে ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার বরাদ্দ মোটেও যথেষ্ট নয়। আর পরিবার পরিকল্পনা খাতে আরো অনেক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব। পরিবার পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ আগের তুলনায় বাড়ছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক সামান্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেভাবেই বলি, পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণের যে তিনটা শব্দ পাচ্ছে তাতে কিন্তু একটা জায়গাতেই নির্ধারিত হয়ে আছে। নতুন ডায়মেনশনে নতুন লোকবল দিয়ে নতুন বিনিয়োগ করলে হয়তো এর সফলতা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বর্তমান ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে, আপাতত একটা জায়গায় এটা দাঁড়িয়ে আছে। সে জায়গাটা হচ্ছে, আমি কিন্তু ২.৩ এর নিচে আর নামছি না। কিন্তু আমরা তো যেতে চাই রিপ্লেসমেন্টে। আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে রিপ্লেসমেন্ট। সে হিসেবে আমাদের এই খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে নতুন উদ্যোগে কাজ করা উচিত। দেশের একাধিক অঞ্চলের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সত্তরের মাঝামাঝি ও আশির শুরুতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম পরিচালনা বেশ চ্যালেঞ্জ হলেও এ কাজে ছিল তখন বেশ গতিময়তা। ফলে সাফল্যও পায় বাংলাদেশ। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের স্বর্ণযুগ বলা যায় আশির দশককে। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনার উপরে আগের তুলনায় বেশি জোড় দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন সরকার। সরকারি তথ্য মতে, সঠিক পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেক মাতৃমৃত্যু কমে আসবে। বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৭২ জনে নেমে এসেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে বলেছেন, সরকার পরিবার পরিকল্পনা খাতে বেশি জোর দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন মানে সবার উন্নয়ন। এ জন্য সরকার পরিবার পরিকল্পনা খাতে বেশি জোর দিয়েছে। এ খাতে বরাদ্দও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App