×

মুক্তচিন্তা

সত্তর পেরিয়ে একাত্তরে আওয়ামী লীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০১৯, ০৭:২৮ পিএম

আওয়ামী লীগের একদিকে যেমন ৭০ বছর পূর্ণ হওয়ার গৌরব অন্যদিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে একাত্তরতম বছরটি কীভাবে ঢেলে সাজানো যায় সেটি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা উচিত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে ওপরে নেতাকর্মীদের কর্মপ্রণালি হাতে নিতে হবে। তাহলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি এই বাস্তবতায় জনগণের কাছে নতুন করে উদ্ভাসিত হতে পারে।

২৩ জুন ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ বছর দলটির ৭০ বছর পূর্ণ হলো। দলটি প্রতিষ্ঠাকালে জানান দিয়েছিল এটি পূর্ববাংলার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। দলটিতে যারা হাল ধরেছিলেন তাদের অনেকেরই পূর্ববাংলার জনগণের অধিকারের বিষয়ে রাজনৈতিক ধারণা তখন একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় তৈরি হচ্ছিল। মাত্র কয়েক বছর আগেই এদের বেশিরভাগই পূর্ববাংলাকে পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পেতে আগ্রহী ছিল। দ্বিধাদ্বন্দ্বের বিষয়টি ছিল মানসিক এবং অংশত রাজনৈতিকও। কেননা ৪০-এর দশকের দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রচারণা এ অঞ্চলের মানুষকে ক্লাসিক্যাল ধারার রাজনৈতিক বোধ থেকে অনেকটাই সরিয়ে নিয়েছিল, বিশ্বাসে জায়গা করে নিয়েছিল সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি। এমন ভাবাদর্শে বিভাজিত হয়েছিল ভারতবর্ষের তৎকালীন রাজনীতিবিদ থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত প্রায় সবাই। সে কারণে তলিয়ে দেখা হয়নি কৃত্রিম ভাবাদর্শের পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ভৌগোলিকভাবেও কৃত্রিম এবং দ্বিখণ্ডিত। এর জোড়া লাগার রাজনীতি আদতেই কার্যকর হবে কিনা? ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটো আলাদা রাষ্ট্র জন্ম নিল, ব্রিটিশরা চলে গেল। কিন্তু অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই পূর্ববাংলায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে যে চাপিয়ে দেয়া রাজনীতি শুরু হয়েছিল তা সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকল না। ফলে পূর্ববাংলায় একটি স্বাতন্ত্রিক চিন্তাধারার বোধ থেকে অনেকেই প্রতিবাদ শুরু করলেন, কিছু কিছু সংগঠন গড়ে তুললেন, আন্দোলন সংগ্রামের ভাষা রাস্তায় দেখা গেল, এমনকি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উপস্থিতিতেও প্রতিবাদ করা হলো। এখান থেকেই পূর্ববাংলার অগ্রসর চিন্তাধারার মানুষদের রাজনৈতিক নতুন দলের বাস্তবতা দেখা গেল। সেখান থেকেই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হলো। দলটি অচিরেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হলো। আবার এই দলের বার্তাটি সাধারণ মানুষের কাছে চলে যেতে থাকল। ১৯৫৪-এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল ৩ জাতীয় নেতাদের নেতৃত্বে- যেখানে আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি, স্পষ্ট, দৃঢ় এবং পূর্ববাংলার জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপোষহীন দল হিসেবে। এই দলে তখন অনেকেই নেতৃত্ব প্রদান করলেও তরুণ নেতা শেখ মুজিব অনেকেরই দৃষ্টিতে সাহসী, মেধাবী, দৃঢ়চেতা এবং একজন ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানকারী নেতা হিসেবে দৃষ্টি কেড়ে নেন। পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে কোণঠাসা করার নীতি ও কৌশলে অগ্রসর হয়েছিল। শেখ মুজিবকে বারবার জেলে নেয়া হচ্ছিল। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজের অবস্থান আরো বেশি পরিষ্কার করেছিল। এর অল্প কিছুকাল পরই মৌলানা ভাষানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি তৈরি করেন। পূর্ববাংলায় তখন রাজনীতির এই বিভাজনটি প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষদের বিভক্ত করেছে। ১৯৫০ এবং ১৯৬০-এর দশকে বিশ্ব রাজনীতিতে বেশকিছু পরাশক্তির বিভাজনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটেছিল। সেটি আমাদের এখানেও কমবেশি প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে ৬০-এর দশকের মাঝামাঝিতে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসন, অর্থনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বৈষম্যমূলক অবস্থানকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেন তার ঐতিহাসিক ছয় দফাতে। ছয় দফা মূলতই পূর্ববাংলার মানুষের একটি রাজনৈতিক দলিল যা ক্রমেই এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। নানা বিভ্রান্তি তখন আওয়ামী লীগের যেমন ছিল, আওয়ামী লীগের বাইরের প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও ছিল। পাকিস্তানের অন্ধত্ব থেকে তখন অনেকেই মুক্ত হতে পারেনি। সে কারণেই তাদের কাছে ছয় দফা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু শেখ মুজিব তার উত্থাপিত ছয় দফার রাজনীতিকে ছড়িয়ে দিতে চাইলেন পূর্ববাংলার সাধারণ মানুষের কাছে। তখনই তার ওপর নেমে আসে অত্যাচার নির্যাতন ও জেল-জুলুমের নতুন নতুন ষড়যন্ত্র। পাকিস্তান সরকার সেই সুযোগে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় জড়িয়ে নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়া হয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই। সূচিত হলো গণঅভ্যুত্থান। মুক্ত হলেন শেখ মুজিব, আবির্ভূত হলেন বঙ্গবন্ধু তথা পূর্ববাংলার প্রিয় নেতা হিসেবে। এখান থেকে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনকে ছাপিয়ে চলে গেলেন। জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধুই হলেন তখন একমাত্র নেতা যিনি পূর্ববাংলার জনগণের অধিকার আদায়ে সবকিছু করতে পারেন। ততদিনে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে আওয়ামী লীগে একগুচ্ছ মেধাবী, যোগ্য, দেশপ্রেমিক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণকারী নেতার সমাবেশ ঘটেছিল। এই রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিয়েই বঙ্গবন্ধু ১৯৭০-এর নির্বাচনে জনগণের অবিসংবাদিত নেতারূপে সমর্থন লাভ করে নিলেন। এই সমর্থনই তাকে পূর্ববাংলাকে নিয়ে যে কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আইনগত বৈধতা প্রদান করে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সরকার যখন তার হাতে পাকিস্তানের ক্ষমতা না দেয়ার ষড়যন্ত্র একের পর এক আঁটতে শুরু করে তখন বঙ্গবন্ধুও তার বিপরীত রাষ্ট্রচিন্তা, পরিকল্পনা ও জনসচেতনতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেখান থেকেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণই পরিষ্কার বলে দেয় পূর্ববাংলার জনগণের সম্মুখে লড়াই তথা মুক্তিযুদ্ধ, যার বিজয় আসবে স্বাধীন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নিয়ে। এরপর পাকিস্তানের সামরিক শক্তি পূর্ববাংলার জনগণের চাওয়া পাওয়াকে বুলেট, কামান, হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ, ইত্যাদি দিয়ে স্তব্ধ করে দিতে চাইল। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত স্বাধীনতা তার রেখে যাওয়া নেতারা একটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করলেন। এই কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের। কারণ জনগণ তখন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের ওই ঐতিহাসিক ভূমিকার কোনো তুলনাই হতে পারে না। সহকর্মীরা মানুষের সব চাওয়া-পাওয়াকে ধারণ করতে পেরেছিলেন। এই নেতৃত্বই মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার সব ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। এত প্রতিকূলতা ও ক্ষয়ক্ষতিকে হাসিমুখে বরণ করার নজির পৃথিবীতে আর নেই। আওয়ামী লীগ সেই কাজটি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিল। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে, আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয় নিশান দেশে ও বিদেশে পতপত করে উড়তে থাকে। সদ্য স্বাধীন দেশটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিরে এলেন। তিনি একটি বৈষ্যমহীন, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হতে পারত। বিষয়টি বুঝতে পেরেই ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রকারী শক্তি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সামরিক-বেসামরিক, আমলা, ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী। আওয়ামী লীগের ওপর নেমে আসে চরম বিপর্যয়। জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত চারনেতাকে হত্যা করা হল। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন। সেখান থেকে আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন নতুনভাবে ঘটতে থাকে। নানা আন্দোলন সংগ্রামের ভেতর দিয়ে শেখ হাসিনা দলকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত করতে থাকেন। তবে দেশের অভ্যন্তরে স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং নানা সুবিধাবাদী ও বিভ্রান্তবাদী গোষ্ঠী রাজনীতিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার সুযোগ পায়। শেখ হাসিনা সেবারই প্রমাণ করেন যে সাম্প্রদায়িকতা নয় বরং গণতন্ত্রের আদর্শে মানুষকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আওয়ামী লীগ অব্যাহত রাখবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছিল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। এটি ছিল আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার পরিকল্পনা। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। আওয়ামী লীগ গত ১১ বছরে দেশ শাসনে যে বড় ধরনের রূপকল্প বাস্তবায়ন করে চলছে সেটি অভূতপূর্ব। নানা সীমাবদ্ধতার পরও বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর রাজনীতি অনেকটাই কোণঠাসা। আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে সরকারে অধিষ্ঠিত হওয়ায় রাজনীতির এই পরিবর্তনটা এখন দৃশ্যমান ও অনস্বীকার্য। আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন বাস্তবতায় উঠে এসেছে। দলের রাজনৈতিক আদর্শের ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা প্রায়োগিকতাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ও মানুষের চাওয়া-পাওয়ার বাস্তবতার নিরিখে অবশ্যই করণীয় বিষয় ছিল। শেখ হাসিনা সে কাজটি ১৯৯৬-এর পর থেকে বিবর্তনবাদী একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যথার্থভাবেই উপলব্ধি করেছেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে দলকে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা প্রমাণ করতে পেরেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত রাজনীতি এবং রাষ্ট্রগঠনের কার্যক্রম খুব দৃঢ়চিত্তেই এগিয়ে নিতে সক্ষম হচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কতদিন তা পারবেন? তা ছাড়া আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা পরবর্তী দায়িত্ব পালনে কতটা প্রস্তুত তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। বাংলাদেশের বাস্তবতা এমন রূঢ় যে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু বিরোধীরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র রাজনীতি থেকে তার নামই শুধু নয়, তার আদর্শের সব দিকই উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল, বিকৃত করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকা, আওয়ামী লীগের ভূমিকা এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ইতিহাসও। এই অপশক্তিটি মোটেও নিঃশেষিত হয়ে যায়নি। ঘাপটি মেরে বসে আছে সর্বত্র। আওয়ামী লীগ এসব প্রতিকূলতাকে কীভাবে মোকাবেলা করবে, কীভাবে নিজেদের রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত করবে, নেতাকর্মীদের মধ্যে আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা বর্তমান বাস্তবতায় কীভাবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে সেই বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি কী? এসব এখন ভাববার বিষয়। এ বছরটি আওয়ামী লীগের একদিকে যেমন ৭০ বছর পূর্ণ হওয়ার গৌরব অন্যদিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে একাত্তরতম বছরটি কীভাবে ঢেলে সাজানো যায় সেটি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা উচিত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে ওপরে নেতাকর্মীদের কর্মপ্রণালি হাতে নিতে হবে। তাহলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি এই বাস্তবতায় জনগণের কাছে নতুন করে উদ্ভাসিত হতে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App