বন্ড সুবিধার আওতায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০১৯, ০২:৩৭ পিএম
রপ্তানির উদ্দেশে যারা স্বর্ণ আমদানি করবেন তাদের বন্ড সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। গতকাল রবিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে তিনদিনব্যাপী ‘স্বর্ণ মেলা’র উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।
এনবিআর সদস্য (আয়কর) কানন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালাসহ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও রাজস্ব কর্মকর্তারা। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের মতো যারা স্বর্ণের কাঁচামাল রপ্তানির উদ্দেশে আমদানি করবে তাদের বন্ড সুবিধা দেয়া হবে। যারা বন্ড সুবিধা পাবেন তাদের আমদানি করা সব স্বর্ণ রপ্তানি করতে হবে। বন্ড সুবিধায় আনা স্বর্ণ খোলাবাজারে বিক্রি করা যাবে না।
সাধারণ মানুষ বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে বিদেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করতে পারবে না বলে জানান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা নিতে বলেছি। আর এ লাইসেন্স তিন বছর পরপর নবায়নের জন্য এক লাখ টাকা নেয়ার কথা এনবিআর থেকে বলা হয়েছে। এটিই চ‚ড়ান্ত হবে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীরা জড়িত নন। চোরাচালানে একটি বিশেষ গোষ্ঠী রয়েছে। যারা এখন আর সুবিধা করতে পারবেন না। কানন কুমার রায় বলেন, এসআরও ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের এসআরও হবে কিনা তা আমি জানি না। তাই এ সময় অপ্রদর্শিত স্বর্ণ ঘেষণা দিয়ে বৈধ করবেন। আর এ সুযোগ নিয়ে যারা স্বর্ণ বৈধ করবেন না তাদের জন্য ভালো কোনো বার্তা আমরা দিতে পারব না।
গতকাল ২৩ জুন শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামীকাল ২৫ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় প্রতি ভরি ডায়মন্ড ৬ হাজার টাকা, স্বর্ণ এক হাজার টাকা ও রুপার জন্য ৫০ টাকা কর প্রদান করে অবৈধ সোনা, রুপা, ডায়মন্ড বৈধ করার সুযোগ রয়েছে।