×

বিনোদন

সঙ্গীত মানুষের হৃদয়কে জাগ্রত করুক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম

সঙ্গীত মানুষের হৃদয়কে জাগ্রত করুক
ফরাসি ভাষায় ‘ফেট ডে লা মিউজিক’ এবং বাংলায় বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। প্রতি বছর ২১ জুন পালিত হয় দিবসটি। বহু বছর ধরে এই দিনে ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ফ্রান্স। ১৯৮২ সালে ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং সর্বপ্রথম বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। ১৯৮৫ সালের ২১ জুন ইউরোপ এবং পরে সারা বিশ্বে এই সঙ্গীত দিবস পালন শুরু হয়। সঙ্গীতচর্চা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের কয়েকজন গুণী শিল্পী

অযোগ্যদের হাতে সঙ্গীতের ফিউশন কখনোই নিরাপদ নয়: মিতা হক,  রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী

গান একটা সাউন্ড, যা একজন মানুষ কানে শুনে এবং হৃদয়ে অনুভব করে। গান শুনে নিজের মতো করে চিন্তা করে। কল্পনা সাজায়। শ্রোতা গান শুনে তার মতো করে দৃশ্যকল্প তৈরি করে। এটা একটা আবেগের জায়গা, যা মানুষের কল্পনার জগৎকে সুন্দর করে। এখন তো মিউজিক ভিডিওর নামে বিজ্ঞাপন তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো আসলে গান নয়। ভিডিও চিত্র নির্মাণের জন্য তো সিনেমার মতো বড় শিল্প মাধ্যম আছেই। গানকে কেন বিকৃত করা হয় অযোগ্যদের হাতে সঙ্গীতের ফিউশন কখনোই নিরাপদ নয়। এখন নবীনরা তো শিল্পী হওয়ার আগে তারকা হয়ে যায়। তাদের শিল্পী হওয়ার ধৈর্য কম। কোনো কিছু সাধনার মাধ্যমে অর্জন করতে হয় এটা তারা বুঝতে চায় না। দুটো গান শিখেই তারা মিউজিক ভিডিও তৈরি করে। কণ্ঠ সাধনার চাইতে নিজেকে ক্যামেরার সামনে দেখাতেই বেশি পরিশ্রম করে।

ইউটিউব এক বিশাল ভাণ্ডারের খোঁজ দিয়েছে : লীনা তাপসী খান, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সঙ্গীত বিভাগ

এখন সঙ্গীত বিষয়ে উচ্চতর পড়ালেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সঙ্গীত নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা আমার কাছে ভীষণ ইতিবাচক মনে হয়। আবার বিশ্বায়নের অস্থিরতা সঙ্গীতাঙ্গনেও প্রভাব তৈরি করেছে। এখন অনলাইনে গান প্রকাশ হচ্ছে। এটি তেমন নেতিবাচক কিছু নয় বলেই আমি মনে করি, বরং অনেকাংশে ইতিবাচক। ইউটিউব আছে বলেই কিন্তু সবাই দেশের বাইরের গণ্ডিটা ছুঁতে পারছে সহজেই। নিজের দেশের সঙ্গে বাইরের দেশের সঙ্গীতও শোনার সুযোগ হয়েছে। তবে হ্যাঁ, এটা সত্য যে অনেক আনাড়ি শিল্পীদের বা যারা শখের বশে গান করেন, তাদের গানও ইউটিউবে আছে। সে ক্ষেত্রে গান বাছাই করার একটা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ইউটিউব এক বিশাল ভাণ্ডারের খোঁজ দিয়েছে, যেখান থেকে ইচ্ছামতো গান শোনা যায়। ইউটিউবের নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক দিকটাই বেশি।

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং একটি ‘মঠ’ যাকে ভাঙা বা বিচ্যুত করা যায় না : অণিমা রায় শিক্ষক, জবি, সঙ্গীত বিভাগ

শুদ্ধসঙ্গীতের গুরুত্বটা অনেক বেশি। সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল-কলেজে এই চর্চা ছড়িয়ে দেয়াটা জরুরি। যতই মোহে আচ্ছন্ন থাকি না কেন শেকড়ের কাছে যেতেই হবে, নয়তো গাছ উপড়ে পড়বে। শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চা এ ক্ষেত্রে বড় ভ‚মিকা রাখে। এখন অনলাইনে গান প্রকাশ হচ্ছে। এই বিষয়টিকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি। আবার অযোগ্যদের হাতে রবীন্দ্র সঙ্গীতের ফিউশন দেখে একটু মন খারাপও হয়। এর প্রধান কারণ হলো রবীন্দ্রনাথকে না জানা, না বোঝা, না পড়া। আজকাল রবীন্দ্রনাথের কোনো গান ভালো লাগলে তা নিয়ে ফিউশন করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তারা জানে না রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং একটি ‘মঠ’ যাকে ভাঙা বা বিচ্যুত করা যায় না। এটাকে অজ্ঞতাই বলব।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App