×

পুরনো খবর

আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে ‘জয়তুন বিবির পালা’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০১৯, ১২:৩৮ পিএম

আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে ‘জয়তুন বিবির পালা’
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের তৃতীয় দিনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হলো বাংলাদেশের অন্বেষা থিয়েটারের নাটক ‘জয়তুন বিবির পালা’। এর রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী। নাটকের কাহিনীজুড়ে দেখা যায়, চন্দ্রদিঘলিয়া রাজ্যের বাদশাহ সোনাফর দেওয়ান। প্রজাপরায়ণ রাজা হওয়ার কারণে তার রাজ্যে প্রজাদের মধ্যে সুখ শান্তি ছিল বিরাজমান। শুধু শান্তি ছিল না সোনাফর বাদশাহর মনে। কারণ বাদশাহর বেগম বেশ কিছুদিন যাবত কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। এই অবস্থায় একদিন বেগম রাজাকে কাছে ডেকে নিয়ে ওয়াদা করান, তার মৃত্যুর পর যেন রাজা আর দ্বিতীয় বিয়ে না করেন। রানীর আশঙ্কা হয় তাদের একমাত্র রাজপুত্র হয়তো সৎমায়ের দ্বারা অত্যাচারিত হতে পারে। ঠিকই এর কিছুদিন পর রানী মারা যায়। রাজপুত্র শিশু গহরচান মায়ের শোকে কাতর হয়ে নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে রাজমহল জুড়ে ঘুরে বেড়ায় আর মা মা করে চোখের জল ঝরায়। রাজপুত্র গহরচানের এই অবস্থা দেখে মায়ের অভাব পূরণের জন্য রাজা আরেকটি বিয়ে করে। কিন্তু সৎমা কোনোভাবেই গহরচানকে মেনে নিতে পারে না। সে তার বোনের পরামর্শে রাজার অনুপস্থিতিতে রাজজল্লাদকে সোনা দানার লোভ দেখিয়ে শিখিয়ে দেয় গহরচানকে যেন বনে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। রাজ জল্লাদ ছোট রানীর কথা মতো রাজপুত্রকে হত্যা করার জন্য গভীর বনে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে রাজপুত্র গহরচানের ওপর জল্লাদের মায়া জন্ম হয়। সে রাজপুত্র কে হত্যা না করে জঙ্গলে ফেলে রেখে রাজপ্রাসাদে ফেরার সময় এক পশুকে হত্যা করে তার রক্ত তলোয়ারে লাগিয়ে ছোট রানীকে দেখায় যে রাজপুত্র গহরচানকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই দিকে জঙ্গলে রাজপুত্র গহরচানকে পায় এক কাঠুরিয়া। সে গহরচানের মুখে সমস্ত কথা শুনে তাকে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। গহরচানকে কাঠুরিয়ার পুত্রের পরিচয়েই বড় করতে থাকে। এভাবেই এগিয়ে যায় কাহিনী। জয়তুন বিবির কলাকুশলীরা হলেন শুভ, তুষার, শ্রাবন, মনির, ফয়সাল প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App