তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে যতদিন ক্ষমতায় দেখতে চায়, যতদিন তারা সমর্থন জানাবেন ততদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’ হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ মানে সংগ্রামের নাম, আওয়ামী লীগ মানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নাম, আওয়ামী লীগ মানে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের নাম। আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের যখন জন্ম হয়েছিল তখন রাজনীতি ছিল ড্রয়িং রুম ভিত্তিক। সেই রাজনীতিকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে এসেছিল আওয়ামী লীগ। ৭০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ এখন গণমানুষের একটি প্রিয় দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা উল্লেখ করে নতুন প্রজন্মকে এ দলটির ইতিহাস পড়া এবং বিশ্লে¬ষণ করার আহবান জানান। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উদ্ধৃতি দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, মালয়েশিয়ায় যে দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে দল ৫৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। এখনো তারা ক্ষমতায় আছে। একইভাবে যে দলের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর স্বাধীন হয়েছিল সেই দল ৪০ বছর ক্ষমতায় ছিল। এখনো তারা রাষ্ট্রক্ষমতায়। তিনি বলেন, কাজেই দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন, পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের অব্যাহতভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা উচিত। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ দেশ অনেক আগেই সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে পরিণত হতো। ‘কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা তা চায়নি। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু না থাকলে দেশ থেমে যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তা হতে দেননি। তিনি বাংলাদেশকে অনুন্নত থেকে স্বল্পোন্নত দেশে নিয়ে গেছেন।’ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাবাদী ও সুযোগসন্ধানীদের চিহ্নিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘সবাই এখন আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। সবাইকে নৌকায় নেয়ার দরকার নেই। নৌকায় যাত্রী বেশি হলে সে নৌকা ডুবে যায়। কাজেই আমরা নৌকায় বেশি যাত্রী আর নিবো না।’ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের আচরণে যাতে সাধারণ জনগণ কষ্ট না পায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। এসময় নেতাকর্মীদের তিনি আরও বেশি বিনয়ী, গণমুখী হওয়ার আহ্বান জানান। বাসস