×

মুক্তচিন্তা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০১৯, ০৯:০২ পিএম

গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুম এলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিস মশার বিস্তার ঘটছে। এই মশার কামড়ে প্রতিদিনই শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শনিবার ভোরের কাগজে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০৭ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন।

রাজধানীতে নতুন করে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দেয়ায় নগরবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। কারণ ডেঙ্গু জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আইইডিসিআরের তথ্য মতে, সাধারণত জুন-জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার থাকে।

তবে জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত পরিস্থিতি বেশি খারাপ থাকে। সাধারণত মশক নিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব এবং মানুষের অসচেতনতাই ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য দায়ী। হঠাৎ থেমে থেমে স্বল্পমেয়াদি বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশি মাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা পায়। ফলে এডিস মশার বিস্তারও ঘটে বেশি। এ মশা যত বেশি হবে ডেঙ্গুর হারও তত বাড়বে। উৎস বন্ধ না করতে পারলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি থেকেই যাবে।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই বাড়ছে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৮৭৭ জন আর মারা গেছে ১১ জন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৭৬৯ জন ও ৮ জন। ২০১৬ সালে ৬ হাজার ৬০ জন ও ১৪ জন এবং ২০১৫ সালে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ১৬২ জন, আর মারা যায় ৬ জন। এ বছর এমন অবস্থা আমরা দেখতে চাই না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বর্ষা ঋতু দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাই সারাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তারও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বৃষ্টি যদি এভাবে থেমে থেমে চলতে থাকে তাহলে এডিস মশার ঘনত্ব আরো বাড়বে। কাজেই দেরি না করেই আমাদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রথমত, সবখানে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এডিস নিধন এবং এডিসের বংশ বিস্তার রোধে জোরদার অভিযান পরিচালনা করবেন এ প্রত্যাশা নগরবাসীর। এ ছাড়া ডেঙ্গুর প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি, ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করা, ডেঙ্গু হলে করণীয় সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করাও দরকার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App