বাবার চোখে হাজার তারা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯, ০৩:২৪ পিএম
সবাই বলেন আমার বাবা চলে গেছেন অনেক দূরে,
কেউ জানে না প্রতিদিনই তিনি আসেন ঘুরে-ঘুরে।
বাবার বুকে বিশাল বাড়ি সেই বাড়িতে আমি থাকি,
সেই বাড়িতে বসে-বসে আমি মায়ের ছবি আঁকি।
এই ছবিটা আঁকতে গিয়ে দোয়েল পাখির ডানা কাঁপে
ঘাসে লুকায় হলুদ ফড়িং ভর দুপুরে রৌদ্রতাপে।
দোয়েল হয়ে ফড়িং হয়ে আমার যখন জীবনযাপন,
সামনে দেখি বাবা আমার সবচে কাছের, সবচে আপন।
তখন আমার বাবার চোখে হাজার তারার ঝিকিমিকি,
এই সুযোগে আমি বসে আঁকার খাতায় পদ্য লিখি।
আঁকতে-আঁকতে লিখতে-লিখতে খাতার পাতা কবে যে শেষ
বাবা-ই দেখান যতœ করে তুই এঁকেছিস সোনার স্বদেশ।
শেষে আমি বাবার বুকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি,
মাটির সোঁদা গন্ধ নিতে ধুলোতে যাই গড়াগড়ি।
দেশটা আমার হাতে দিয়ে বাবা গেলেন আকাশ পাড়ে,
সময় সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে আসেন বারেবারে।
একটি প্রমাণ দিচ্ছি শোনো আমার যখন বিপদ আসে,
বাবা তখন বাবার মতো টিক এসে যান আমার পাশে।
আমি যখন পাগলপারা অন্ধকারে পথ হারিয়ে
নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দেন তিনি তার হাত বাড়িয়ে।
নেই কোনো ভয় আমার; কারণ, হাত রেখেছি বাবার হাতে,
তিনি হলেন পথের দিশা তাই তো আছেন আমার সাথে।