তুমি অতঃপর আমি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯, ০৩:২১ পিএম
স্থির দণ্ডায়মান মধ্য দুপুরের সোনা রোদ্দুর ওগো,
প্রিয়তম বন্ধু আমার।
সহস্র মৃত্যুকে পেরিয়ে এসে
আমি তোমার নির্দিষ্ট সেই নদীতীর আর নীড় হতে চেয়েছিলাম।
তোমার হাতে হাত রেখে
অনিরুদ্ধ অনাবিল শোভন জীবনে পদার্পণ করেই বুঝতে পারলাম
ভুল মন্ত্র পাঠ করেছিলে তুমি।
বুদ্ধের সে অহিংস ভাষা!
আর তাই কোনো জন্মেই মুক্তি নেই তোমার
ফিরে আসতেই হবে।
যদি ভেবে থাকো কতই না সৌভাগ্যবান তুমি!
মানববন্ধনে আমার পাশে দাঁড়ানোর দায় হতে মুক্তি দিলো তোমায় আজরাইল ফেরেস্তা!
তবে নিশ্চিত জেনে রাখো,
সে ধারণাও তোমার ভুল।
সোনা রোদ হয়ে পার্বতীর ছায়ায় তুমি ছিলে রুদ্র।
নিজস্ব অবস্থান থেকে নড়োনি তো একচুল!
কেউ দেখেনি, কেবল আমি অনুভব করেছি।
কবিরা এমনি হয়, মৃত্যুর সাধ্য কোথায় স্পর্শ করে তাদের?
ফিরে আসতেই হয়।
তোমার আমার অন্তমিলে খুঁজে দেখো,
অভিন্ন কিছু নেই, সত্য কেবল হিরক উজ্জ্বল শক্তি অক্ষয়।
তুমি ধারণাও করতে পারবে না,
কেবল তোমারই ভুল মন্ত্রে বিশ্বাস করে
কত শতবার আমি আকাশের ঠিকানায় শখের ঘুরির সুতো কেটে দিয়েছি,
লেখা ছিল তাতে মৃত্যু থামাও।
আকাশ ভরা ছাই
চিঠি ভুল ঠিকানায় উড়ে গেছে তাই,
জবাবে তার মাছেদের মতো ফুলে ফেপে ভেসে আসে আমাদের যৌথ শিশুর লাশ
ফিরে আসে খুনি আর হায়েনার উল্লাস...
(উৎসর্গ- প্রিয় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহকে, রুদ্র হলো সমুদ্রের মতো, যে সেখান থেকে কেবল এক অঞ্জলি পানি গ্রহণ করবে তার কাছে সমুদ্র নোনা মনে হবে। আর যে ওখানে ডুব দিতে পারবে, কেবল সেই মুক্ত দানা খুঁজে পাবে।)