×

খেলা

আলো দেখাচ্ছে কার্ডিফে জয়ের সুখস্মৃতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০১৯, ১১:০৩ এএম

২০০৫ সালের ১৮ জুন কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সে দিন এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দিয়েছিল হাবিবুল বাশার সুমনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। মোহাম্মদ আশরাফুলের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেইডেন, গ্লেন ম্যাকগ্রাথের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা। আজ ইংল্যান্ডের মাটিতে আরো একবার অজিদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এবারের ভেন্যু নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়াম। ওই ম্যাচটি ছিল ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের। আর আজকের ম্যাচটি দ্বাদশ বিশ্বকাপের। নটিংহ্যামে আজ ১৪ বছর আগের কার্ডিফের স্মৃতি ফিরিয়ে আনুক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল, এমনটিই প্রত্যাশা। আমি জানি, এই প্রত্যাশা কেবল আমার একার নয়। এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের। টাইগারদের কাছে এমন প্রত্যাশা করাটা কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্সই এমন প্রত্যাশা করার সাহস জোগিয়েছে সবার মনে। আর আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, নিজেদের সামর্থ্যরে সেরাটা দিতে পারলে অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়াকে হারানো মোটেই অসম্ভব হবে না আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য। সাকিব ভাই দারুণ ছন্দে আছেন। তামিম ভাই রানে ফিরেছেন। মাশরাফি ভাই উইকেট না পেলেও উইন্ডিজের বিপক্ষে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। আর লিটন সুযোগ পেয়ে যেভাবে কাজে লাগিয়েছে সেটার প্রশংসা না করলেই নয়। মোস্তাফিজও ফর্মে আছে। আর সাইফউদ্দিনও নিয়মিত উইকেট পাচ্ছে। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে এসবই আমাদের জন্য স্বস্তির কারণ। সাকিব ভাইয়ের কাছে প্রত্যাশাটা অনেক বেশি। আমি চাই তিনি যেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে ছন্দ ধরে রাখতে পারেন। আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্পিন বেশ ভালো খেলে। এটা অজিদের খুব ভালো করেই জানা আছে। তাই কন্ডিশন ও উইকেটের আচরণ বিবেচনা করে পেসনির্ভর বোলিং অ্যাটাক সাজাবে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডে ও উইন্ডিজের বিপক্ষে বড় স্কোর গড়ে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ইতোমধ্যেই প্রমাণ দিয়েছে যে, তারা যে কোনো পেসারকে সামলাতে সক্ষম। ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে মার্কাস স্টোনিসের না খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মিচেল স্টার্ক, নাথান কাল্টার নাইল ও প্যাট কামিন্সকে নিয়েই নিজেদের পেস আক্রমণ সাজাবে অ্যারন ফিঞ্চবাহিনী। আমার মনে হয় না যে, কামিন্স ও কাল্টার নাইল অতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারবে। কারণ তারা মূলত গতির ওপর নির্ভর করেই বল করে। তাদের বলে সুইং একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু মিচেল স্টার্কের কথা আলাদা। তার বলে যেমন গতি রয়েছে তেমনি আছে সুইং। তাকে সামলানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। স্টার্ক যেহেতু শুরুর দিকে বল করে তাই তামিম ভাই এবং সৌম্যকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী, তবে অজেয় নয়। তাদের হারানো সম্ভব। ফিঞ্চের দল এবারের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হেরেছে। এমন না যে তারা সুযোগ দেবে না। তারা অবশ্যই সুযোগ দেবে। প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও বাড়তি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। এই জায়গাটাতে অজিরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। দেখা যাবে একটি দুর্দান্ত ক্যাচ কিংবা রান আউটের মাধ্যমে ম্যাচের মোড় নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছে তারা। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে আমাদের ক্রিকেটারদের। আশা করি, জমজমাট এক লড়াই হবে এবং শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতব। আর সেমির পথে এগিয়ে যাব আরো একধাপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App