×

অর্থনীতি

আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম

আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি
বিগত বছরের মতো এবারও আশা ভঙ্গ হয়েছে পোল্ট্রি খামারি ও উদ্যোক্তাদের। পোল্ট্রি ফিডের অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল ‘ভুট্টা’ আমদানিতে অগ্রিম আয়কর এবং ‘সয়াবিন অয়েল কেক’-এর ওপর থেকে রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার না হওয়ায় এবং সব ধরনের পণ্য আমদানিতে নতুনভাবে আগাম কর (এ টি) আরোপ হওয়ায় চরম হতাশা এখন পোল্ট্রি শিল্পে। গতকাল বুধবার ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব) এবং ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে তারা হতাশা ব্যক্ত করেন ও পোল্ট্রি ফিডের অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিআব সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান, ব্রিডার্স এসোসিয়েশনের (বিএবি) সভাপতি রকিবুর রহমান টুটুল, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান প্রমুখ। ফিআব সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, সয়াবিন অয়েল কেকের ওপর আরোপিত ৫% রেগুলেটরি ডিউটি; কটন সিড ও পাম নাটসের ওপর থেকে ৫% সিডি ও ৫% এটিভি; এবং ভুট্টার ওপর থেকে ৫% এআইটি প্রত্যাহারই ছিল এবারের অন্যতম দাবি। আশা করা হয়েছিল এ দাবি পূরণ হলে পোল্ট্রি ফিড এবং সেই সঙ্গে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, সয়াবিন অয়েল কেক আমদানিতে আরডি এবং ভুট্টা আমদানিতে এআইটি বহাল রাখা হয়েছে; পাম নাটস বা কারনেল এবং কটন সিডের ওপর থেকে কাস্টমস শুল্ক তুলে নিয়ে নতুন করে ৫% হারে রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করা হয়েছে। এহতেশাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ফিডের উপকরণ হিসেবে যে তিনটি উপকরণে কর ও শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে [১. অ্যামোনিয়া বাইন্ডার, ২. লিভার প্রটেকটর, রেনাল প্রটেকটর, রেসপিরেটরি প্রটেকটর এবং ৩. ভ্যাকসিন স্ট্যাবিলাইজার (থিওসাফফেট)] সেগুলোর সঙ্গে ফিড ইন্ডাস্ট্রির কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে কার্যত তেমন কোনো সুফল আসবে না। তবে বিদ্যমান সুবিধাদি বহাল রাখা এবং রাইস ব্রানের রপ্তানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবে সন্তোষ প্রকাশ করেন মো. আহসানুজ্জামান। একই সঙ্গে ডি-অয়েলড রাইস ব্রানের (ডিওআরবি) ওপরও সমহারে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি। বিএবি সভাপতি রকিবুর রহমান টুটুল বলেন, পোল্ট্রি খাত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কারণে হ্রাসকৃত অর্থ সমন্বয়েরও কোনো সুযোগ নেই। তাই এ বিধান প্রযোজ্য হলে একদিন বয়সী জিপি/পিএস বাচ্চা, যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বিপিআইসিসি সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর থেকেই ‘পোল্ট্রি ফিডের দাম কমবে’ বলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে, এতে সাধারণ খামারিরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। গত ১৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে ‘পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পে’ অর্থ বরাদ্দ দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান মসিউর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App