×

জাতীয়

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯, ০৬:২৯ এএম

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ও শেষ ধাপে দেশের ২০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে একটানা ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১২টা) ১১টি উপজেলার প্রাপ্ত ফলাফলে ৭টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এছাড়া একটিতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী এবং বাকিগুলোতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। এদিকে, আগের চার ধাপের মতো এ ধাপেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। এবারের নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই, জালভোট দেয়া, কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম লুটপাট, প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নির্বাচনে গাজীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এ ছাড়া শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাংগা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, মাদারীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, রাজশাহীর পবা, নেত্রকোনার পূর্বধলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে জোর করে ভোট দেয়ার অভিযোগ উঠে। বুথের মধ্যেই সরকারদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন তালুকদারের লোকজন নৌকায় ভোট দিতে কয়েকজনের ওপর বলপ্রয়োগ করেন। ভোটাররা ব্যালট পেপার তাদের কাছে ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় বাড়ি ফেরার পথে কেন্দ্রের মধ্যেই পুলিশের সামনেই জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাড. রেজাউল করিম ভুট্টু, খায়রুল আলম ও জহুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক মারপিট এবং কুপিয়ে জখম করা হয়। গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে না পারা, এজেন্টদের মারধর, ভয়ভীতি দেখানো ও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন বয়কট করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইজাদুর রহমান মিলন। হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বিরামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে নৌকায় জোর করে ভোট, জালভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আহমদ খান। নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং করে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এতেও সাড়া মেলেনি ভোটারদের। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২০ থেকে ৫০টি করে ভোট পড়েছে। এ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ রশিদ। ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএমের যন্ত্রাংশ লুটের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের একটি কেন্দ্রে প্রায় এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। প্রসঙ্গত, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট হয় গত ১০ মার্চ। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ ও চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ হয়। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এই ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বর্জন করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App