×

খেলা

গতি জয় করতে জানে মাশরাফি বাহিনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯, ০১:২৪ পিএম

গতি জয় করতে জানে মাশরাফি বাহিনী
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য কি উত্তরটা সবারই জানা। সেমিফাইনালে খেলা। দ্বাদশ বিশ্বকাপে অংশ নিতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগেই এ কথা জানিয়েছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। লক্ষ্য পূরণের পথে এখন বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ের কারণে। শেষ চারে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের পরের বাধা অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া মানেই গতির ঝড়। অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন দলটিতে আছেন বেশ কয়েকজন অসাধারণ পেসার। অনেকেই মনে করছেন আগামী ম্যাচে মাঠে নামার আগে স্টিভ রোডসের শিষ্যদের ভাবাচ্ছে অজিদের শক্তিশালী পেস অ্যাটাক। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের নিয়ে মোটেই আতঙ্কিত নন তারা। সাকিব-লিটনের কথায় অবশ্য যুক্তি আছে। বাংলাদেশ দল যে গতিকে জয় করতে জানে তার প্রমাণ দ্বাদশ বিশ্বকাপে ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের কথাই ধরা যাক, ওই ম্যাচে উইকেটের গতিময়তা ও সুইংকে কাজে লাগিয়ে ক্যারিবীয়দের ৩২১ রানে আটকে রাখেন মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিন। ছোট মাঠে এই লক্ষ্য মোটেই বড় নয়। তবুও শঙ্কা ছিল টাইগার ভক্তদের মনে। কারণ জেসন হোল্ডারের দলে রয়েছেন বেশ কয়েকজন দ্রুতগতির বোলার। তবে ওশানে থমাস, আন্দ্রে রাসেল, শেলডন কটরেল ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের গতি হেসে খেলেই মোকাবেলা করেছেন সাকিব-লিটন। উইন্ডিজ পেসারদের গতিকে পরোয়া না করে ২২ গজে রান উৎসবে মেতে সহজেই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলে আছেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও নাথান কাল্টার নাইলের মতো পেসার। এরা প্রত্যেকেই নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার বেগে বল করতে পারেন। যা টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য চিন্তার বিষয় বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু টাইগারদের উইন্ডিজ বধের দুই নায়ক সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস তা মানতে নারাজ। এই দুজন স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন যে অজিদের শক্তিশালী পেস অ্যাটাক নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। উইন্ডিজের পেসাররা মিচেল স্টার্ক, কাল্টার নাইল ও কামিন্সের চেয়েও দ্রুতগতিতে বল করেন। ক্যারিবীয় পেসারদের সামলানো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য যে স্টার্ক-কামিন্সদের মোকাবেলা করতে কোনো সমস্যা হবে না সেটা বলাই যায়। ইংল্যান্ড মানেই পেসবান্ধব উইকেটে গতির ঝড়। উইকেটের সেই সুবিধা কাজে লাগানোর মতো পেসার বাংলাদেশ দলে আছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন সেটা প্রমাণও করেছেন। দুজনই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। শুরুতে উইন্ডিজের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান ওপেনার ক্রিস গেইলকে সাজঘরে ফেরান সাইফ। এরপর হোল্ডার ও ব্রাভোর উইকেটও নেন তিনি। আর প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোস্তাফিজ। একই ওভারে হেটমেয়ার ও রাসেলকে আউট করেন কাটার মাস্টার। শাই হোপের উইকেটও নেন তিনি। মাশরাফি উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন প্রতিপক্ষের রানের গতি। আর ব্যাট হাতে সাকিব-লিটন তো রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব খেলেন ৯৯ বলে ১২৪ রানের ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস। দল যখন ১৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে তখন ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৯ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন লিটন দাস। বাংলাদেশের উইন্ডিজ বধের মূল নায়ক আসলে এই চারজনই সাকিব, লিটন, মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন। তারা জ¦লে উঠলে অজিদের হারানোটাও অসম্ভব হবে না মাশরাফির দলের জন্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App