×

জাতীয়

ঋণখেলাপির দায়ে ব্যাংকগুলো ন্যুব্জ: মেনন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯, ০৫:৫৩ পিএম

ব্যাংক খাতে লুটপাট, নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা কারও অবিদিত নয়। ঋণখেলাপির দায়ে ব্যাংকগুলো ন্যুব্জ। চলছে তারল্য সংকট। বুধবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় এসব কথা বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, সমৃদ্ধির পথে আমাদের অগ্রযাত্রা স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু ব্যাংক খাতে লুটপাট, নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা কারও অবিদিত নয়। ঋণখেলাপির দায়ে ব্যাংকগুলো ন্যুব্জ। চলছে তারল্য সংকট। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীন ভূমিকা দূরে থাক, ব্যাংকগুলোকে কার্যকর নজরদারি করতেও অক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। নিজের অর্থই তারা সামাল দিতে পারেনি এবং তার কোনো জবাবদিহিতা দেশবাসী পায়নি।

‘রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক প্রদান, ব্যাংক মালিকদের আবদারে ব্যাংক আইন সংশোধন করে ব্যাংকগুলোকে পারিবারিক মালিকানার হাতে তুলে দেওয়া, একই ব্যক্তি একাধিক ব্যাংকের মালিক বনে ব্যাংক খাতকে নিয়ন্ত্রণ করা, ব্যাংক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সিআরআর নির্ধারণ করা- এসবই ব্যাংক খাতে এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

মেনন বলেন, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও, মাত্র কয়েকদিন আগেই খেলাপি ঋণ আদায়ে তার মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে ওই ঋণখেলাপিদের বরং পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রী যেমন ব্যাংক সংস্কার করতে পারেননি, এবারও এ নিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন পুঁজিবাজারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

‘সাবেক অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন তার হাত এত লম্বা নয় যে পুঁজিবাজারের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। ওই অপরাধীদের চিহ্নিত না করে পুঁজিবাজারের জন্য যে ব্যবস্থাদির কথা তিনি বলেছেন তা কতখানি কার্যকর হবে সেটা দেখার বিষয়।’

তিনি বলেন, উন্নয়নের ফল কিছু লোক পাচ্ছে। জনগণ পাচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার বিএনপি-জামায়াত আমলের ৪০.৩ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন। হত দরিদ্রের হার নেমেছে ১১ শতাংশে। কিন্তু এখনো চার কোটির উপরে লোক দরিদ্র। দু’কোটি পুষ্টি পায় না। শীর্ষ ৫ শতাংশের সম্পদ বেড়েছে ১২১ গুণ।

‘এসজিডিতে আমরা বলছি কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না,’ তখন গত পাঁচ বছরে এই বৈষম্যের পরিমাণ আরও বেড়েছে। সম্পদ পুঞ্জিভূত হয়েছে কিছু হাতে। একটি সংখ্যাল্পদল সৃষ্টি হয়েছে যারা ‘সুপার ধনী’, এমনকি চীনের ধনীর সংখ্যার তুলনায়। এদের মধ্যে ১০ শতাংশ ধনী মোট সম্পদের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।’

রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি নুসরাত হত্যা, ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন, বালকদের উপর বলৎকারের যে সব খবর প্রকাশ হয় প্রতিদিন সে কথা বলবো না। কারণ এটা কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী নয়, এখন এক চরম সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। কিন্তু এসব ব্যক্তিরা যারা আমার কথার জন্য ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ করেছে, আমাকে মুরতাদ ঘোষণা করেছে তারা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কি ধরনের উক্তি করেন ইউটিউব খুলে তা শোনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

নির্বাচন যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার কাজটি আমাদের করতে হবে। কারণ রোগ এখন উপজেলা নির্বাচন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পাঁচদফা উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলের অভিজ্ঞতা, এমনকি আওয়ামী লীগ নিজদলের প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা করুণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App