×

মুক্তচিন্তা

বাজেটে শিক্ষার বরাদ্দ বেড়েছে মান বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৯, ০৯:৩৫ পিএম

আমাদের এখন যুগান্তকারী যে কোনো পরিবর্তনে যেতে হলে যোগ্যদের শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বনিম্ন প্রাথমিক পর্যায় থেকে কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যুক্ত করার বিধান কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমানে যে কারিকুলাম রয়েছে তাতে আনতে হবে মৌলিক পরিবর্তন। তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা, সমাজ চিন্তায় আধুনিক চিন্তাধারার প্রসার, অর্থ-বাণিজ্য-বিজ্ঞান ইত্যাদি চিন্তাতে একুশ শতকের উদ্ভাবনী জ্ঞানের সঙ্গে ছাত্র-শিক্ষকদের নিবিড় পরিচয় ঘটাতে হবে।

গত ১৩ জুন সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১.২২ শতাংশ। এর পাশাপাশি ২৮টি মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা বিভাগ এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে অর্থ ব্যয়িত হবে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই অর্থের সঙ্গে যুক্ত করলে শিক্ষা খাতে মোট বাজেট দাঁড়াবে ৮৭ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এই অর্থ বিবেচনা করলে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দাঁড়ায় মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষাকে এবার অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে ১৮৬৮ সালে জাপান স¤্রাট মেইজির গৃহীত ঐতিহাসিক শিক্ষা সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। মেইজির শিক্ষা সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাপানকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বিদেশে জাপানিদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং বিদেশিদের জাপানে এনে ব্যাপকভাবে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে জাপানিদের পরিচিত করানো। মেইজির এই পরিকল্পনা জাপানকে পরবর্তীকালে দ্রুত শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নতি লাভ করতে সাহায্য করেছিল। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাপানের এই উদাহরণ বাংলাদেশে কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে উচ্চশিক্ষায় দক্ষ, অভিজ্ঞ, গবেষক ও প্রশিক্ষক তৈরির জন্য প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানো কিংবা বিদেশ থেকে খ্যাতিমান শিক্ষক প্রশিক্ষকদের বাংলাদেশে এনে দক্ষ-প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরির প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়ার নিয়ম চালু করতে চাচ্ছেন। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণদের আধুনিক উচ্চতর জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদির দক্ষতা অর্জনের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা ভাবছেন বলে সংসদে জানিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষণ ও আধুনিক শিক্ষাক্রম পুনর্বিন্যাস করার চিন্তা-ভাবনাকে অবশ্যই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা দরকার বলে আমরা মনে করি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যেসব বিষয় নিয়ে গতানুগতিক লেখাপড়া করার ব্যবস্থা রয়েছে সেসব নিয়ে অগ্রসর হওয়ার দিন অনেক আগেই গত হয়ে গেছে। তারপরও আমরা এমন অপ্রয়োজনীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগ যুগ ধরে টেনে আনছি, এর পেছনে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ অপচয় করছি। বিষয়টি বিশেষজ্ঞ মহল দীর্ঘদিন থেকে বলে এলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী পশ্চাৎপদ ধারণার কারণে বিষয়টি উপলব্ধি করতে চায়নি এবং কোনো ধরনের শিক্ষা সংস্কারের উদ্যোগ কার্যকর হতে দেয়নি। এমন বাস্তবতায় বর্তমান বাজেটে শিক্ষা সংস্কারের যে ইঙ্গিতটি দেয়া হয়েছে সেটি প্রণিধানযোগ্য। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাক্রমে সমসাময়িক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো যায়। সেই বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া। এবারের বাজেটে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য একটি মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর সুফল যেমন রয়েছে এর মধ্যে নানা সমস্যাও শিক্ষা খাতে যুক্ত হয়েছে। সরকারের উচিত ছিল আগে থেকেই ম্যাপিং পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার সরকারি উদ্যোগ নেয়া। দেশে বেসরকারি উদ্যোগে অপরিকল্পিতভাবে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা গড়ে ওঠায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে, যেগুলোতে যোগ্য, মেধাবী, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের বিধান কখনই খুব একটা কার্যকর করা যায়নি। ফলে এমপিওভুক্ত হলেও বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই মানসম্মত শিক্ষাদানে খুব একটা কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে জাতীয়করণের একটি ধারাতেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নেয়ার যে উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় তাতেও শিক্ষাদীক্ষায় মোটামুটি অগ্রসরমান এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সবসময় বিবেচনায় নেয়া হয় না। এসব বিষয়কে বিবেচনায় নেয়া হলে দেখা যাবে যে বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থায় এখনো পর্যন্ত সুশৃঙ্খল কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা, পঠন-পাঠনের বাধ্যবাধকতা, মানসম্মত শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ বজায় রাখা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত অধিদপ্তরগুলোর সরকারি কর্মকর্তারা তেমন কোনো পরিবীক্ষণ ও কার্যকর কোনো ভূমিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখতে পারছে না। সরকারের এখনই উচিত হবে সরকারি অর্থ বরাদ্দপ্রাপ্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর একটি ম্যাপিং করা, সব নিয়োগ মানসম্মত উপায়ে সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় ভিত্তিতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যম নির্ধারণে বাধ্যবাধকতা থাকা। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা কমিটি সব ধরনের স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকা বিধান অনুসরণ করা। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মেইজি সংস্কারের মতো কিছু আশা এখন বেশ দুরূহ ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে সরকারকে দুটি পরিকল্পনা খুব মানসম্মতভাবে বাড়াতে হবে। তার একটি হচ্ছে- সব স্তরের শিক্ষকদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের বাধ্যবাধকতা প্রবর্তন করা এবং এর জন্য প্রশিক্ষণ মান উত্তীর্ণের পরীক্ষা পদ্ধতি কার্যকর করা। অন্যটি হচ্ছে- এখন থেকেই সব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আগের শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত আরো বেশি উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত করা। এ ক্ষেত্রে উচ্চতর অভিজ্ঞ, দক্ষ, মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষকদের বেতনভাতাও তার উচ্চতর অধিকতর যোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে নির্ধারণ করা। বাংলাদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে উপজেলা ও জেলাগুলোতে যে ধরনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সেগুলো থেকে সুফল খুব একটা পাওয়া যায় না। গত ১০ বছরে বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে দক্ষ করার জন্য যেসব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তার পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয়িত হলেও শিক্ষকদের তাতে দক্ষতা তেমন অর্জিত হয়নি বলেই বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে। এর কারণ হচ্ছে, এই প্রশিক্ষণগুলো খুব দায়সারা গোছের হয়ে থাকে। এগুলোতে তেমন দক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষক অংশ নেয়ার সংবাদ খুব বেশি জানা নেই। অথচ সরকার শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। কিন্তু শিক্ষকদের দক্ষতা তাতে খুব কমই বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে। এখানে শিক্ষকদের গাফিলতি যেমনি রয়েছে একইভাবে আয়োজনেও যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতা কীভাবে কাটানো যায় সেটি আগে নির্ধারণ করে তার পরেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করার ব্যবস্থাপনায় সরকারের হাত দেয়া উচিত। এ ছাড়া বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে প্রশিক্ষক প্রেরণের যে ধারা এ পর্যন্ত কার্যকর হতে দেখা গেছে তাতে বিপুল অর্থের খরচ হয়েছে সত্য কিন্তু দক্ষ প্রশিক্ষকপ্রাপ্তিতে আমাদের যোগ হয়েছে সামান্যই। তার চেয়ে বরং দেশে কিংবা বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিক্ষক, গবেষক, প্রশিক্ষকদের দেশে এনে জেলা বা উপজেলাভিত্তিক মানসম্মত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যাপকসংখ্যক শিক্ষককে একটি নির্ধারিত মানে উন্নীত করার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে তার থেকে সুফল হয়তো অনেকটা বেশি পাওয়া যেতে পারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে প্রভাষক পদে যেসব শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি এবং গবেষণায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আগ্রহী করা হলে হয়তো সুফল ভালো হতে পারে। এ ছাড়া বর্তমান নিয়োগ পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতে না রেখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসার পথ অনেকটাই সুগম হওয়ার সুযোগ ঘটবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাইরে দেশের কলেজগুলোতে উচ্চশিক্ষার বর্তমান বেহাল দশাটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জরুরিভিত্তিতে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। কেননা বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি কলেজেই ন্যূনতম অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নেই, নেই দক্ষ, অভিজ্ঞ শিক্ষকও। গবেষণার কোনো ন্যূনতম সুযোগ কলেজগুলোতে নেই। এ ছাড়া রয়েছে অসংখ্য বিষয় যেগুলোতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও এসব বিষয়ের কোনো কর্মক্ষেত্র দেশে নেই। সুতরাং এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। আমাদের নির্ধারণ করতে হবে দশম নাকি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে আমরা বাধ্যতামূলক করব। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জ্ঞান দক্ষতার ভিত্তিতেই কেবল শিক্ষার্থীদের কারিগরি, বৃত্তিমূলক কিংবা উচ্চতর বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিধান রাখা উচিত। তাহলেই আমাদের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার সুযোগ লাভ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান এবং চাহিদা অনুযায়ী গড়ে তোলার ব্যবস্থা জরুরিভিত্তিতেই নিতে হবে। আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষণ ইস্টিটিউট নেই, নেই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। সেগুলোতে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এসব অভাব পূরণের উপায় হচ্ছে যোগ্য, দক্ষ ও উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের এসব প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর বেতন ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা। আমাদের এখন যুগান্তকারী যে কোনো পরিবর্তনে যেতে হলে যোগ্যদের শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বনিম্ন প্রাথমিক পর্যায় থেকে কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যুক্ত করার বিধান কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমানে যে কারিকুলাম রয়েছে তাতে আনতে হবে মৌলিক পরিবর্তন। নিতে হবে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক ও সহায়ক গ্রন্থ রচনার ব্যবস্থা, শ্রেণিপাঠ, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা, সমাজ চিন্তায় আধুনিক চিন্তাধারার প্রসার, অর্থ-বাণিজ্য-বিজ্ঞান ইত্যাদি চিন্তাতে একুশ শতকের উদ্ভাবনী জ্ঞানের সঙ্গে ছাত্র-শিক্ষকদের নিবিড় পরিচয় ঘটাতে হবে। আমাদের সমাজে যে পশ্চাৎপদ চিন্তাধারা, কুসংস্কার এবং আধুনিকতা সম্পর্কে অজ্ঞানতা রয়েছে তা দূর করার ব্যবস্থা নিতেই হবে। আমাদের অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষই এখনো ভালো করে জানে না চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বলতে কী বোঝায়? তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম শিল্প বিপ্লব কী? এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো ছাড়া আমরা সম্মুখে অগ্রসর হব কীভাবে?

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App