×

জাতীয়

৩ বিষয় সামনে রেখে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯, ১১:৩৯ এএম

৩ বিষয় সামনে রেখে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এলাকায় ৩ বছর পর ফের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফরম সরবরাহ করে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর ২য় দিন ছিল গতকাল রবিবার। তথ্য হালনাগাদ করাসহ তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে এবার কাজ করছে পুলিশ। আর তা হলো বাসা বদল করে নতুন ঠিকানায় যাওয়া, পরিবারে নতুন যোগ হওয়া সদস্য, গাড়ি চালক ও গৃহকর্মীদের তালিকা করা হচ্ছে। তবে এ কাজে অহেতুক কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টিও খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গত ২০১৬ থেকে অফিসিয়ালি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ২২ লাখ পরিবারের ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৪ জন নাগরিকের তথ্য ডিএমপির তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত আছে। সর্বশেষ চলতি মাসের ১৩ জুন পর্যন্ত সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (সিআইএমএস) সফটওয়্যারে বাড়িওয়ালা ২ লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন, ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য ১ লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, অন্যান্য ১১০০ জন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন ও ড্রাইভার-গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জনের তথ্য রয়েছে। মাঝখানে কিছুটা বিরতি পড়লেও আবারো শুরু হয় এই অভিযান। নাগরিকরা বলছেন, এর ফলে অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন তারা। তবে সংগৃহীত তথ্য যেন গোপন থাকে এই প্রত্যাশাই তাদের। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নাগরিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশের সহায়তা নিচ্ছেন তারা। তথ্য সংগ্রহের সময় নগরবাসী হয়রানির শিকার না হন সেদিকে দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সদস্যদের। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তিন বছর আগে সংগ্রহ করা তথ্যগুলো হালনাগাদ করাসহ তিনটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে আবারো নাগরিক তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজধানীতে চুরি ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ কমেছে দাবি করে পুলিশ বলছে এর পেছনে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ অভিযান সপ্তাহের ২য় দিনেও রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক, অলিগলিসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করতে দেখা গেছে। নিজেদের তথ্য সম্বলিত ফরম আগে জমা দিয়ে না থাকলে পুলিশকে এসব তথ্য দিয়ে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে নাগরিকদের প্রতি। গতকাল রবিবার রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাঈনুল ইসলামকেও তার আওতাধীন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য ফরম বিতরণ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দল উপদলে ভাগ হয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। সিআইএমএসের আওতায় নাগরিকদের আনতে সরবরাহ করছেন ফরম। আসলে এটি পুনরায় শুরুর মূল কারণ হচ্ছে তথ্য হালনাগাদ করাসহ সিআইএমএস সিস্টেমকে আপডেট করা। এ কাজে অহেতুক কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টিও খেয়াল রাখছি আমরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App