×

সাময়িকী

কথাশিল্পী থেকে জীবনশিল্পী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম

কথাশিল্পী থেকে জীবনশিল্পী
স্বাধীনতা-উত্তর কথাসাহিত্যে যিনি নিজেকে স্বাতন্ত্র্য ও বৈচিত্র্যের পূজারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তিনি সেলিনা হোসেন। ব্যক্তিগত জীবনের গভীর দুঃখবোধকে তিনি সাহিত্য চর্চায় আর অবগাহনে ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন এবং নিজেকেও পূর্ণ করে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন। নিজের একান্ত বেদনাকেও তিনি সর্বজনীন করে তুলেছেন পরিবেশনশৈলীর গুণে। সেলিনা হোসেনকে আমরা দেখেছি বাংলা একাডেমির একজন একনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে নিতান্ত চুপচাপ একজন মানুষ হিসেবে। একই সময়ে তাঁর পাশাপাশি যারা বাংলা একাডেমিতে তারই সমপর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কবি রফিক আজাদ, কবি আসাদ চৌধুরী, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কথাশিল্পী রশীদ হায়দার প্রমুখ; তাঁদের সবাই দেশের অগ্রগণ্য কবি-সাহিত্যিক এবং যথেষ্টই সরব; তাদের তুলনায় তাদেরই সহকর্মী হিসেবে সেলিনা হোসেন যথেষ্টই গম্ভীর এবং ধীর-স্থির; কিন্তু নিজের সাহিত্য সৃষ্টি নিয়ে নিজের ভেতরে সদা চঞ্চল এবং অস্থির একজন মানুষ, যা বাইরে থেকে বুঝে ওঠা অসম্ভবপ্রায়। তাঁর ধীরে চলো নীতিই যেন তাঁকে আজ এমন এক উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে, যখন তিনি হয়ে উঠেছেন কথাশিল্পী থেকে আরেক অর্থে একজন জীবনশিল্পী। সমকালীন বাংলা কথাসাহিত্যের আঙিনায় বহুমাত্রিক কথাশিল্পী হিসেবে সেলিনা হোসেন নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করে নিয়েছেন নিজের নিষ্ঠা আর যোগ্যতার গুণে। বিরলপ্রজ প্রতিভাধর কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে। বাবা এ কে মোশাররফ হোসেনের আদি নিবাস নোয়াখালী হলেও বেশ কিছুদিন তিনি বগুড়া জেলা ও দীর্ঘকাল রাজশাহী জেলায় অবস্থান করেছেন চাকরিসূত্রে, যে কারণে শৈশবে সেলিনা হোসেনকে অধিককাল নোয়াখালীতে থাকতে হয়নি। সেলিনা হোসেনের মায়ের নাম মরিয়ামুন্নেছা বকুল। মোশাররফ-বকুল দম্পতির ৭ সন্তানের মধ্যে সেলিনা হোসেন চতুর্থ। তাঁর প্রাথমিক পর্যায়ের পড়ালেখা বগুড়া জেলায়; ১৯৫৯ সালে তিনি রাজশাহীর নাথ গার্লস স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং একই স্কুল থেকে ১৯৬২-তে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৬৪তে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী মহিলা কলেজে। কলেজ জীবন শেষ করে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায়ই তিনি যুক্ত হয়ে যান বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে; বিশেষ করে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। ১৯৬৭তে একজন তার্কিক হিসেবে তাঁর পশ্চিম পকিস্তানে যাওয়ার কথা থাকলেও সে সময় দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স পাস করেন ১৯৬৭ সালে এবং এমএ পাস করেন ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৭০-এ সেলিনা হোসেনের কর্মজীবন শুরু হয় বাংলা একাডেমিতে গবেষণা সহকারী হিসেবে। এর আগে বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি উপসম্পাদকীয় লিখতেন নিয়মিত। ১৯৭০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমির বিভিন্ন পদে এবং বিভিন্ন দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক (১৯৬৯), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮০), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১), কামার মুশতারি স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৭), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), একুশে পদক (২০০৯), রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (২০১০), সার্ক লিটারেরি এ্যাডওয়ার্ড, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডিলিট’ সম্মাননা,সহ বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন। তাঁর উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হলে তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। বহু উপন্যাস ও ছোটগল্প প্রণেতা এই কথাশিল্পীর গ্রন্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের ওকটেন কমিউনিটি কলেজে (হাঙর নদী গ্রেনেডের ইংরেজি অনুবাদ) পাঠ্য হয়েছে; এসব তাঁর পোশাকি অর্জন হলেও তার মূল কৃতিত্ব পাঠকের ভালোবাসা লাভ। বহু ভাষায় অনূদিতও হয়েছে তাঁর গ্রন্থ। নিজের যোগ্যতার কারণে বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতির ভুবনে সেলিনা হোসেন একটি অবিচ্ছেদ নাম হয়ে উঠেছে কালের পরিক্রমায়। কেবল বাংলাদেশ নয়, সমন্বয়ধর্মী দেশপ্রেমিক মানবতাবাদী, ইতিহাস সচেতন লেখক হিসেবে, সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাঋদ্ধ কথাসাহিত্য সৃষ্টিপ্রবণতা এবং জীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ তাঁকে পশ্চিম বাংলায়ও প্রখ্যাত লেখক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। ষাটের দশকের শেষার্ধে ছোটগল্প দিয়ে বাংলা কথাসাহিত্যে প্রবেশাধিকার ঘটালেও উপন্যাস ও গল্প উভয় ক্ষেত্রেই সমান কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছেন তিনি। সেলিনা হোসেনের লেখার জগৎ বাংলাদেশের মানুষ, তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। বেশ কয়েকটি উপন্যাসে বাংলার লোকপুরাণের উজ্জ্বল চরিত্রসমূহকে নতুনভাবে চিত্রিত করার প্রয়াশ পেয়েছেন তিনি। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব-সংকট আর জীবনের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহঙ্কার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুন মাত্রা ও স্বতন্ত্র ব্যঞ্জনায় উপস্থাপিত হতে দেখা যায়। জীবনের গভীর উপলব্ধির প্রকাশকে তিনি শুধু কথাসাহিত্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং শানিত ও শক্তিশালী গদ্যের নির্মাণে প্রবন্ধের আকারেও উপস্থাপন করেছেন বিভিন্ন সময়। অদম্য সচল সেলিনা হোসেন লেখক হিসেবে যেমন সযত্ন পরিচর্যাপ্রবণ, তেমনি অতিপ্রজও বটে; কিন্তু কিছুতেই স্থূল নন। নবীন সাহিত্যিকদের সাহিত্যের সঙ্গে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তাঁকে দিয়েছে ভিন্ন উচ্চতা। তাঁর রচনা আদৃত হয়েছে দুই বাংলার সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও। অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, জাপানি, কোরিয়ান, ফিনিস, আরবি, মালয়ালাম, স্প্যানিশ, রুশ, মালে, কানাড়িসহ বিভিন্ন ভাষায়। জীবনের সুখদুঃখ-হাসিকান্না, বাংলার মানুষের জীবনসংগ্রাম, মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা-স্বপ্ন ও সংগ্রাম সবকিছুই নিপুন মুন্সিয়ানায় তুলে এনেছেন তাঁর সাহসী রচনায়; সব বিবেচনায়ই সেলিনা হোসেন হয়ে উঠেছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক, বহুমাত্রিক জীবনশিল্পী। নিজেকে তিনি কেবল সাহিত্য সাধনায় সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজতাত্তি¡ক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছেন এবং হয়ে উঠেছেন বাংলার মানুষের প্রিয় কণ্ঠস্বর। শ্যামল বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নযাত্রার পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করাকে অত্যাবশ্যক মনে করেছেন তিনি। বিশেষ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছেন তিনি; তাই আমরা লক্ষ করি তার সম্পাদনা কাজের মধ্যে ‘নারী’ অনুষঙ্গটি যুক্ত হয়েছে। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘একবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর সে ভাষণে যে স্বপ্ন ছিল বাঙালির জন্য, সেই স্বপ্নকে সঙ্গী করেই বাংলাদেশ আজো উন্নয়নের সরণিতে পথ চলতে সচেষ্ট আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কোনো বিকল্প আজো তৈরি হয়নি আমাদের জাতীয় জীবনে, এমন বিশ্বাসে কখনো ফাটল ধরেনি তার। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজয় অর্জনের পর দীর্ঘ পার হলেও আমরা আমাদের জীবনে ক্ষুধা-দারিদ্র্য আর কূপমণ্ডুকতা থেকে মুক্তি পাইনি। কেন আমাদের মুক্তি লাভ সম্ভব হয়নি সে বাস্তবতার সন্ধান করে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় অনুসন্ধান করে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ আজ সময়ের দাবি, এমন কথা তার বিভিন্ন বক্তৃতায়-সাক্ষাৎকারে আমরা উচ্চারিত হতে শুনেছি। আমাদের জাতীয় জীবনে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করে তাকে প্রতিহত করা আজ অত্যাবশ্যক; এ সত্যটি উপলব্ধি করেছেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের মহান নেত্রী, জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন টুয়েন্টি-টুয়েন্টিওয়ান’-এর যে সম্ভাবনার আলোকশিখা আমাদের আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত করে তাকে অভীষ্টে পৌঁছাতে উন্নয়ন-প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করে সমূলে উৎপাটন করতে হবে বলেও একজন সংস্কৃতজন হিসেবেই তিনি বিশ্বাস করেছেন। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে এবং সরকারের কর্মসূচির অগ্রযাত্রার স্বার্থে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের কল্যাণব্রতের সাথে যুক্ত হবার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন সময়ে। যদি উন্নয়ন চাই, যদি আমরা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ চাই, যদি আমরা পশ্চাৎপদতা-কূপমণ্ডুকতা থেকে মুক্তি চাই, যদি আমরা সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে চাই; তাহলে সমাজ থেকে সব ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-কূপমণ্ডুকতাকে সমূলে উৎপাটন করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে; মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের উজ্জীবিত করতে হবে এবং ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির কথা স্মরণে এনে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রু দের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। যদি উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখতে চাই তাহলে উচ্চাভিলাষী-বিভ্রান্ত রাজনীতিকদের প্রত্যাখ্যান করে উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের রাজনীতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এতক্ষণ যা বলা হলো তা মূলত রাজনীতির কথা, রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা পূরণের কথা; কিন্তু সেই রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা পূরণের অন্য একটি দিক হচ্ছে সামাজিক বাস্তবতা এবং সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণ। আজকের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক সদৃচ্ছা তো বটেই, প্রয়োজন সামাজিক অঙ্গীকার-আন্দোলন এবং সাংস্কৃতিক বিপ্লব; কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন একজন সচেতন লেখক হিসেবে তাঁর অঙ্গীকারের সাথে যুক্ত করতে চেয়েছেন তার সংস্কৃতি চিন্তা; যে কারণে আমরা দেখি তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের সহস্র বেদনাকেও তিনি সম্পৃক্ত করেছেন তাঁর সৃষ্টিশীলতার আঙিনায়। যে উন্নয়নের মহাসড়কে আজকে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে, সে যাত্রা অবশ্যই আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। তবে তার জন্য প্রয়োজন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের মতো শুভপ্রবণ সৃষ্টিশীল মানুষের যিনি শুভ প্রবণতা দিয়েই প্রগতির সাথে সম্পৃক্ত করবেন মানুষের কল্যাণ। ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের ঋণ বুকে নিয়ে যিনি এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকেন সদাসর্বদা। আজকের পৃথিবীর সংকটকালে তাই দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করতে চাই, একবিংশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের যেমন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চাই, আমাদের চাই একাত্তরের চেতনা, বঙ্গবন্ধুকন্যা বঙ্গরত্ন শেখ হাসিনার মতো যোগ্য নেতৃত্ব এবং চাই সেলিনা হোসেনের মতো অকুতোভয় সংস্কৃতিমনষ্ক নিষ্ঠ সাহিত্যিক। কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের মধ্যে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি নিষ্ঠ সাহিত্যিকের সততা, মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব এবং ’৭১-এর চেতনায় দৃঢ় প্রত্যয়। তিনি তাঁর নিষ্ঠা-সততা আর অঙ্গীকার দিয়েই নিজেকে ঋদ্ধ করেছেন এবং কথাশিল্পী থেকে হয়ে উঠেছেন বাংলার জনপদে আবশ্যক প্রাগ্রসর মানুষ। আর নিজেকে বারবার ভেঙে নিজেই গড়ে নিয়ে কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন কথাশিল্পী থেকে হয়ে উঠেছেন বাংলার জনমানুষের জীবনশিল্পী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App