×

অর্থনীতি

টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০১৯, ১০:৫৩ এএম

টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ
তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম বাজেটজুড়ে থাকছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নানা উদ্যোগ। তবে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের প্রক্রিয়া, রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআরের জন্য নতুন করে দিকনির্দেশনা, আর দেশের চরম দারিদ্র্যের হার শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা এবারের বাজেটের বিশেষত্ব। এ ছাড়া কর্মসংস্থানমুখী করার জন্য বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য নানা ছাড় ও প্রণোদনা থাকছে বাজেটে। তবে উন্নয়নমুখী প্রবণতা ধরে রাখাটাই বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া বাজেটের বাস্তবায়ন ও বিনিয়োগ বাড়ানো অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়লেও এর পুরো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বাজেট বাস্তবায়নের হার কমছে। এর কারণগুলো হলো, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিবছর রাজস্ব আহরণ না করা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী বিদেশি সাহায্য না পাওয়া। এ ছাড়াও, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে না পারায়ও বাজেট বাস্তবায়নের হার কমে গেছে। আর মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলই শুধু দৃশ্যমান। বাকিগুলোর কোনো অগ্রগতিই দেখা যায় না। জনগণ উপকার পাচ্ছে না। অথচ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন করাও অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তিন স্তরের ভ্যাট আইন করবে। কিন্তু এখনো কম্পিউটারাইজড হয়নি। দোকানে ক্যাশ রেজিস্টার নেই। এনবিআরকে যে খুব দক্ষ করা হয়েছে, তাও নয়। আয়কর তেমন একটা বাড়ানো হয়নি। আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে আরো একটি নতুন অর্থবছর। ২০১৯-২০ অর্থবছরের এ বাজেটে অর্থমন্ত্রী ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করবেন, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। পরিসংখ্যানের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে অর্থমন্ত্রী তার এবারের বাজেটকে সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় এবং গ্রহণযোগ্য করতে চান। এজন্যই গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এবার একটি ‘স্মার্ট বাজেট’ দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এবারের বাজেটের আকার বাড়লেও বাজেট বক্তৃতার বই হবে সংক্ষিপ্ত। আর বাজেটের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী হলেও তা অর্জন করতে চেষ্টা হবে সাধ্যের মধ্যে, যা সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য হবে সহজপাঠ্য। আর এর মধ্যেই থাকবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার। প্রতিবছরই বাজেটের আকার বাড়ছে, সেই সঙ্গে উচ্চতর হচ্ছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি তথা জিডিপি প্রবৃদ্ধি। কিন্তু এডিপি বাস্তবায়ন, ব্যক্তি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল দেখা যাচ্ছে না। এজন্য আগামী বাজেটে বড় চ্যালেঞ্জই হবে প্রবৃদ্ধির গুণগতমান বজায় রেখে এডিপি বাস্তবায়ন কর্মসংস্থান কৌশল প্রণয়ন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক বড় বাজেট আসছে, কিন্তু এর আর্থিক সংস্থান করাটাই হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ। আয়ের যে টার্গেটগুলো ধরেছে যেমন : ট্যাক্স টার্গেট, বিশেষ করে ভ্যাটের ওপর বেশি নির্ভরশীল হবে। এবারেই তো রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ শতাংশ। এর মধ্যে কি করে আয় করবেন এটাই ভাবনার বিষয়। এটা একটা বড় ইস্যু। অবশ্য ডিপোজিট ফাইন্যান্স থেকে একটা বড় অঙ্ক আসবে। সঞ্চয়পত্র থেকে আসবে। মূলত ২২ হাজার কোটি টাকার বেশিরভাগই আমরা ব্যাংকিং সেক্টর থেকে পাব। ব্যাংকিং সেক্টরের আবার বড় সমস্যা তারল্য সংকট। এ ছাড়া বিশাল একটা এডিপি করেছে, যেখানে দেড় হাজার প্রকল্প। অথচ প্রকল্প পরিচালকদের সময়মতো পাওয়া যায় না। এরপর সময়ক্ষেপণ তো আছেই। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার। যা ইতোমধ্যেই সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় (এনইসি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের এডিপিতে মোট প্রকল্প নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৬৪টি। নতুন এডিপিতে পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগসহ গুরুত্ব বিবেচনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহন খাতে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। বিদ্যুৎ খাতে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা মোট এডিপির ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাত। এই খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ১২ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের এডিপিতে বর্তমান ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বর্তমান অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির পরিমাণ ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক ব্যয় মেটানো সম্ভব হলেও উন্নয়ন বাজেটের ব্যয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যে ব্যয়, সেগুলো করা কঠিন হবে। অর্থাৎ বাজেটে বাস্তবায়ন সমস্যাটাই সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করেছে। আমাদের আরো একটি চ্যালেঞ্জ হলো, প্রবৃদ্ধি আছে কিন্তু বিনিয়োগ এখানে থমকে আছে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। এটা কিভাবে বাড়াবে তা ভাবার বিষয়। এরপর আছে ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা। পুঁজিবাজারও উন্নয়ন করতে হবে। মানি মার্কেট, ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটেও অস্থিরতা রয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানি কম, আমদানি বেশি। তো এই চাপগুলো আছে সরকারের। তিনি আরো বলেন, এসব চাপ মোকাবেলায়, অহেতুক ব্যয় কমানো প্রয়োজন। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে আরো বেশি মনিটরিংয়ের প্রয়োজন। আর ফান্ড ডিজবার্জ খুব তাড়াতাড়ি হয়। ফান্ড ডিজবার্জ আজকাল সরাসরি চলে যায় মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু ফান্ড পেলেই যে গুণগত মান বজায় থাকবে এটা ঠিক নয়। টাকাপয়সা পেলেই মন্ত্রণালয়গুলো খরচ করতে থাকে। কিন্তু কোয়ালিটিফুল হয় না। বহুদিন ধরে বলা হচ্ছে আমরা দেশের সব অঞ্চলে যাব। বড় বড় ব্যবসায়ী ধরব, সার্ভে করব। কিন্তু আসলে কিছুই হচ্ছে না। এনবিআর নিয়ে সমস্যা আছে। এনবিআরে দক্ষ লোকবল এবং প্রক্রিয়া আরো উন্নত করতে হবে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে জোর দিতে সরকারকে সুপারিশ করেছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে চিড় ধরছে, এটি রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ। এর ভেতরে তিনটি বিষয়কে জোর দিয়ে নিয়ে এসেছি। একটি হলো রাজস্ব আহরণ, ব্যাংকিং খাতে সংস্কার এবং টাকার বিনিময় হারকে নমনীয় করে নিচের দিকে ঠিক করে নিয়ে আসা। আর সামাজিক খাতের ব্যয়ের বিষয়টি তো রয়েছেই। আওয়ামী লীগের গত ১০ বছরের শাসনকালে অর্থনীতিতে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা এখন ‘সীমান্ত রেখায় উপনীত’ বলে মন্তব্য করেন দেবপ্রিয়। প্রবৃদ্ধির হার ও মাথাপিছু আয়ের হারকে ‘ভালো’ বললেও বেসরকারি বিনিয়োগে খরাকেই বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন তিনি। পাশাপাশি ধানের কম দামে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে সুপারিশ করেছেন তিনি। দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশের ব্যক্তি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ও সামাজিক ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি দেখতে পাচ্ছি না। প্রবৃদ্ধির ধারার সঙ্গে অন্যান্য উন্নয়নের সূচকগুলোর একটি বৈসাদৃশ্য আছে। তিনি বলেন, এটি অতিক্রম না করা গেলে উন্নয়নের জন্য যে অভিলাষ সেখানে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করার সুযোগ কম হবে। অন্য উৎস থেকে যদি বিনিয়োগ করার চেষ্টা করি, তাহলে এই সামষ্টিক অর্থনীতি আরো খারাপ হওয়ার সুযোগ আছে। রেমিটেন্স ও রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আশানরূপ হারে বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগের বলে মনে করে দেবপ্রিয় বলেন, এর ফলে আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ দ্রুততার সঙ্গে নেমে আসছে। সরকার যেটা করছে ডলার বিক্রি করে টাকাকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে। টাকাকে নিচে নামিয়ে আনতে হবে, প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে চালু রাখতে হবে। আমরা মনে করি, মূল্যস্ফীতি এখন যে অবস্থায় আছে, তা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আছে, এ সময় টাকাকে অবনমন করা হলে তা সহ্য করার শক্তি অর্থনীতিতে আছে। ব্যাংক খাতে নিয়ে আগের মতোই সরকারের সমালোচনা করে দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর যে কয়টি পদক্ষেপ নিয়েছে, প্রতিটি পদক্ষেপ ব্যাংকিং খাতের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকারক হয়েছে। খেলাপিঋণ ১ টাকাও বাড়বে না বলে ঘোষণার পর তার বদলে ১৭ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। সুদের হার নিয়ে নাড়াচাড়া করে ব্যাংকিং খাতের সমাধান হবে না। সুদ সুবিধা দিলে কোটি কোটি টাকা ব্যাংকে দিয়ে যাবে, এটা ভুল তত্ত্ব। বাজেট শুধু একটি অর্থবছরের খরচেরই হিসাব-নিকাশ নয়, এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও হাতিয়ার। তাই দেশকে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। আর এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করা হবে দেশের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার মাধ্যমে। নতুন অর্থবছরে সরকারের বাজেট ব্যয়ের সিংহভাগ অর্থের জোগান আসবে রাজস্ব আয় থেকে। তাই ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আদায়ের প্রধান হাতিয়ার হবে মূল্য সংযোজন কর। এ লক্ষ্যে দুই বছর বিরতি দিয়ে নতুন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন আগামী অর্থবছর থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যকার দ্ব›দ্ব নিরসন করা হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইনে একটি স্তরের পরিবর্তে ৫টি স্তর করা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি না হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ রজতজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত করতে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আরো প্রায় ১৩ লাখ গরিব মানুষকে আগামী বাজেটে নতুন করে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যে বাজেট রয়েছে তা ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেটা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য দরকার যথাযথ তদারকি ও সমন্বয়। যে সম্পদ রয়েছে সেটারও সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় আমাদের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন বাজেটে উন্নয়নের পাশাপাশি বেশকিছু খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষতা উন্নয়ন। সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিও অগ্রাধিকার খাতে থাকছে। অগ্রাধিকার তালিকায় আরো রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন, সরকারি সেবাদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন। এ ছাড়া বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক সুযোগ অধিক ব্যবহার, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি ও নতুন রপ্তানির বাজার অনুসন্ধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত। সবমিলিয়ে নতুন অর্থমন্ত্রীর নতুন বাজেট নিয়ে অর্থনীতিক ও বিশ্লেষকদের কৌত‚হলের শেষ নেই। আবার সাধারণ মানুষেরও নজর রয়েছে এই সরকারের প্রথম বাজেটে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সামষ্ঠিক অর্থনীতি কিছুটা চাপের মুখে পড়েছে। রাজস্ব আহরণ, বেসরকারি বিনিয়োগ ও বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীর সামনে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এই তিন চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবেলা করেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি প্রথম বাজেট উপস্থাপন হলেও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে বিগত পাঁচ বছরের বাজেট তৈরির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সব কিছুর সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App