ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। টানা দরপতনের বৃত্ত ভেঙে সূচক ও লেনদেন এখন ঊর্ধ্বমুখী। অথচ গত প্রায় তিন মাসের টানা পতনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল বিষাদের ছায়া। পুঁজিবাজার মূলধন হারিয়েছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। গতকাল সোমবার ঈদ-পরবর্তী দ্বিতীয় কার্যদিবসেও উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন। এ দিন উভয় পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এ দিন টাকার পরিমাণে লেনদেনও আগের দিন থেকে বেড়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২ ও ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩২ ও ১৯০১ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ১৮০ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩০৪ কোটি টাকার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫১টি কোম্পানির মধ্যে ২১০টির বা ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১০২টি বা ২৯ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি বা ১১ শতাংশ কোম্পানির। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের। এ দিন কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা পাওয়ারের ১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে ব্র্যাক ব্যাংক। টপটেন লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিবিএস কেবলস, জেএমআই সিরিঞ্জ, ফরচুন এবং আমান ফিড। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এ দিন ১১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৬ পয়েন্টে। এ দিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর। গতকাল ৭৭ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।