×

অর্থনীতি

বাজেটে সুবিধা আদায়ে ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম

বাজেটে সুবিধা আদায়ে ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপ
আর মাত্র ৩ দিন বাকি নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার। বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা, কর ছাড়সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা আদায়ে শেষ মুহূর্তে চলছে ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপ। অনেকেই এ ক্ষেত্রে বাজেট চ‚ড়ান্ত অনুমোদনের আগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাও করছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, ডিবিএ এবং বিএমবিএসহ সব সেক্টরের নেতারা জাতীয় রাজস্ব র্বোড (এনবিআর), পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয় এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত তদবির চালাচ্ছেন। আসছে বাজেটে ১৪ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনার দাবি তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর। বিজিএমইএর সভাপাতি ড. রুবানা হক বলেন, পোশাক খাত এখন সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই সংকট কাটাতে না পেরে সম্প্রতি বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে। ফলে চাকরি হারিয়েছেন সাড়ে ১০ হাজার শ্রমিক। আরো কিছু কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই পোশাক খাতকে টিকিয়ে রাখতে বাজেটে ১৪ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা চাচ্ছি। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে, সর্বোপরি অর্থনীতির সুফল ভোগ করবে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করার শর্তে এনবিআরের এক সদস্য বলেন, বাজেটে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি ফান্ড রাখা হচ্ছে। এর বাইরে আর কোনো ফান্ড পোশাক খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে না। করপোরেট কর ও ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের স্বার্থে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো দরকার। গত ৪ বছর ধরে ব্যক্তি আয়কর সীমা একই রাখা হয়েছে। অথচ এই সময়ে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে এটি আড়াই লাখ টাকা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাই এটি বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হোক। নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা ও প্রতিবন্ধী করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। এ ছাড়া প্যাকেজ ভ্যাটের পরিবর্তে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ উদ্যোগ ও কুটির শিল্পের জন্য টার্নওভার করের আওতায় সব পর্যায়ে অব্যাহতির সীমা বাৎসরিক ৩৬ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান তিনি। ফজলে ফাহিম বলেন, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি, তারা বাজেটে এসব দাবির প্রতিফলনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ করা ও পুঁজিবাজারের অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ও নন-ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে সাড়ে ৩২ শতাংশ করার করা দরকার। এ ছাড়া পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয় এমন বিদেশি কোম্পানির প্রত্যাবাসনযোগ্য মুনাফার ওপর করপোরেট কর ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা প্রয়োজন। সম্প্রতি এগুলো বাজেটে রাখার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি টিম অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট নাসির আহমেদ চৌধুরী বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এ ছাড়াও পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহিভর্‚ত ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবও করছেন বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App