×

অর্থনীতি

বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে বিদ্যুতে, কমছে খাদ্যে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০১৯, ০৪:২২ পিএম

বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে বিদ্যুতে, কমছে খাদ্যে
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণে ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি থাকছে ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, প্রণোদনা ১৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা, নগদ ঋণ সহায়তা থাকছে ৫ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে। বাড়তি ৩শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে এই খাতে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৯ হাজার ৫শ কোটি টাকা। অন্যদিকে, খাদ্য খাতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে ৪ হাজার ৫শ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের চেয়ে ভর্তুকি ১০৪ কোটি টাকা কম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ৩৭ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে ৪২ হাজার ১শ কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে ৪ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়লেও প্রণোদনা ও নগদ ঋণে বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন বাজেটে ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে এতে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ১৯ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। বিপরীতে আগামী বাজেটে এটি বাড়িয়ে ২৩ হাজার ৬শ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিট প্রতি মূল্যের ঘাটতি বাবদ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) দেয়া হবে ৯ হাজার ৫শ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে পিডিবিকে দেয়া হচ্ছে ৯ হাজার ২শ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ৩০০ কোটি টাকার ভর্তুকি বাড়ছে। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেয়া হলেও জ্বালানি তেল আমদানিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি) কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। অন্যদের মধ্যে খাদ্য খাতে ৪ হাজার ৫শ কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৪ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ খাদ্য খাতে ভর্তুকি কমছে ১০৪ কোটি টাকা। এ ছাড়াও অন্যান্য খাতে মোট ভর্তুকি রাখা হচ্ছে ৯ হাজার ৬শ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে মোট ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী বাজেটে প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দের কোনো হেরফের হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরে প্রণোদনা বাবদ মোট ১৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নগদ ঋণ খাতে চলতি অর্থবছরের সমপরিমাণ অর্থ অর্থাৎ ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা বাবদ ৪ হাজার কোটি টাকা ও পাটজাত পণ্য খাতে ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী বাজেটেও এটি অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এটি হচ্ছে বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। একইসঙ্গে নতুন অর্থমন্ত্রী হিসাবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App