×

আন্তর্জাতিক

সুদান পরিস্থিতি : নীলনদ থেকে ৪০ মরদেহ উদ্ধার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০১৯, ০২:৫৭ পিএম

সুদান পরিস্থিতি : নীলনদ থেকে ৪০ মরদেহ উদ্ধার
সুদানের রাজধানী খার্তুমে সামরিক বাহিনীর সদরদফতরের সামনে ‘গণতন্ত্রকামী’ নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পর মঙ্গলবার পার্শ্ববর্তী নীলনদ থেকে ৪০ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ৪০ জন ‘গণতন্ত্রকামী’ বিক্ষোভকারী ছিলেন বলে জানাচ্ছে আন্দোলনকারীদের সমর্থক সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদান ডক্টরস (সিসিএসডি)। গত সোমবার খার্তুমে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার পর বুধবার এ খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। এর আগে হামলায় ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। নীলনদ থেকে ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ফলে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০০ জনে। গত ১১ এপ্রিল সুদানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ‘অভ্যুত্থানে’র মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। তাদের গঠিত কথিত মিলিটারি ট্রানজিশনাল কাউন্সিল ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়’ প্রথমে তিন বছরের সময় দাবি করে। এতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হলেও টনক নড়ছিল না ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের। ‘গণতন্ত্রকামীরা’ সামরিক বাহিনীর সদরদফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে গত ৩ জুন আধা সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হয়। এতে ব্যাপক হতা হতের ঘটনা ঘটলে হলে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠায় গত মঙ্গলবার ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান জানান, আগামী নয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেনা সদরদফতরের সামনে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে আক্রমণের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এতে জড়িত, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, হামলার শুরুতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করতে থাকে। এরপর শুরু হয় গুলি। এই উত্তাল অবস্থায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংঘাতের পর ট্রানজিশনাল কাউন্সিল পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় খুঁজলেও মঙ্গলবারও খার্তুমে নিজের বাড়িতে এক নারীকে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে মারে।এই রক্তপাত ও প্রাণহানির তুমুল নিন্দা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেসও নিন্দা করেছেন নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যার। ১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থাকাকালে ওমর আল-বশির ‘অভ্যুত্থান’ ঘটিয়ে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদীকে উৎখাত করেন। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেন তিনি। কয়েকবছর ধরে তার বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভ্যুত্থান’ চেষ্টা হলেও সেসব উতরে ৩০ বছর ধরে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির ক্ষমতায় আসীন থাকেন তিনি। তবে ১১ এপ্রিল গণবিক্ষোভ শুরু হলে সুযোগ নিয়ে অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App