গুচ্ছছড়া
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০১৯, ০২:৪৪ পিএম
বাস ড্রাইভার
বাস ড্রাইভার ডিয়ারিং
যেই ধরেছে স্টিয়ারিং
মানে না তো পথের আইন
নো-বডি সে কিয়ারিং
শাঁ-শাঁ করে যায় যে উড়ে
বাস ড্রাইভার ডিয়ারিং
ডেভলপারের মুলা
কী মুলা যে ঝুলাই দিলা ভাই
লক্ষ-কোটি খসাই নিলা বাড়ির দেখা নাই।
ব্যাংক লোন আর কিস্তি শোধে পরাণ শুধু কাঁদে
শিক্ষা-দীক্ষা থাকার পরও পইড়া গেলাম ফাঁদে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের চিত্তহরণ করে
ফ্লাটে থাকার লোভ দেখালে সারাজীবন ভরে।
অবশেষে জানতে পেলাম ডেভলপার ভাই
কাস্টমারের টাকা নিলা জমির খবর নাই।
জমি নাকি পানির তলে পাবে নাকি লিজ
সেই আশাতে ব্যবসা ফাঁদো তুমি আজব চিজ!
চিকেন ফ্রাই
ফাস্টফুড শপ। একটা চিকেন।
সেদিন সন্ধ্যা-রাতে
বলল ক্ষোভের সাথে
তোমরা আমায় চিবিয়ে-চুষে অনেক মজা পাচ্ছো
কিন্তু জনাব, এই আমাকে জেনেশুনে খাচ্ছো?
আমার পেটে সিসা আছে, আছে গণ্ডগোল
মরণ বিষে শরীর আমার ফুলে-ফেঁপে ঢোল।
ফার্মে জন্ম, খাঁচায় বাঁচি শুধুই লাগে ভয়
তোমার প্লেটে যাওয়ার আগে আমার মরণ হয়।
আমি হলাম মুখরোচক, কিন্তু সর্বনাশী
আমার জন্য হচ্ছে তোমার অ্যাজমা রোগের কাশি!
তোমরা যাকে ভালোবেসে বলছো চিকেন ফ্রাই
এই আমি যে আমার দেহে ভেজাল খুঁজে পাই।
তাই তো শুনি কিডনি ড্যামেজ, বুক ধড়ফড়, জ¦র
অসুখ-বিসুখ তোমার দেহে বাঁধে তখন ঘর।
আমার দেহে রোগের ডিপো তোমার পেটেও যাচ্ছে
চিকেন ফ্রাইয়ের মজা তবু মানুষেরাই পাচ্ছে।
আমরা হলাম ফোন প্রজন্ম
ফোনে বাঁচি, ফোনে নাচি
ফোন আমাদের বাড়ি
ফোনে হাসি, ফোনে কাঁদি
ফোনেই মারি ঝাড়ি।
ফোনে আলো, ফোনেই আঁধার
ফোনেই শুনি গান
বন্ধুর সাথে ফোনে আমার
চলে অভিমান।
ফোনে লিখি, ফোনে পড়ি
ফোনেই তুলি ছবি
ফোনেই চলে ব্যাংক লেনদেন
ফোন দিয়ে হয় সবই।
ফোনে খেলি, ফোনেই জিতি
ফোনেই আবার হারি
ফোনের মাঝে গুগল খুঁজে
দেই যে পথে পাড়ি।
ফোনের মাঝে বিশ্ব আমার
ফোনটা জানার স্কুল
ফোনের মাঝে সব খুঁজে পাই
সত্য-মিথ্যা-ভুল।
ফোনে ফোনে ফোনফোনানি
ফোনেই জীবনখানি
হাতের মুঠোয় আটকে থাকা
ফোনটা বড়ই ফানি।
রেস্টুরেন্টে একদিন
রেস্টুরেন্টে গেলেন সাহেব
আমার জন্য ডিম পসিবল?
বলল পরে ম্যানেজার
ব্রেকফাস্টের সময় পার,
রাইস ছাড়া অন্যকিছু
ইমপসিবল ইমপসিবল!
দেশি মুরগি
কেউ-কেউ আছে হামবড়া ভাব বিদেশি জিনিস চায়
বিদেশি খাবার, বিদেশি পোশাক, বিদেশে ঘুরতে যায়
কেবল মুরগি কিনতে গেলেই দেশি মুরগি চায়।