কবিতার সংলগ্নে কবিতার প্রজনন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০১৯, ১২:০৯ পিএম
বহুদিন পর আজ হাত দিয়ে কবিতা বের করলাম।
এ তো সে বাঁ হাতেরই কাজ।
পূর্ণ নয়, নাতি দৈর্ঘ্য ভিয্যুয়াল এক কবিতা।
বহুদিন জলহীন।
দুনিয়া জুড়ে যখন জলের হাহাকার, তৃষ্ণা।
অথচ তখন জলে আমার বড় বিতৃষ্ণা।
আমার যে জলাতংক।
জল কল। ধীরে ধীরে ফোঁটাফোঁটা জল।
গড়িয়ে গড়িয়ে তৃষ্ণার স্বাদ নিতে এক প্রস্থ প্রয়াস।
মনে পড়েÑ তুমি ইদানীং জলকেলির খুব আপন হয়ে উঠেছ। আমার তেমন কিছু না।
ঐযে, জলাতংক এক।
জল-তৃষ্ণার স্বাদ নিতে নিতে হঠাৎ স্মরণে এলো; বউয়ের দুইটা ম্যাক্সির খুব দরকার।
পোয়া সংসারী আমি। এক ছটাক রোজগার আর এক ছটাক বাউন্ডেলে, সব শেষে পড়ে থাকা আর মন জুড়ে ভরে থাকা সিকিতক শিল্প-শৈলী।
এইতো, এইতো আমি ও আমার ক্রান্তিময় জগৎ।
মীর, তোমার সঙ্গে আমার পরবর্তী সাক্ষাতে তুমুল আলাপ হবে ‘কমলার কোয়াতে বিচি বেশি নাকি আপেলে’!
অথবা, জীবনে কে কতবার সাপের পাঁচ পা দেখেছে এবং বিবিধ....!
ঠিক আছে বাদ দাও, শিকোয় তুলে দাও যত্ত সব।
তার চেয়ে বরং এসো দু’জনে মিলে চা-এ দিব প্রেম চুম্বন, আর নীরব আলাপনে কাটিয়ে দিব সুখদ সময়।
আমি কেবল নিশিস্নানকালে কবিতার শরীর বানাচ্ছিলাম বর্ণমালাবিহীন।
ওদিকে অন্দর ঘরে বিছানায় শুয়ে শুয়ে শরীরিয় কবিতার প্রজনন কাৎরানি।
পুনঃপিতার ঘ্রাণে ভুবন মোহিত।
জঠর জুড়ে চলছে নীরব কোলাহল।
আর কবিতার সংলগ্নে কবিতার তীব্র প্রজনন।