আমরা কেবল অপেক্ষা জমাই
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০১৯, ১২:১২ পিএম
কুয়াশা মোড়ানো ভোরে আমাদের হাঁটবার কথা ছিল বহুদূর, কথা ছিল ঝুম বৃষ্টিতে দু’জনার আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভিজবার।
তোমার একটা পাহাড় কিনবার শখ ছিল
আমি বলেছিলাম– বর্ষা এলে তোমাকে একটা সমুদ্র কিনে দেবো,
তারপর সেই সমুদ্রে আমরা ডুবে যাবো
কখনো সাঁতার কাটবো মাছেদের মতন।
শীত এসে শীত চলে যায়
আমাদের হাঁটা হয় না শিশির ভেজা ঘাসের উপর, বর্ষা চলে যায় অথচ, অথচ আমাদের নদী কিংবা সমুদ্র কেনা হয় না আর।
আমাকে হলুদ পাঞ্জাবি পরা দেখলে তুমি বলতে ‘হিমু’, নীল শাড়ি পরলে তোমাকে আমি রুপা বলে ডাকতাম,
হলুদ রঙটা এখন আমার অপছন্দ।
আচ্ছা, তুমি কি এখনো নীল শাড়ি আর নীল চুড়ি পরো?
তোমাকে কেউ রুপা বলে ডাকে?
হয়তো ডাকে।
নদীর ধারে ছোট্ট একটা ঘর দেখিয়ে একদিন বলেছিলাম, ঐরকম একটা ঘর আমাদেরও হবে, বোকা মেয়ের মতো জানতে চেয়েছিলে নদীর ওপারে যাবে কীভাবে,
আমি বলেছিলাম, আমরা একটা নৌকা বানাবো আর সেই নৌকার মাঝি হবো আমি।
নদীর ধারে পাখিরা ঘর বানায়
কত যাযাবরের ঠাঁই হয় নদীর বুকে,
আমাদের ঘর তোলা হয় না, বানানো হয় না কোনো নৌকা।
যোজন যোজন দূরে থেকে আমরা কেবল অপেক্ষা জমাই।
অপেক্ষা...