×

খেলা

সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০১৯, ১২:০২ পিএম

দেখতে দেখতে দ্বাদশ বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটিকে নিয়ে সবাই বেশ আশাবাদী। আমিও এর ব্যতিক্রম নয়। ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার সময় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেছিলেন ভালো শুরু করাটা খুব জরুরি। তার সঙ্গে আমি একমত। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো একটা শুরু পাওয়া খুব প্রয়োজন। এতে খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপ কিছুটা সরে যায়। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে ভালো শুরু পাওয়াটা খুব একটা সহজ হবে না আমাদের জন্য। কেননা প্রথম তিনটি ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দু’দলই তাদের প্রথম ম্যাচে বেশ দাপুটে জয় পেয়েছে। তাই তারা এখন মানসিকভাবে বেশ উজ্জীবিত। এদিক থেকে বিবেচনা করলে দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা চাপে আছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। এই সুযোগটা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে। আমরা জানি, দক্ষিণ আফ্রিকা চাপ নিতে পারে না। প্রোটিয়াদের এই দুর্বলতা বাংলাদেশ দলের জন্য বড় সুযোগ। এবারের বাংলাদেশ দল নিয়ে সবাই বেশ আশাবাদী। সত্যি বলতে টাইগারদের কাছে আমার প্রত্যাশাও অনেক বেশি। আর আমি মনে করি, এই অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়া কিংবা প্রত্যাশা করাটা অযৌক্তিক নয়। গত দেড় বছরে বাংলাদেশ দলের পরিসংখ্যানই সমর্থকদের প্রত্যাশার মাত্রাটা বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত সময়ে ২৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১৭টিতেই জিতেছে মাশরাফি বাহিনী। জয়ের হিসাবে যা বাংলাদেশকে ইংল্যান্ড-ভারতের পরেই রেখেছে। ইংলিশ কন্ডিশনে বাংলাদেশ কেমন খেলবে দেশ ছাড়ার আগে তা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দল প্রমাণ করেছে তারা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। এছাড়া দলে অভিজ্ঞতারও অভাব নেই। সে সঙ্গে নতুনরাও দারুণ খেলছে। আজকের ম্যাচেও বাংলাদেশ দলকে সবচেয়ে বেশি ভোগাবে উইকেট ও কন্ডিশন। ইংলিশ কন্ডিশন উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য বরাবরই কঠিন। এবারের বিশ্বকাপে ইতোমধ্যেই সেটার প্রমাণ মিলেছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তান ১০৫ রানে অলআউট হয়েছে। আর গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। আজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও যদি এমন কিছু হয় তবে বিস্মিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সেদিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সুবিধা পাবে। কেননা তারা এরকম কন্ডিশন ও উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। ইনজুরি কাটিয়ে তামিম ইকবাল যদি আজকের ম্যাচে খেলেন তবে তার সঙ্গে সৌম্য সরকারকেই ওপেনিংয়ে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। লিটন দাসও ফর্মে আছে। আসলে সৌম্য-লিটন দু’জনই ম্যাচ উইনিং ক্রিকেটার। কিন্তু অভিজ্ঞতা সৌম্যকে এগিয়ে রাখছে। আবার মোসাদ্দেক হোসেন ও সাব্বির রহমানের মধ্যে কাকে রাখা হবে সেটা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আমার মনে হয় সাব্বিরকেই একাদশে রাখবে টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে সাব্বির খুব ভালো ব্যাটিং করে। ইংলিশ কন্ডিশনে রুবেল হোসেন অটোচয়েজ হওয়ার কথা। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট যদি ব্যাটিং লাইনআপকে বড় করার কথা ভাবে তবে রুবেল নয়, বরং সাইফউদ্দিনই একাদশে থাকবে। আর স্পিনার হিসেবে দলে থাকবে মেহেদী হাসান মিরাজ। শক্তিমত্তা, সাম্প্রতিক পারফরমেন্স সবকিছু বিবেচনা করে আমি বলব আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা কোন দলই একটেচিয়াভাবে ফেভারিট নয়। এমনও হতে পারে যে দেখা যাবে একটি দল হেসে খেলেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে। তবে আমার মতে, দু’দলের সম্ভাবনাই ফিফটি ফিফটি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App