×

জাতীয়

ঈদযাত্রায় ট্রেনে দুর্ভোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯, ১১:৩১ এএম

ঈদযাত্রায় ট্রেনে দুর্ভোগ

ট্রেন ছাড়বে সকাল ৯টায়। যথাসময়ে রেলস্টেশনে হাজির যাত্রীরা। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও ট্রেনের দেখা না মেলায় হতাশ যাত্রীরা। গতকাল রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তোলা ছবি -ভোরের কাগজ

ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় শিডিউল বিপর্যয়ে ট্রেনে ভোগান্তির মুখোমুখি হয়েছেন যাত্রীরা। সকাল ৯টার ট্রেন কমলাপুর ছেড়েছে বিকেল সাড়ে ৪টায়। অন্যদিকে সড়কপথে গত কয়েক বছরের তুলনায় স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা। বাড়ি ফেরার প্রথম দিনে নৌপথে ভিড় বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বৃহৎ তিনটি বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং সদরঘাট নৌবন্দরে এ চিত্র দেখা গেছে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তি : কিছুটা কম ভোগান্তি ও একটু আগে প্রিয়জনদের কাছে যেতে গত ২২ মে বিক্রি শুরুর প্রথম দিনই যারা টিকেট কেটেছিলেন, গতকাল শুক্রবার ছিল তাদের ট্রেনযাত্রা শুরুর দিন। তবে ঈদযাত্রার প্রথম দিনই বেশির ভাগ ট্রেন ছেড়েছে বিলম্বে। গতকাল ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে জনস্রোত সৃষ্টি হয় কমলাপুর রেলস্টেশনে। যাত্রীরা কমলাপুর স্টেশনে সময় মতো পৌঁছালেও কাক্সিক্ষত ট্রেনের দেখা পাননি। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় উত্তরাঞ্চলের ট্রেনযাত্রীদের। কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কমলাপুরে পৌঁছায় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে। তখন আব্দুল হক ও তার স্ত্রী কুইন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দেড় বছরের মেয়ে উম্মে হাবিবাকে নিয়ে সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর রামপুরা থেকে রওনা হয়ে স্টেশনে পৌঁছান ৮টায়। অবশেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় কমলাপুর ছেড়েছে রংপুর এক্সপ্রেস। এ ছাড়া কমলাপুর থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে তা দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার নির্ধারিত সময় থাকলে ছেড়েছে সকাল সোয়া ৮টায়। সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার সময় থাকলেও ছেড়ে যায় সাড়ে ৭টায়। সকাল ৮টার চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস আড়াই ঘণ্টা দেরি করে সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে গেছে। বিলম্বের বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, যে ট্রেনগুলো দেরিতে কমলাপুরে পৌঁছেছে, সে ট্রেনগুলো ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে চেষ্টা করছি, ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখার। এদিকে গতকাল সকালেই ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু উপলক্ষে যাত্রীদের খোঁজ নিতে কমলাপুর স্টেশনে যান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি ট্রেন, প্লাটফর্ম ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে স্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গতকাল সারা দিন কমলাপুর স্টেশন থেকে ৫২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে দেরি হয়েছে চারটির, তবে সবচেয়ে বেশি দেরি হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেসের। এ জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস নামে অন্য একটি ট্রেন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসবে। ফলে এ বিলম্ব আজ শনিবার থেকে হবে না। যানজট নেই সড়ক-মহাসড়কে : এবারের ঈদযাত্রা সড়ক-মহাসড়কে যানজট নেই। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন যাত্রীরা। ঈদযাত্রা শুরু হলেও গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ ছিল না। বাসের শিডিউলের বিপর্যয় ঘটেনি। টার্মিনাল ও কাউন্টারগুলো থেকে যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই বাসগুলো ছেড়েছে। সড়ক ও মহাসড়কে কোনো ধরনের যানজট দেখা যায়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের কোথাও গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যানজট ছিল না। শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ না থাকলেও দুপুরের পর থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের ভিড় ছিল। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আগামী তিন দিন সড়কে এই অবস্থা বিরাজ করলে সড়কপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিকেলের দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত ঢাকামুখী লেনে প্রায় ৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে ঈদযাত্রায় সড়কপথের চিত্র সম্পর্কে সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেছেন, ঈদে সড়কে যানজটের তেমন আশঙ্কা নেই। ঈদের সময় এবারের মতো ভালো রাস্তা ইতোপূর্বে কখনো ছিল না। বিআরটিএ নির্ধারিত মূল্যেই ভাড়া আদায় হচ্ছে। তবে কারো কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিন গিয়ে যাত্রীদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। সময় মতো বিভিন্ন গন্তব্যের বাসগুলো যাত্রীদের নিয়ে টার্মিনাল ছেড়ে যায়। টার্মিনালের সামনের রাস্তায় বাড়তি বাসের লাইনও ছিল না। বরিশাল-ঝালকাঠি রুটের সাকুরা পরিবহনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এখনো যাত্রীদের চাপ শুরু হয়নি। সকালে তাদের ৫টি বাস সময় মতো নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। রাস্তায় ও ফেরিঘাটে কোনো যানজট না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাদের বাসগুলো আসা-যাওয়া করছে। এই বাসের যাত্রী সুজন জানান, আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরিবার নিয়ে বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। উত্তরবঙ্গগামী রুটে শ্যামলী এনআর, শ্যামলী এসপি, হানিফ, নাবিল, ডিপজল ও খালেক পরিবহনের বাসগুলো সকাল থেকেই নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে গেছে। রাস্তার অবস্থা ভালো থাকায় গতকাল পর্যন্ত বাসের শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। রাজধানীর কল্যাণপুর, কলেজগেট ও কলাবাগান এলাকার বাস কাউন্টারগুলো থেকেও সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে বলে কাউন্টারগুলোর লোকজন জানিয়েছেন। মহাখালী বাস টার্মিনালের লোকজন জানান, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের ঈদযাত্রা এই টার্মিনাল থেকে শুরু হয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত বাস আছে। চাঁদরাত পর্যন্ত এই টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল করবে। যাত্রী টার্মিনালে আসামাত্রই টিকেট নিয়ে বাসে উঠবে। বাস ভরে গেলে টার্মিনাল ছেড়ে যাবে। এখানে কোনো ঝামেলা নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু এই সড়কের কোথাও কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। কাঁচপুরের শীতলক্ষ্যা, দাউদকান্দির গোমতী ও মেঘনা সেতুর উদ্বোধনের ফলে এই সড়কে আর কোনো যানজট নেই। ঢাকা থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ফেনীতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে শ্যামলী পরিবহনের চালক মিলন জানান। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া যানবাহনকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়তে হয়নি। এই সড়কে ১টি ব্রিজ, ২টি ওভারপাস ও ৪টি আন্ডারপাস নির্মাণ শেষে খুলে দেয়ায় ১৬ জেলার সঙ্গে চলাচলরত যানবাহন চলাচলের গতি বেড়েছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে এই মহাসড়কে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা এবং হাইওয়ে পুলিশ, সড়ক ও জনপদের লোকজনের তৎপরতার কারণে গতকাল পর্যন্ত যানজট হয়নি। টঙ্গী-কোনাবাড়ী সড়কেও গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যানজট ছিল না। তবে আজ শনিবার থেকে এই সড়কের চিত্র বদলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ রবিবার শিল্প-কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের ঢল নামবে। শত শত যানবাহন তখন এই সড়ক ব্যবহার করে চলতে শুরু করবে। তখন শৃঙ্খলা না থাকলে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। বিনিময় পরিবহনের চালক ইসমাইল জানান, চন্দ্রা মোড় প্রশস্ত করায় যানজট কমে গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন। চেরাগআলী, বড়বাড়ী, এরশাদনগর, স্টেশন রোড এলাকায় রাস্তার চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনার যাত্রীরা নির্বিঘে্ন চলাচল করছেন। তবে গতকাল বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী সড়কের সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। মূলত বাইপাইল তিন রাস্তার মোড়ের সিগন্যালের কারণে এই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে মহাখালী বাস টার্মিনালে আসা চালকরা জানিয়েছেন। যাত্রীদের চাপ বেড়েছে নৌপথে : ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে। আর মাত্র কয়েক দিন বাদেই শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। সে সময়ের উপচে পড়া ভিড় এড়াতে তাই অনেকে আগেভাগেই পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন প্রিয়জনদের কাছে। এ কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রত্যেকটি লঞ্চকে যাত্রীবোঝাই করে ঘাট ছাড়তে দেখা গেছে। সদরঘাটে আসা যাত্রী ব্যাংক কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ জানান, ঈদে নৌযাত্রার ভোগান্তি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। কারণ এখন টার্মিনাল ভবন অনেক বড় হয়েছে। বেড়েছে লঞ্চের সংখ্যাও। তবে টার্মিনালে প্রবেশের আগে যানজট ও মালামাল নিয়ে ঘাটকুলিদের টানাহিঁচড়ার বিষয়টি অসহনীয়। তিনি বলেন, সিএনজি অটোরিকশা থেকে সদরঘাটে নামতেই ৪ জন কুলি এসে তাদের ব্যাগগুলো টানাটানি করতে থাকে। তিনি অটোরিকশার ভাড়া মেটানোর সময় এক কুলি একটি ব্যাগ নিয়ে রওনা দেয়। পরে তার সঙ্গে থাকা শ্যালক ওই কুলিকে ফেরত নিয়ে আসেন। তিনটি ব্যাগ লঞ্চে তুলে দিতে কুলিরা ৬০০ টাকা দাবি করে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে বিআইডবি্লউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ জানান, কুলিদের কাজের ধরন অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করা আছে। এর চেয়ে কেউ বেশি দাবি করলে যাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ব্যবস্থা নেন। আইনশৃৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরাও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। বিআইডবি্লউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির জানান, ঈদে নৌপথের যাত্রীদের মূল স্রোত এখনো শুরু না হলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে চাপ বাড়তে শুরু করেছে। অন্যান্য সময় প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। এ সময় যাত্রীর চাপও খুব একটা থাকে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার ৯০টি লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে ঘাট ছেড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে জানান তিনি। এবার দুর্যোগপূর্ণ মৌসুমে ঈদ হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। তবে লঞ্চ মালিকরা এ বিষয়ে খুব একটা সচেতন নন বলে অভিযোগ রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডবি্লউটিএর এক কর্মকর্তা জানান, ঈদ প্রস্তুতি বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সেগুলো মানতে দেখা যাচ্ছে না লঞ্চমালিকদের। লঞ্চগুলোতে যাত্রী ওঠার জন্য সিঁড়িতে হাতল লাগানোর কথা থাকলেও কোনো লঞ্চেই তা করা হয়নি। সদরঘাট টার্মিনালের নতুন ভবনের নিচতলায় স্থাপিত টিকেট কাউন্টারগুলো থেকে টিকেট বিক্রিও করছেন না তারা। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ নিরাপত্তা সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে। রাখতে আগ্রহ নেই মালিকদের। যদিও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের সব চেষ্টাই করছেন তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App