বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে আজ মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তান। ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। এটি দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ এবং এ বিশ্বকাপে প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচ। বাছাই পর্ব উতরিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়া আফগানিস্তান এবার তাদের দ্বিতীয় বিশ^কাপ খেলতে ইংল্যান্ডে এসেছে। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ^কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। বিশ্ব আসরে নতুন হলেও এখন একটি পরিপক্ব দল আফগানিস্তান। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানরা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচই খেলেছে ২০১৫-তে অষ্ট্রেলিয়ার মাটিতে। এ ছাড়া ২০১২ সালে আরব আমিরাতে আরও একটি ওডিআই ম্যাচ খেলেছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপের সে ম্যাচটি একদমই সুখকর ছিল না। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অজিরা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়েছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অজি বোলারদের তোপে পরে ৩৭ ওভার ৩ বলে মাত্র ১৪২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল তাদের ইনিংস। ফলাফল ২৭৫ রানের বিশাল হার।
তবে আফগান শিবিরে এবারের চিত্রটা ভিন্ন। বিশ্বমানের সব খেলোয়াড়ে ঠাসা গুলবাদিন নাইবের দল। কয়েক বছর ধরেই রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নাবীরা দাপিড়ে বেড়াচ্ছেন ক্রিকেট বিশ্ব। রশিদ খান রয়েছেন বোলারদের র্যাঙ্কিং তালিকার এক নম্বরে। বোলিং এর পাশাপাশি তার ব্যাট জ¦লে উঠলে থামানো দায়। তাছাড়া দলে আছেন হযরতুল্লাহ জাজাই-এর মতো তুখোড় হিটার। তার দিনে যত বড় বোলারই হোক না কেন তার কাছে কোনো পাত্তাই পায় না। এক ওভারে ছয়টি ছয় মারার রেকর্ড রয়েছে এই হার্ড হিটারের। আফগানিস্তান তাদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করুণ পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। যদিও এই পরাজয়ের তেমন একটা প্রভাব পড়বে না অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে বলে মনে করেন দলপতি গুলবাদিন।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তাদের একমাত্র লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার দলে ফেরায় পূর্ণ শক্তির দলে পরিণত হয়েছে তারা। প্রস্তুতি ম্যাচের দুটোতেই জয় পেয়েছে। শিরোপার দাবিদার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ১২ রানে। দলে পেসার হিসেবে আছেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের মতো গতি দানব। তাই আফগানিস্তানকে হারানো তাদের কাছে তেমন একটি ব্যাপার হয়তো হবেও না। ক্যাঙ্গারুদের অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য কোনো প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিতে নারাজ। কারণ তার মতে সব দলেরই এবার যে কোনো দলকে হারিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।