×

অর্থনীতি

এলএনজি আমদানিতে ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি আসছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৯, ০৪:১৭ পিএম

এলএনজি আমদানিতে ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি আসছে
আগামী অর্থবছরের বাজেটে (২০১৯-২০) তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানিকে সাশ্রয়ী করার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকতে পারে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাজেটে ভর্তুকির আওতায় নতুন আইটেম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এলএনজি। স্থানীয় গ্যাস উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা এবং বেসরকারি ব্যবসায়িক গ্রুপ সামিট এলএনজি আমদানি করছে। যা সরকার নির্ধারিত মূল্যে গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) এলএনজি আমদানিতে সরকার ২৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার বলেছেন, আমদানি মূল্যের তুলনায় এলএনজি সরকার নির্ধারিত মূল্য কম। এ জন্য আমদানিকারকদের বিনিয়োগ উদ্ধারে ভর্তুকি প্রয়োজন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বিক্রয় মূল্য ও আমদানি মূল্যের মধ্যে বর্তমান প্রতি কেউবিক মিটারে ১ টাকা ঘাটতি রয়েছে। বিশ্ববাজারে এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে সরকার স্থানীয় বাজারে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে না দিলে এই ঘাটতি বাড়তে থাকবে। পেট্রোবাংলার মতে, গত ২৪ মে পর্যন্ত ৫৯৬.৫ এমএমসিএফএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। যা গত ২৪ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল ৩৫০.৫ এমএমসিএফ। গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেট্রোবাংলা নিয়মিত কাতারের রাসগাস থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল এবং সামিট-মিত্সুবিশি কনসোর্টিয়ামের সহযোগী সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লিমিটেড এই বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে এলএনজি আমদানি শুরু করে। শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে স্থানীয় গ্যাসের উৎপাদন কমার কারণে এলএনজির চাহিদা বাড়ছে। এখন চাহিদামাফিক এলএনজি সরবরাহ না করতে পারলে এই খাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। নতুন কোনো কূপ আবিষ্কার না হলে আগামী ২০৩৮ সালের মধ্যে বিদ্যমান গ্যাসের ভাণ্ড শেষ হয়ে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী বাজেটে ভর্তুকির সার্বিক বরাদ্দ ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা হতে পারে, যা চলতি অর্থবছরে ৩৭ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা ছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি মোট জিডিপির ১.৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে চেয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুতের জন্য ভর্তুকি ৩০০ কোটি টাকা থেকে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাড়বে। ফসলের উৎপাদন কমার কারণে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি বেড়ে ৪ হাজার ৬০৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছি। তবে আগামী বাজেটে ১০৪ কোটি টাকা কমে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল আগামী ১৩ জুন সংসদে জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App