×

জাতীয়

উন্নয়ন কাজে কোনো সমন্বয় নেই, বায়ু দূষণ বাড়ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০১৯, ১১:১৫ পিএম

পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বায়ু দূষণ’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা উন্নয়ন কাজে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় নগরীতে বায়ু দূষণ বাড়ছে বলে মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম পরিবেশ ভবনের হালদা সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, চট্টগ্রামে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। একটা রাস্তা দুই-তিন মাস পরপর কাটা হচ্ছে। আরাকান সড়কের এক পাশ গত দেড় বছর ধরে ওয়াসা কাটলো। এখন কেজিডিসিএল কাটছে। নগরীতে ওয়াসার তিনটি প্রকল্পের কাজ চলছে। একটা রাস্তা সুন্দর করে তৈরি করার পর ওয়াসা কাটছে। সরকারি প্রকল্প, সময়সীমা আছে। তাদের কাটতে দিতে হবে। প্রকল্প অনুমোদনের পরে তারা এসে বলে- কাটব। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে চসিক খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারছে না। আর এ কারণে সমন্বয় দরকার। সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, বায়ু দূষণের জন্য ধুলাবালি বড় কারণ। এখানে একটা রাস্তা বছরে তিনবার কাটা হয়। এই সমন্বয় কেন আমরা করতে পারি না? বিটুমিন দিয়ে রাস্তা করার সময় পোড়ানো হচ্ছে সিনথেটিক কাপড়। ভয়াবহ অবস্থা। চসিককে সমন্বয় করতে হবে। মানুষ শহরে আসে ভালো থাকার জন্য। কিন্তু এখানে মাস্ক পরতে হয়, গ্রামে তো পরতে হয় না। আমি ট্যাক্স দিব, আপনি নিরাপত্তা দেবেন। কিন্তু নিরাপত্তা বিঘিœত হবে তা তো হয় না।” সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে প্রচুর দূষণ হয়। পাশাপাশি অ্যাসফল্ট প্ল্যান্টের ধোঁয়াও। ঠিকাদারদের কাজের শর্তে যদি এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া যায় তাহলে বায়ু দূষণ অনেক কমবে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বাতাসে বস্তুকণা বড় হুমকি। ঠিকমতো ব্যবস্থা না নিলে আমাদের চীনের মতো অবস্থা হবে। সেখানে বিশুদ্ধ বাতাস কিনে নিতে হয়। মহেশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। এখানে শিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে যানজটও। জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে আর নগরীর আশপাশে ইটভাটা। এখনই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশের জিডিপির চার দশমিক তিন শতাংশ ক্ষতি হয়। বায়ু দূষণ কমাতে পরিবেশবান্ধব বৃক্ষরোপণ, শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দূষণ হ্রাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সেমিনারে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরীসহ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App