×

জাতীয়

সংগোপনে মুক্তির প্রক্রিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯, ১০:৫২ এএম

সংগোপনে মুক্তির প্রক্রিয়া
সহসাই মুক্তি পেতে পারেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যতম ডন হিসেবে পরিচিত শেখ মো. আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম। সংগোপনে চলছে তার মুক্তির প্রক্রিয়া। সাক্ষী-প্রমাণের অভাব এবং আইনের মারপ্যাঁচে তার নামে রুজুকৃত ১২ মামলার ১১টিই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এখন তার একটি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার অপেক্ষা। দুই দশকের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন নব্বই দশকের আলোচিত এই শীর্ষ সন্ত্রাসী। ঢাকার বিভিন্ন থানার চাঁদাবাজি, খুন, অবৈধ অস্ত্র বহনের অভিযোগসহ ১২টি মামলার আসামি সুইডেন আসলাম ২২ বছর আগে গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে ১১টি মামলাই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। বাকি আছে ২২ বছর আগে সংঘটিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের তখনকার সহসভাপতি মাহমুদুল হক খান গালিবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলা। তবে এই মামলায়ও জামিনে তিনি। কারাগারে থাকলেও তিনি এতটাই প্রতাপশালী, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকা-১২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে (বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) লোকজন দিয়ে নানাভাবে বিরক্ত করেন। তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেলে পাঠানো হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে রাজশাহী বা যশোর কারাগারে পাঠানো হয় বলে দাবি করেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সুপার মো. শাহজাহান। তবে রাজশাহী কারাগারের জেলার হাবিবুর রহমান ও যশোরের জেলার আবু তালেব এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। এমনকি আইজি (প্রিজন) এ তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে সুইডেন আসলাম কোন কারাগারে আছেন এ ব্যাপারে কারা অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাই সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভোরের কাগজকে জানান, টপটেরর সুইডেন আসলাম কোথায় কী অবস্থায় আছে তা তার জানা নেই। তার ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হবে। নির্বাচনের আগে বিরক্ত করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজরা সবাইকে বিরক্ত করে। তারা দেশ ও জাতির শত্রু । আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেছেন, তার বিষয়টি স্মরণে নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। কাশিমপুর কারাগারের (১ ও ২) সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার রায় বলেছেন, তার ওখানে আসলাম নেই। ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। তবে সুইডেন আসলাম কাশিমপুরের কোনো একটি কারাগারে আছেন বলে জানান তিনি। বরিশাল বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) তৌহিদুল ইসলাম (কয়েক মাস পূর্বে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন ছিলেন) বলেছেন, তার জানা মতে সুইডেন আসলাম কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে রয়েছে। সুইডেন আসলামের বিরুদ্ধে কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই। গালিব হত্যা মামলায় ধার্য তারিখে তিনি কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দেন। অত্যন্ত গোপনীয়তায় তিনি হাজিরা পরোয়ানা (পিডব্লিউ) প্রত্যাহারের সুযোগ খুঁজছেন। সব মামলায় যদি কোনো আসামি জামিনে থাকেন, তবে পিডব্লিউ প্রত্যাহারের আদেশ দেয়ার নজির রয়েছে। পিডব্লিউ প্রত্যাহারের আদেশ আদালত দিলে জেল কর্তৃপক্ষ কাউকে আটক রাখতে পারে না। এ জন্য কারাগার, আদালত, পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলে সুইডেন আসলামের লোক যোগাযোগ রাখছে বলে জানা গেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুবুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, দুর্ধর্ষ কোনো আসামি কারাগার থেকে বের হওয়ার আগে জেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবগত করে। তার ব্যাপারে করণীয় থাকলে পুলিশ উদ্যোগ নেয়। সুইডেন আসলাম বের হয়ে যাচ্ছে এমন কোনো খবর জেল কর্তৃপক্ষ এখনো পুলিশকে দেয়নি। অবশ্য অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সুইডেন আসলামের মামলাগুলোতে কোনো সাক্ষী পাওয়া যায় না। এ জন্য প্রায় সব মামলা থেকেই খালাস পেয়ে গেছে। তেজকুনিপাড়ায় যে বাসায় গালিব থাকতেন এবং যেখানে খুন হন তার দূরত্ব সামান্য। সরেজমিন ওই এলাকা ঘুরে ২২ বছর আগে সংঘটিত ওই খুনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কাছে তেমন তথ্য মেলেনি। গালিব হত্যা মামলা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন তৎকালীন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার (বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) শামীম হাসান। আলাপকালে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, মাহমুদুল হক খান গালিব তার বন্ধু ও ঠিকাদারি ব্যবসার অংশীদার ছিলেন। নিহত হওয়ার পর গালিবের পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় সাক্ষীরা ভড়কে যান। এর মধ্যে কিছু সাক্ষী ছিলেন অস্থায়ী বাসিন্দা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা আদালতে যেতে সাহস পাননি। এর মধ্যেও বেশ কয়েকজনকে আদালতে পাঠিয়ে সাক্ষ্য দেয়ানো হয়েছে। তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম বলেন, সুইডেন আসলাম কোনো সাধারণ ছিঁচকে সন্ত্রাসী নয়। সে অনেক শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর। তার দাপটে সাধারণ মানুষ কাঁপতেন। তখন ওই এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি বড় সন্ত্রাসী গ্রুপ ছিল। এর মধ্যেও গালিব হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন করা হয়। আসলাম সব মামলায় জামিন পেয়েছে। বিষয়টি সবার জন্য উদ্বেগের। তিনি বলেন, আসলামের পরিবার থাকে পূর্ব রাজাবাজারের বাসায়। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। অথচ ভয়ে ও নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার এলাকা ছেড়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ১৯৯৭ সালের ২৩ মার্চ গালিব নিহত হওয়ার দুই মাস পর হত্যা মামলার বাদী তার স্ত্রী শাহেদা নাসরিন শম্পা দুই সন্তান নিয়ে ৯৬, তেজকুনিপাড়া হোন্ডা গলির ভাড়া বাসা ছেড়ে আদাবর এলাকায় চলে যান। প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী হুমকিতে শঙ্কিত শম্পা বিচারের আশা ছেড়ে দিয়ে কানাডায় পাড়ি জমান। ঘটনার সময় তাদের দুই শিশু সন্তান ছিল। তারাও খোঁজ রাখে না মামলার। গালিবের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। লাশ দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে। গালিব খুনের ঘটনায় ওই বছরের ২৭ মার্চ শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী শাহেদা নাসরিন শম্পা। এর কয়েক দিন পর ২৬ মে ডিবি পুলিশ আসলামকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৯৮ সালের ৮ এপ্রিল সুইডেন আসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ পরিদর্শক এস এ নেওয়াজী। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০০১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সুইডেন আসলামসহ ২০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গালিব ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিতে নিজ বাসা (৯৬, তেজকুনিপাড়া) থেকে রওনা দেন। ১০০ তেজকুনিপাড়ার প্রধান গেট এলাকায় পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। ২০১১ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ-২ আদালতে গালিব হত্যা মামলাটি বদলি হয়। এ মামলায় ওই আদালতে কেউ সাক্ষী দিতে যাননি। ওই আদালতের বিচারক ছিলেন মোজাম্মেল হক। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটিতে ডিবির তৎকালীন ইন্সপেক্টর এস এ নেওয়াজী, পরিদর্শক মতিউর রহমান, তৎকালীন সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম (বর্তমানে ডিআইজি) ও তেজগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শাহ আলমসহ ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া এখনো বাকি আছে। মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদানকারী আসামি শাহীনের জবানবন্দি অনুযায়ী সুইডেন আসলামের নির্দেশে ও উপস্থিতিতে আসামি দেলু ও মাসুদ গালিবকে গুলি করে। আদালতের নথিতে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ এ মামলায় আদালতে হাজির হন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, শাহীন ও লিটন। শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম ছাড়াও আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিরা হলেন আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দুলাল ওরফে আবদুস সাত্তার, এস এম রফিকুজ্জামান রাকিব, মানিক, বদিউজ্জামান, আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার, নবী সোলায়মান, সাইফুল ইসলাম, শফিকুল আলম ফিরোজ, আজিজুর রহমান ওরফে কুত্তাচোরা লিটন, আরমান, ইমাম বাবু, আবু তাহের সিদ্দিক, এহসানুল হক রুবেল, শাইন কমান্ডো, দেলোয়ার হোসেন দুলু, সাদেকুল ইসলাম, ল্যাংড়া মাসুদ ও স্বপন। এ মামলায় কারাগারে আছেন সুইডেন আসলাম, কুত্তাচোরা লিটন, শাহিন ও আরমান। জামিনে আছেন বাদশা বদিউজ্জামান, মানিক, এহসানুল হক রুবেল, সাইফুল আলম, নবী সোলায়মান ও আনোয়ারুজ্জামান। পলাতক আছেন ৯ জন। যাদের গ্রেপ্তারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ। এ ছাড়া মাস্টার আবদুল ওয়াদুদ মারা গেছেন। সূত্র মতে, সুইডেন আসলামের মুক্তির ব্যাপারে ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠির একটি অনুলিপি দেয়া হয় আইজি প্রিজনকে। ওই চিঠিতে সুইডেন আসলাম কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার আগাম তথ্য পুলিশকে জানাতে আইজি প্রিজনকে অনুরোধ জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অন্য কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার আসামির মতো জামিনে মুক্ত না হয়ে আসলাম পরিকল্পিতভাবে অন্য মামলার আসামি হয়ে ঢাকার বাইরের যে কোনো কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করতে পারে। তার মুক্তি জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ওই চিঠির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আসলাম শেষ পর্যন্ত কারাগার থেকে বের হতে পারেননি। আসলাম কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে থাকা অবস্থায় কারা অধিদপ্তরের একাধিক অভিযানে তার কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছে। এমনকি তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হলে তা ঠেকাতে একাধিক রাজনৈতিক নেতা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তদবির করেছেন বলেও জানা গেছে। কারাগারে থেকে তিনি রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এমনকি প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলেন। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে একটি গোয়েন্দা সংস্থা তার মোবাইল ফোনে আঁড়ি পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তার ব্যবহৃত ফোনকলের তালিকাসহ গোপন প্রতিবেদন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে পাঠায়। পূর্ব রাজাবাজারের সুমন ওরফে চাকমা সুমন ওরফে কিলার সুমন, ব্যাটারি বাবু ওরফে কিলার বাবু, মণিপুরিপাড়ার বিআরটিসি কোয়ার্টারের আমজাদ হোসেন, পূর্ব রাজাবাজারের বাবু এবং কলাবাগানের সাবু আসলাম বাহিনীর সদস্য বলে পুলিশের নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। কে এই সুইডেন আসলাম : ১৯৮৬ সালে ফার্মগেটের পূর্ব রাজাবাজারে স্কুলের সামনে মায়ের হাত ধরে থাকা কিশোর শাকিলকে গুলি করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে কিছু দিন তিনি সুইডেনে অবস্থান করেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পর ‘সুইডেন’ শব্দটি নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হত্যা ও হত্যাচেষ্টার চারটি মামলায় আসলাম আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। একটি মামলায় পেয়েছেন অব্যাহতি। অস্ত্র আইনের দুটি মামলায় তার যাবজ্জীবন এবং ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অব্যাহতি পান। প্রসঙ্গত, পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফ গত বছরের ৩০ মে এবং ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ কুমার সাহা গোপনে কারামুক্তির পর লাপাত্তা হন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App