যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় শুরু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯, ১১:২৬ এএম
দলীয়প্রধানের পদ থেকে থেরেসা মের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর কে হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থ মে সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে গত শুক্রবার কান্না ভেজা চোখে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দলীয়প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার অর্থ তাকে প্রধানমন্ত্রিত্বও ছাড়তে হবে। আগামী ৭ জুন তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, সেক্ষেত্রে জুলাইয়ের মধ্যেই নতুন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে কনজারভেটিভ পার্টি। যতদিন দলীয়প্রধান নির্বাচিত না হবে ততদিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন মে। মে যে সপ্তাহে পদত্যাগ করবেন ওই সপ্তাহেই নতুন দলীয়প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ বিষয়ে টোরি ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে একমত হন মে।
এখন পর্যন্ত যে চারজন প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এবং সাবেক শ্রমবিষয়কমন্ত্রী এস্থার ম্যাকভি। আরো অন্তত এক ডজন নেতা দলীয়প্রধান হওয়ার দৌড়ে নামার বিষয়ে ভাবছেন বলে জানায় বিবিসি। যাদের একজন গ্রাহাম ব্রাডি, যিনি টোরি ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটি প্রধানের পদ ছাড়ার কথা আগেই ঘোষণা দেন। তবে এ দৌড়ে নামবেন না বলে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন বর্তমান শ্রমমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড। তিনি ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেন, মনে হয় না এখনো আমার সময় এসেছে।
নিজে না নামলেও বরিস জনসনকে সমর্থন দিতে যাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাড। তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে আগেও কাজ করেছি, আমরা একসঙ্গে কাজ করতে সক্ষম। টোরি এমপিরা আগামী ১০ জুনের মধ্যে নিজেদের নাম জমা দিতে পারবেন। যে কোনো এমপি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারবেন, শুধু পার্লামেন্টে তার ?দুজন সহকর্মী তাকে সমর্থন দিলেই হবে। তারপর শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া। বাছাইয়ে বাদ দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যখন দুজন থাকবেন তখন দলের সব সদস্য ভোট দিয়ে তাদের একজনকে বেছে নেবেন। গত বছর মার্চের হিসাব অনুযায়ী, কনজারভেটিভ পার্টির মোট সদস্য এক লাখ ২৪ হাজার।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে দলীয় সদস্যদের ভোটে ডেভিড ক্যামেরন দলীয়প্রধান নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয়প্রধান হন থেরেসা মে।