×

খেলা

জুয়াড়িদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আকসু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯, ১২:০০ পিএম

জুয়াড়িদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আকসু
দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ বিশ্বকাপ আসর। ইংল্যান্ড-ওয়েলসে আসরের পর্দা উঠতে বাকি আর ৪ দিন। তাই বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্বান্ত জানিয়েছে ক্রিকেটের অবিভাবক সংস্থা আইসিসি। এ বিশ্বকাপে কোন দল কোন রংয়ের জার্সি পরে খেলবে তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে আইসিসি। বিশ্বকাপে বিভিন্ন দলের একই রংয়ের জার্সি হওয়ায় ফয়সালার ভার বর্তায় সর্বোচ্চ সংস্থার ওপর। অন্যদিকে জুয়াড়িদের অবাধ বিচরণ ঠেকাতে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০ দেশের সঙ্গে থাকবে আইসিসির এন্টি করাপশন ইউনিটের (আকসুর) প্রতিনিধি। এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের জার্সি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। প্রথমে তৈরি করা জার্সি পছন্দ না হওয়ায় টাইগার ভক্তদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পরবর্তীতে জার্সিতে কিছুটা পরিবর্তন আনে বিসিবি। তবে এবার বিশ্বকাপে শুধু সবুজ জার্সি পরেই খেলবে না বাংলাদেশ দল, লাল জার্সিতেও দেখা যাবে বাংলাদেশ দলকে আইসিসির নতুন নিয়মের ফলে। ভারত, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার জার্সির রং নীল। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সির রং সবুজ। তাই তাদের একে অপরের বিপক্ষের ম্যাচে জার্সির রং যাতে এক না হয় সে জন্য আইসিসি এবার হোম-অ্যাওয়ে ব্যবস্থা করেছে। হোম ম্যাচে প্রতিটি দল নিজেদের মূল জার্সিটি পরবে। যেসব দলের জার্সির রং একই তাদের মধ্যকার খেলায় অ্যাওয়ে দল তাদের বিকল্প জার্সি পরবে। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের অ্যাওয়ে জার্সির রং লাল। ভারতের অ্যাওয়ে জার্সির রং কমলা। ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের অ্যাওয়ে জার্সি পরবে, যেহেতু সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড হোম টিম। বাংলাদেশ তাদের লাল জার্সিটি পরবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ লাল জার্সি পরবে। পাকিস্তানের অ্যাওয়ে জার্সির রংয়ের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গতকাল বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লাল জার্সিতে নিজের ছবি আপলোড করেন। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাওয়ে জার্সি হলুদ। যখন দরকার পরবে তখন তারা হলুদ জার্সি পরবে। নিউজিল্যান্ড (কালো), অস্ট্রেলিয়া (হলুদ) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (মেরুন) এই ধরনের কোন জার্সিজনিত সমস্যা নেই। তারা এক জার্সিতেই বিশ্বকাপে খেলবে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসর এলেই ম্যাচ গড়াপেটার দুর্নীতির শঙ্কা বেড়ে যায়। বাজিকরদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেটাররাও অনেক সময় প্ররোচিত হন স্পট ফিক্সিয়ে। গত এক যুগে এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে জেলও খেটেছেন কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার, ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক ক্রিকেটারের। তবে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। জুয়াড়িদের অবাধ বিচরণ ঠেকাতে এ বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দশ দেশের সঙ্গে থাকবে আইসিসির এন্টি করাপশন ইউনিটের (আকসুর) প্রতিনিধি। যারা নজর রাখবেন স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজম্যান্টের সদস্যদের ওপর। এ বিষয় আকসুর মহাব্যবস্থাপক আ্যলেক্স মার্শেল বলেন, আমি প্রতিটি স্কোয়াডের সঙ্গে আমাদের একজন কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। যারা পুরো পৃথিবীব্যাপী কাজ করে। তারা যে কোনোভাবে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। স্কোয়াডের সঙ্গে তারা সফরে যাবে। তারা দলের খেলোয়াড়, স্টাফ সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখবে। যাতে যে কোনো সমস্যায় ক্রিকেটাররা এসে বলতে পারে। জুয়াড়িদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্শাল বলেন, এই বিশ্বকাপ সব রকমের দুর্নীতি থেকেই মুক্ত। স্থানীয় পুলিশ ও ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করছে আকসু। আপনি কখনো কোনো আসরকে এই ফিক্সিং থেকে মুক্ত বলতে পারবেন না। কিন্তু যখন এর সঙ্গে জড়িতরা জানবে আমরা এ ব্যাপারে কতটা সতর্ক, প্রতিটি দলের সঙ্গে আমাদের একজন কর্মকর্তা আছে, যারা শুধু মাঠই নয়, মাঠের বাইরেও দলের সঙ্গে থাকবে তখন নিশ্চয়ই ওরা এটা থেকে দূরে থাকবে। এবারের বিশ্বকাপে বাজিকররা কোনোভাবেই প্রবেশ করতে পারবে না বলেও বিশ্বাস করেন আকসুর মহাব্যবস্থাপক। ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে আকসুকে সহায়তা করবে স্থানীয় পুলিশও। তাই কেউ যদি চেষ্টাও করে, তবুও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়াতে পারবে না বলে মনে করেন আইসিসির কর্মকর্তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App