×

মুক্তচিন্তা

অভিনন্দন নরেন্দ্র মোদি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৯, ০৮:১১ পিএম

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারো দিল্লির মসনদে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফের ক্ষমতায় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অন্যদিকে ২০১৪ সালের মতো এবারো ভরাডুবি হয়েছে ভারতের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের। আগামী ২৯ মে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা নির্বাচনে বিজয়ী বিজেপিসহ এনডিএ জোটকে অভিনন্দন জানাই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। প্রায় ৯০ কোটি ভোটারের এই নির্বাচন ছিল এক বিশাল মহাযজ্ঞ। সাত দফায় অনুষ্ঠিত ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হয় ২৩ মে।

প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৫৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫১টি আসন নিশ্চিত বলা যায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। বিজেপি একাই পেয়েছে ৩০৩ আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ৯১টি আসন পেয়েছে বলে খবর রয়েছে। এরই মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা জোটের জয়লাভের জন্য প্রয়োজনীয় আসন সংখ্যা ২৭২। এরই মধ্যে তিন শতাধিক আসনে জয় নিশ্চিত হওয়ায় নিরঙ্কুশভাবেই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপির এনডিএ জোট।

২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা ২৮২টি আসন পেয়েছিল। এর মাধ্যমে ১৯৮৪ সালের পর লোকসভা নির্বাচনে পরপর দুবার সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভের কৃতিত্ব দেখাল বিজেপি। কয়েক মাস আগে কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস।

তাই ধারণা করা হচ্ছিল, এবার লোকসভা নির্বাচনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে দলটি। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি। লোকসভা নির্বাচনে এবার বিজেপির সবচেয়ে বড় চমক ছিল পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যের অধিকাংশ আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস অধিকাংশ আসনে জয়লাভ করলে বা এগিয়ে থাকলেও ব্যাপক উত্থান দেখা গেছে বিজেপির। এখানকার ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়লাভ করেছে অথবা এগিয়ে রয়েছে ২২টি আসনে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দেশের জন্মলগ্ন থেকে।

দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নানা বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। দুই দেশের এই বন্ধুত্বের জেরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান এসেছে। এখনো কিছু বিষয় রয়েছে। তিস্তার পানি চুক্তি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। এগুলো সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। এগুলো মীমাংসায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App