বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের আগে বেশ আশা নিয়ে ইংল্যান্ড সফরে গেছে পাকিস্তান। নিজেদের ইংলিশ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ও পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে সফরকারীরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে (বৃষ্টির বাধায় ফল হয়নি একটি ম্যাচের) সিরিজ হারে সরফরাজ আহমেদের দল। এর আগে গত মার্চ মাসে পাকিস্তানকে ৫-০ ব্যবধানে অজিরা ধবলধোলাই করেছে। বিশ্বকাপের আগে টানা ম্যাচ হেরে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে খেলোয়াড়দের ব্যাটিং কিংবা বোলিং নয়, মাঠের বাজে ফিল্ডিং নিয়ে চিন্তিত কোচ মিকি আর্থার। কোচের মতে, ফিল্ডিংয়ে আরেকটু ভালো করতে পারলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজে দুই দলই ম্যাচে ৩০০ রানের বেশি তুলেছে।। তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা পেয়েছে ইংলিশরা। পাকিস্তানের কোচের মতে ফিল্ডিংয়ে ভালো করায় ম্যাচগুলো স্বাগতিকদের পক্ষে গিয়েছে। ইংল্যান্ডে ম্যাচ চারটিতে পাকিস্তান যথাক্রমে ৩৬১, ৩৫৮, ৩৪০ ও ২৯৭ রান সংগ্রহ করে। এ বিষয়ে আর্থার বলেন, আমাদের ফিল্ডিং খুব হতাশাজনক ছিল। এটাই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আপনি যদি সাউদাম্পটন ও নটিংহ্যামে ম্যাচ দুইটি লক্ষ্য করেন তো দেখবেন, শেষ ওভারে ম্যাচ দুইটি যে কোনো দলের পক্ষে যেতে পারত। এখানেও ফিল্ডিংই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছিল। এটাই (বাজে ফিল্ডিং) আমার চিন্তার মূল কারণ। তবে দলের ব্যাটিং নিয়ে আর্থার বলেন, সবাই বলে আমরা সচরাচর ২৮০ রান করার মতো দল। এটা আমাদের ব্যাটিং ইউনিটকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগায়। আমি এই বিষয়টাতে খুবই ইতিবাচক।বিশ্বকাপের মূল ম্যাচে আগামী ৩০ মে নটিংহ্যামে উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। তার আগে ২৪ মে আফগানিস্তান ও ২৬ মে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। আর্থার চোখ রাখছেন এই দুইটি ম্যাচেই। প্রস্তুতি ম্যাচ দুইটিতে ভালো ফিল্ডিং করে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চান তিনি। আর্থার বলেন, নিজেদের পুনরায় সুগঠিত করার জন্য আমরা সামনে আরও দুটি ম্যাচ পাচ্ছি। দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, তারপর আমরা মূল আসরে যাব। আমি ছেলেদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমাদের কিছু কিছু জায়গায় বেশ উন্নতির দরকার। আশা করি, সময়মতো সব অনুক‚লে চলে আসবে।