×

জাতীয়

বাজারে এখনো নিষিদ্ধ পণ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম

বাজারে এখনো নিষিদ্ধ পণ্য
নিম্নমানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংস করতে আদালতের নির্দেশের পরে সচেতনতা বেড়েছে ভোক্তা শ্রেণির মধ্যে। কিন্তু কিছু কোম্পানি বাজার থেকে তাদের পণ্য তুলে নিলেও অনেক দোকানে এখনো রয়ে গেছে নিম্নমানের বেশকিছু নিত্যপণ্য। গতকাল শনিবার রাজধানীর বেশ ক’টি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনো দোকানে দোকানে রয়ে গেছে ৫২টি নিম্নমানের পণ্যের বেশ কয়েকটি। রাজধানীর কাপ্তানবাজার, শান্তিনগর, কাওরানবাজার ঘুরে দেখা যায়, মোল্লা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের উৎপাদিত লবণ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (বিইওএল) রূপচাঁদা সরিষার তেল ও সিটি গ্রুপ তাদের তীর সরিষার তেল বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। তবে টিকে গ্রুপের পুষ্টি সরিষার তেল এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রাণ হলুদ গুঁড়া এখনো বাজারে রয়েছে। তবে কিছু কিছু দোকানে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন পণ্য থাকলেও বিক্রেতারা সেগুলো সরিয়ে রাখছেন। ক্রেতারা চাইলে এনে দিচ্ছেন। নিম্নমানের তালিকাভুক্ত পণ্যের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় ছিল মোল্লা সল্ট এবং এসিআই লবণ। অনেক দোকানে এই দুই ব্র্যান্ডের লবণ শোকেসে না থাকলেও ক্রেতারা চাইলে গুদাম থেকে এনে দিতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে অনেক বিক্রেতারা বলেছেন, কোম্পানির প্রতিনিধিরা এখনো সব পণ্য নিতে আসেনি। যার কারণে এখনো ফেরত দেয়া হয়নি। ক্রেতারা চাইলে বিক্রি করছেন। কাপ্তান বাজারের মুদি দোকানি রাজিব জানান, নিম্নমানের পণ্যের তালিকাভুক্ত প্রাণের প্রোডাক্ট এখানো আমাদের কাছে থেকে গেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে গুঁড়া মসলা নিয়ে যেতে কেউ আসেনি। এর মধ্যে মোল্লা সল্ট এবং তীর সরিষার তেল আমাদের কাছ থেকে তাদের পণ্য নিয়ে গেছে। সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজারে দেখা যায় প্রাণের হলুদ গুঁড়া রয়েছে। তুলে নেয়া হয়নি মোল্লা সল্টও। ওই বাজারের বিক্রেতারা বলেন, আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে আমরা অবগত। অনেক কোম্পানি এখনো তাদের পণ্য নিতে আসেনি। ফলে আমাদের দোকানে পণ্যগুলো থেকে গেছে। একই চিত্র শান্তিনগর বাজারের। ‘অনিক স্টোরে’ দেখা যায়, প্রাণের হলুদ গুঁড়া ও লাচ্ছা সেমাই এখানো রয়ে গেছে। পুষ্টি সরিষার তেলও দেখা যায়। অনিক স্টোরের ম্যানেজার ফয়সাল হক বলেন, কোম্পানি এলে এসব পণ্য দিয়ে দেয়া হবে। আমরা কোনো ক্রেতাকে এসব পণ্য নিতে বলছি না। তিনি জানান, এই বাজার থেকে শুধুমাত্র তীর সরিষার তেল তুলে নিয়ে গেছে। অন্য কোম্পানিগুলো এখনো আসেনি। এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইর এক উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। আদালতের নির্দেশের অনুলিপি হাতে পেয়ে আমরা প্রত্যেকটি কোম্পানিকে নোটিশ দিয়েছি। যেন দ্রুত সম্ভব বাজার থেকে পণ্যগুলো তুলে নেয়া হয়। এরই মধ্যে অনেকে তুলে নিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা মনিটরিং করছি। ঢাকার বাজার থেকে তীর তেল তুলে নিতে শুরু করেছে বলে জানতে পেরেছি। আশা করি, বাকিরাও দ্রুত তুলে নেবে। বাজারে ওইসব পণ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী সোমবার আমরা অভিযান আরো জোরদার করব। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ মে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় নিম্নমান প্রমাণিত হওয়ায় নামি দামি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২ ব্র্যান্ডের পণ্য জব্দ ও সেসব বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংসের নির্দেশ দেন আদালত। সেইসঙ্গে এসব পণ্য উৎপাদন বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App