×

অর্থনীতি

পোশাক খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি বিজিএমইএর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯, ১১:২৭ এএম

পোশাক খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি বিজিএমইএর
আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে পোশাক খাতের প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনের নেতারা বলছেন, পৃথিবীর কোনো দেশে রপ্তানিমুখী শিল্পে ভ্যাট নেই। এ ছাড়া নতুন বাজারে রপ্তানিতে থাকা নগদ সহায়তা অন্য বাজারেরও দেয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ব্যবসা করতে গিয়ে খেলাপি পোশাক মালিকদের জন্য তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএমইএ। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএমইএ। তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, কম্পোজিট ও প্যাকেজিং খাতের কোম্পানিগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসাবান্ধব পলিসি তৈরির পরামর্শ দিয়েছে বিজিএমইএ। সংগঠনটির মতে, দীর্ঘমেয়াদি পলিসি হলে প্রতি বছর এ জন্য এনবিআরের কাছে আসতে হবে না। পোশাক ব্যবসায়ীদের মতে, বর্তমানে পোশাক খাতের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। এ জন্য শতভাগ রপ্তানিমুখী এ খাতকে ভ্যাটমুক্ত করার দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে স্ট্যাম্প ডিউটি রহিতকরণ, করপোরেট কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়। সব রপ্তানিকারকরাই বিদেশ থেকে ডলার আনেন। তাই রপ্তানি খাতে বৈষম্য থাকা উচিত নয়। রপ্তানি খাতের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পলিসি করে দেয়া উচিত, যাতে প্রতি বছর বাজেটের আগে এনবিআরে এসে ধরনা দিতে না হয়। এ ছাড়া রপ্তানি খাতকে সম্পূর্ণরূপে ভ্যাটের আওতামুক্ত এবং বন্ডের অডিট অটোমেশন করতে হবে। ব্যবসায়ীরা এনবিআরকে বলেন, চাপ দিয়ে ব্যবসায়ীদের মেরে ফেললে দেশ এগোবে না। ব্যবসায়ীরা এনবিআরের চাহিদা অনুযায়ী ট্যাক্স দিতে পারতেন; কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় বাধা ব্যাংক ঋণের সুদের হার। দুর্বৃত্তরা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। আর যারা সৎভাবে ব্যবসা করছেন ঋণের সুদ দিয়ে তাদের এর খেসারত দিতে হচ্ছে। ব্যাংকের স্প্রেড না কমালে এবং মন্দ ঋণ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ঋণের সুদহার কমিয়ে আনা যাবে না। এ ছাড়া আসন্ন বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে যেসব ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে যাবেন তাদের জন্য ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার সময় একটি ব্যাংকিং গাইডলাইন বা এক্সিট পলিসি রাখার দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ। সংগঠনটির অভিযোগ, তৈরি পোশাক খাতের কোনো মালিক সমস্যায় পড়লে ব্যাংক তার সুবিধাগুলো কেড়ে নেয়। যে প্রতিষ্ঠান গত ২০ বছর যে ব্যাংককে সাপোর্ট দিয়েছে, বিপদে পড়লে সেই ব্যাংকই ওই প্রতিষ্ঠানকে ভুলে যায়। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের ভাবনায় আনা জরুরি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App