×

ফিচার

ঢিল দিয়ে ছাদে চিঠি ফেলে যেত-তানভীন সুইটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯, ০২:০২ পিএম

ঢিল দিয়ে ছাদে চিঠি ফেলে যেত-তানভীন সুইটি
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমরা যখন অভ্যস্ত ছিলাম না তখন চিঠিই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই চিঠিই কখনো বিনোদনের খোরাক জোগাত, কখনো ব্যথাতুর হৃদয়ে কান্না ঝরাত, কখনো উৎফুল্ল করত, কখনো করত আবেগে আপ্লুত। বিশেষ করে প্রেমের চিঠি পাওয়ার আকুলতা কিংবা চিঠি পড়ার আনন্দ সব কিছুই যেন আজ ম্লান। তারকার পাওয়া কিংবা লেখা প্রথম চিঠির গল্প নিয়েই ‘মেলা’র এই আয়োজন
চিঠির জন্য প্রতীক্ষা একটা সময় আমাদের দেশে চিঠিই ছিল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। দেখা যেত, বাড়ির সামনে দিয়ে কোনো ডাকপিয়ন গেলে তার কাছে কৌত‚হলবশত জানতে চাইতাম বাবার কোনো চিঠি আছে কি-না! বাবা তখন চাকরি করতেন ময়মনসিংহে; আমরা থাকতাম ঢাকার লালমাটিয়াতে। এবং ময়মনসিংহ থেকে তিনি আমাদের এক সপ্তাহ পরপর চিঠি লিখতেন। আমরা দুই ভাই-বোন তার চিঠি কবে আসবে সেই প্রতীক্ষায় থাকতাম। এ ছাড়া আরেক বোন থাকতেন দেশের বাইরে, সেও আমাদের চিঠি লিখতেন। অপেক্ষা ছিল বলে সম্পর্ক গভীর ছিল তখন একটা চিঠি আসতে কমপক্ষে আট-দশ দিন লেগে যেত; কিংবা তার চেয়েও বেশি দিন লাগত। এই সময়টা আমরা চিঠির অপেক্ষায় থাকতাম। আর চিঠিতে এতদিনের বিস্তারিত খোঁজখবর সব লেখা থাকত। এখনকার মতো ইচ্ছে করলেই হুট করে কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হতো না। তাই কাউকে মিস করে চিঠি লিখলে তার উত্তরের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। আমার মনেহয়, এই অপেক্ষা এবং প্রতীক্ষা ছিল বলেই সম্পর্কগুলো খুব গভীর হতো, গভীর ভালোবাসা থাকত। রিপনকে চিঠি লিখতাম তারপর চিঠির সঙ্গে যুক্ত হল ই-মেইল। তখন আমরা চিঠির পাশাপাশি ই-মেইল ব্যবহার করতাম। তবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে তখনো চিঠি জড়িয়ে ছিল। আমার স্বামীকে মেইলের পাশাপাশি আমি চিঠি লিখতাম। আমার সঙ্গে যখন রিপনের সম্পর্ক হলো, আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গে চিঠিতে যোগাযোগ করতাম। ও মাঝেমধ্যে ঢিল দিয়ে আমাদের ছাদে চিঠি ফেলে যেত। সেসব চিঠির কোনো কোনো চিঠি আবার হারিয়ে যেত, খুঁজতে গিয়ে পেতাম না। ভাবতাম সেই চিঠি পাখি নিয়ে গেছে। ‘চিঠি’ নাটকে অভিনয় নূরুল আলম আতিক আমাদের বন্ধু মানুষ, একজন চমৎকার লেখক; সেই সঙ্গে একজন ভালো পরিচালক। একদিন এক আড্ডায় তার ‘চিঠি’ নাটকের পরিকল্পনাটা আমার স্বামীকে জানায়, গল্প শুনে আমাদেরও ভালো লেগে যায়। তারপর আমরা দুজনে ‘চিঠি’ নাটকে কাজ করতে আগ্রহী হই। আতিকের নাটকে কাজ করতে গেলে মনের ভিতর একধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। গল্পের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে আমরা দুজন ওই নাটকে কাজ করেছিলাম।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App