×

জাতীয়

বরগুনায় রোগীর ছেলেকে পেটালেন ডাক্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০১৯, ০৮:৪৪ পিএম

বরগুনায় রোগীর ছেলেকে পেটালেন ডাক্তার

রোগীর ছেলেকে পিটাচ্ছেন ডাক্তার।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার উল্যার বিরুদ্ধে এক রোগীর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরেই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়। পরে ভিডিওটি সাংবাদিকদের হাতে আসে।

পারিবারক দ্বন্দ্বে মারধরে আহত হয়ে গত শুক্রবার (১০ মে) সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন দুলিয়া বেগম। পরে গত সোমবার (১৩ মে) সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলিয়ার জা রহিমা বেগম দুলিয়ার ছেলে জিলানীকে খবর দেন। জিলানী দ্রুত হাসপাতালের এসে তার মাকে মেজেতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নার্সদের ডেকে নিয়ে আসেন। নার্সরা চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহকে ডাকেন। চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ আসার পরে জিলানী তার মায়ের এ অবস্থার কথা জানতে চাইলে চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ জিলানীকে মারধর করেন। এসময় জিলানীর মাকেও লাঞ্ছিত করার ঘটনাও দেখা গেছে ভিডিওতে।

দুলিয়া বেগমের ছেলে জিলানী বলেন, মায়ের অসুস্থতার কথা শোনামাত্রই হাসপাতালে গিয়ে দেখি ডাক্তার আমার মাকে দেখতে আসেন। ডাক্তার আমাকে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বললে আমি বের না হওয়ায় আমাকে চর-থাপ্পড় মারতে থাকে। অভিযুক্ত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ বলেন, আমি ওই ছেলের মায়ের কাছ থেকে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে ওই ছেলে আমার ওপর আক্রমণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করেছি মাত্র।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প: প: কর্মকর্তা মাসুমুল হক খানের কাছে জানতে চেয়ে ফোন দিলে তার স্ত্রী মুঠোফোন রিসিভ করে জানান, তিনি ৩ দিনের ছুটিতে আছেন। আগামী রোববার ছাড়া তিনি কোনো কথা বলতে পারবেন না।

পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক বা মৌলিক অধিকার। মায়ের অসুস্থতার কারণে সন্তান ছুটে এসে কিছুটা অসৈজন্যমূলক আচরণ করলেও ডাক্তারের এ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল। একজন প্রথম শ্রেণির নাগরিক এরকম রোগীর ছেলের গায়ে হাত দিয়ে মারধর করা দুঃখজনক।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, এ রকমের ঘটনা আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি। তবে খোঁজ খবর নিচ্ছি। পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও’র ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি আমার কাছ থেকে মৌখিকভাবে ৩ দিনের ছুটি নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে এ রকম ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে একটি নিকৃষ্টতম ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই চিকিৎসক। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App