‘ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন টিম’ পুনর্গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদানকারী সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার সমন্বয়ে ২২ সদস্যের এই টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে। এনবিআরের একজন সদস্যকে এ টিমের আহবায়ক এবং প্রথম সচিবকে (কাস্টমস নীতি) সদস্য সচিব করা হয়েছে। গত ৯ মে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকে অধিকতর আকৃষ্ট করা তথা ব্যবসাবান্ধব বিনিয়োগ পরিস্থিতি অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগবান্ধব রাজস্বনীতি প্রণয়নে সহায়তা বা সুপরিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে এ টিম কাজ করবে। এতে আরো বলা হয়, গত বছরের ৩০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি টিম গঠন করা হয়। কিন্তু ওই টিমে সংশোধনপূর্বক নতুন টিম গঠন করা হলো। এ টিম জাতীয় বাজেট প্রণয়নের প্রাক্কালে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য এবং অর্থবছরের অন্যান্য সময়ে একই বিষয়ে বিনিয়োগ সহায়ক রাজস্বনীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে। শুল্ক-কর, মূসক ও আয়করবিষয়ক প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য অথবা অর্থবছরের অন্যান্য সময়ে একই বিষয়ে সুপারিশ করবে টিম। এ টিম প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম একবার সভা করবে। সভার লিখিত প্রস্তাব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবে। প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে টিম এবং প্রয়োজনে খাতভিত্তিক সংশ্লিষ্ট অংশীজন বা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বা বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিকে টিমের সভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। টিমে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি), সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি পাপলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিইউআইএলডির প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি, বিজিএমইএর প্রতিনিধি, বিকেএমইএর প্রতিনিধি, বিসিআইয়ের প্রতিনিধি, এমসিসিআইয়ের প্রতিনিধি এবং এফআইসিসিআইয়ের প্রতিনিধি। সূত্র জানায়, প্রতিবেশী ভারত, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, চীনসহ অনেক দেশ-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সফলতার পরিচয় দিচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ টানতে হলে এসব দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই বাংলাদেশকে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। বিনিয়োগকে প্রমোট করতে না পারলে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হবে না। তাই এ টিম গঠন করা হয়েছে।