×

সাময়িকী

রবীন্দ্রনাথের হাস্যরস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মে ২০১৯, ০১:৫৯ পিএম

রবীন্দ্রনাথের হাস্যরস
শান্তিনিকেতনের শিক্ষক নেপাল রায় হঠাৎ গুরুদেবের কাছ থেকে একটি চিঠি পেলেন। ‘কাল বিকেলে আমার এখানে এসো ও চা পান করে দণ্ড নিয়ো।’ চিঠি পেয়ে নেপালবাবু হতবাক! কী এমন অন্যায় করলেন যে গুরুদেব তাকে শাস্তি দেবেন। রায়মহাশয়ের মুখচোখ শুকিয়ে এতটুকু। যাহোক পরদিন যথাসময়ে উত্তরায়ণে গিয়ে গুরুদেবের সঙ্গে দেখা করলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে নানান প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালাতে লাগলেন। চা-এর সঙ্গে লোভনীয় খাবারও এল। নেপালবাবু ভোজনরসিক, কিন্তু খাবেন কী, বুকের মধ্যে ভয় লুকিয়ে আছে। কী জানি কী দণ্ড পেতে হয় আজ! অনেকক্ষণ গল্পগুজবের পর বেশ খানিকটা রাত হলো। গুরুদেব শাস্তির কথা কিছুই বললেন না। এক সময়ে নেপালবাবু উঠে দাঁড়ালেন। গুরুদেব তখন ভেতর থেকে একটা মোটা লাঠি এনে বললেন, ‘এই নাও তোমার দণ্ড, সেদিন যে এখানে ফেলে গিয়েছিলে তা একদম ভুলে গেছ।’ লাঠির গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে মনের ভার হালকা করলেন রায়মহাশয়। দুই. রবীন্দ্রনাথ উত্তরায়ণের বারান্দার এক কোণে টেবিল চেয়ারে বসে লেখায় মগ্ন। এক সাঁওতাল মেয়ে বাগানের ঘাস পরিষ্কার করে বিকেলে রবীন্দ্রনাথের পাশে এসে দাঁড়াল। রবীন্দ্রনাথ মুখ তুলে চাইতে সে বলল, ‘হ্যাঁ রে, তুর কী কুন কাজ নেই? সকালবেলা যখন কাজে এলাম দেখলাম এখানে বসে কী করছিস! দুপুরেও দেখলাম এখানে বসে আছিস আবার সনঝেবেলা আমাদের ঘরকে যাবার সময় হয়েছে এখনো তুই এখানে বসে আছিস, তুকে কী কেউ কুন কাজ দেয় না?’ রবীন্দ্রনাথ নিজেই এ গল্পটা বলে বলতেন, ‘দেখছ সাঁওতাল মেয়ের কী বুদ্ধি! আমার স্বরূপটা ও ঠিক ধরে ফেলেছে।’ তিন. পরিহাসপ্রিয় রবীন্দ্রনাথ একবার ঠাট্টা করে মৃণালিনী দেবীকে বললেন, ‘তোমরা আর কী রাঁধতে জান? আজ আমি তোমাদের একটা নতুন রান্না শেখাব।’ তারপর কিছু আলু কড়াইশুঁটি সিদ্ধ করে চামচের সাহায্যে ভালো করে মিশিয়ে ছোট ছোট গুল করে আধকড়া ঘিয়ে গেলেন ভাজতে। মৃণালিনী দেবী যত বলেন, ‘এভাবে ভাজা যাবে না, এতে কিছু বেসন দিতে হবে।’ রবীন্দ্রনাথ তত বলেন, ‘কেন হবে না? না হবার তো কোনো কারণ দেখছি না।’ তারপর গরম ঘিয়ে সেগুলো ছাড়ার পর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। মৃণালিনী দেবী হেসে বললেন, ‘হলো তো!’ কবিও হেসে বললেন, ‘আশ্চর্য! এ রকম হবার তো কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না।’ চার. রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় সে সময় শান্তিনিকেতনের গ্রন্থাগারের দায়িত্বে ছিলেন। রাতে বাড়িতে পড়াশোনার জন্য প্রতিদিনই গ্রন্থাগার থেকে এক বোঝা বই নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। একদিন বিকেলে এমনি বইয়ের বোঝা নিয়ে ফিরছেন। এমন সময় দূর থেকে কবিগুরুর ডাক শুনতে পেলেন, ‘ওহে বৈবাহিক, শোনো শোনো!’ প্রভাতবাবু অবাক। এ আবার কী! তাড়াতাড়ি গুরুদেবের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে বৈবাহিক বলছেন কেন?’ গুরুদেব হেসে বললেন ‘আরে সে বৈবাহিক নয়, আমি তোমাকে ডাকছি বই-বাহিক বলে।’ পঁচ. রবীন্দ্রনাথ তখন সবে কৈশোরে পা দিয়েছেন। একদিন তার এক বন্ধুকে বললেন, ‘জান, ব্রাহ্মসমাজ লাইব্রেরির পুরনো বই ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভানুসিংহ নামের এক মৈথিলী কবির পোকায়কাটা পুঁথি পেলাম। এই দেখ, আমি তার কয়েকটা কবিতা নকল করে এনেছি।’ এই বলে রবীন্দ্রনাথ কবিতাগুলো পড়ে শোনালেন। বন্ধু তো শুনে অবাক। ‘আরে চমৎকার কবিতা! এগুলো বিদ্যাপতি চণ্ডীদাসের লেখার থেকেও ভালো। আমাকে এগুলো দাও, অক্ষয়বাবু খুশি হয়ে এগুলো পুরনো কবিতার নতুন সংকলনে ছাপিয়ে দেবেন।’ কিশোর রবীন্দ্রনাথ তখন লজ্জিত হয়ে বললেন, ‘আসলে এগুলো আমারই লেখা। এ দেখো, তার খসড়াগুলো।’ যাহোক, কবিতাগুলো ‘ভানুসিংহ’ নামেই ‘ভারতী’ পত্রিকায় ছাপা হলো। সবাই পড়ে প্রাচীন কবি ভানুসিংহের প্রশংসা করতে লাগল। শুধু পরিচিত কয়েকজন জানতেন কবিতাগুলো পনেরো বছরের একজন কবির লেখা। তার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছয়. সাহিত্যিক বনফুল সস্ত্রীক রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। বনফুলের স্ত্রী ঘরের দুধ দিয়ে খানিকটা সন্দেশ তৈরি করে নিয়ে গেলেন গুরুদেবের জন্য। রবীন্দ্রনাথের হাতে সন্দেশের কৌটোটা দিতেই তিনি একটা সন্দেশ তুলে মুখে পুড়ে বললেন, ‘এ সন্দেশ তুমি ভাগলপুরে পেলে কী করে?’ গৃহিণীকে দেখিয়ে বনফুল বললেন, ‘ইনি করেছেন। আমাদের গাই আছে, তারই দুধ থেকে হয়েছে।’ রবীন্দ্রনাথ ক্ষিতিমোহন সেনের দিকে তাকিয়ে গম্ভীরভাবে বললেন, ‘এত বড়ো চিন্তার কারণ হলো!’ ‘কেন?’ ‘বাংলাদেশে দুটি মাত্র রসস্রষ্টা আছে। প্রথম দ্বারিক, দ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এযে তৃতীয় লোকের আর্বিভাব হলো।’ স্মিতহাস্যে উদ্ভাসিত হলো তাঁর মুখ। সাত. রবীন্দ্রনাথ একদল ছাত্রছাত্রী ও অতিথি পরিবেষ্টিত হয়ে বেড়াতে বেরিয়েছেন শান্তিনিকেতনের আশপাশে। ফেরার পথে হঠাৎ ‘গুম’ করে একটা শব্দ হলো। অনেকে কীসের শব্দ জিজ্ঞাসা করায় রবীন্দ্রনাথ গম্ভীরভাবে বললেন, ‘সাড়ে নয়টার তোপ পড়ল।’ তিনি যা বলতেন সবাই তা বেদবাক্য বলে বিশ্বাস করত। তিনি যে ঠাট্টাতামাশা করতে পারেন তা কেউ মনে রাখত না। একটি মেয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘কোথায় তোপ পড়ল?’ রবীন্দ্রনাথ গম্ভীরভাবেই বললেন, ‘ফোর্ট উইলিয়ামে।’ আট. রবীন্দ্রনাথ সদলবলে বেড়াতে গিয়েছেন। সঙ্গে নির্মলকুমারী মহলানবিশ, তাঁর স্বামী এবং আরো অনেকে। একদিন সবাই মিলে গেছেন কেনাকাটা করতে, খানিক পরে রবীন্দ্রনাথ লক্ষ করলেন নির্মলকুমারী নানা দোকান থেকে নানা সাইজের আবলুশ কাঠের হাতি কিনছেন। গুরুদেব নির্মলকুমারীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার, এত হাতি কিনছ কেন?’ নির্মলকুমারী লজ্জা পেয়ে বললেন, ‘তিনি (প্রশান্ত মহলানবিশ) এ ধরনের হাতি পছন্দ করেন।’ রবীন্দ্রনাথ তো রসিক মানুষ। স্থ‚লকায়া, শ্যামা নির্মলকুমারীর দিকে চেয়ে তিনি মজা করে বললেন, ‘এতক্ষণে বুঝতে পারছি প্রশান্তর কেন তোমাকে এত পছন্দ!’ নয়. একবার শান্তিনিকেতনে শারদোৎসবে নাটক অভিনয়ের আয়োজন হয়েছে। অভিনয়ের মহড়া হচ্ছে। ছাত্র, শিক্ষক, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সবাই-ই যোগ দিয়েছেন অভিনয়ে। একটি ছাত্রের তলব পড়ল মহড়ার জন্য। সে তখন জগদানন্দ বাবুর ক্লাসে অঙ্ক কষতে ব্যস্ত। রবীন্দ্রনাথের ভৃত্য সাধু সেই ক্লাসে গিয়ে জানাল গুরুদেব ছেলেটিকে মহড়ার জন্য ডাকছেন। জগদানন্দ ছেলেটির অঙ্কের দশা দেখে আগে থেকেই বিরক্ত হয়েছিলেন তাই সাধুচরণকে বললেন, ‘আমার ক্লাসের সময় ছেলেরা নাচানাচি করতে যাবে না। যাও, গুরুদেবকে গিয়ে বল, এখন ছেলেটাকে ক্লাস ছেড়ে যেতে দেয়া হবে না।’ সাধুচরণ কাঁচুমাচু মুখে ফিরে এসে দিনেন্দ্রনাথকে সব কথা জানাল। দিনুবাবু তো খুবই মুস্কিলে পড়েছেন, কারণ পাশেই বসে আছেন গুরুদেব, সব কথাই তাঁর কানে গেছে। কিন্তু অবাক কাণ্ড! তিনি যেন কথাগুলো বেশ উপভোগ করলেন। তারপর বললেন, ‘দিনু, আর এদিকে ঘেঁষে দরকার নেই, ব্রাহ্মণ চটে গেছে। ব্রাহ্মণের রাগ আগুনের মতো, সব ভস্ম করে দেবে!’ তবু দিনুবাবুর অস্বস্তি যায় না। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে মহড়ার কী হবে?’ রবীন্দ্রনাথ সঙ্গে সঙ্গে এক কৌশল বাতলে দিলেন। বললেন, ‘স্বয়ং জগদানন্দবাবুকেও শারোদৎসবের অভিনয়ে যোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ কর। তাহলে তাঁর সঙ্গে ওই ছেলেটাও মহড়া দিতে আসবে।’ জগদানন্দবাবু সেবার শারদোৎসব নাটকে লঙ্কেশ্বরের চরিত্রে অভিনয়ে করেছিলেন। তাঁর অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছিল। দশ. মংপুতে থাকার সময় নিয়মিত কবিকে প্রবাসী পত্রিকায় লেখা পাঠাতে হতো। একবার মধু নামক বিষয়টির ওপর একটা কবিতা লিখে পাঠিয়েছিলেন। কবিতা প্রকাশিত হওয়ার কিছুদিন পর এক বোতল মধু পার্শেল হয়ে এল মংপুতে। পাঠিয়েছেন গুরুদেবের এক অচেনা ভক্ত। রবীন্দ্রনাথ মৈত্রেয়ীদেবীকে সেটি দেখিয়ে বললেন, ‘দেখেছ তো, মধুর বিষয়ে কবিতা লেখার পর মধু আসছে।’ তখন আড্ডায় ঘর ভরতি লোক, রবীন্দ্রপুত্র রথীন্দ্রনাথ হঠাৎ কৌতুক করে বললেন, ‘এরচেয়ে আপনি যদি চাল, ডাল, তেলের ওপর কবিতা লিখতেন তবে চাল, ডালও ঘরে আসত। সংসার খরচ কিছুটা সাশ্রয় হতো।’ এমন সময় সুধাকান্ত রায়চৌধুরী বললেন, ‘ডাক্তার সেনও লুকিয়ে একটি মন্তব্য করলেন, তিনি বললেন মধুর কবিতা লিখে যদি মধু আসে, তাহলে মধুর বদলে বধুর কবিতা লিখতে পারতেন।’ কবি বললেন ‘মনোমোহন এ কথা বলে বুঝি? সাধু! এত উত্তম প্রস্তাব, ভেরি গুড সাজেশন।’ এগার. অনিলকুমার চন্দকে একবার ঠেকায় পড়ে ‘তাশের দেশ’ নাটকে অভিনয় করতে হয়েছিল। রুইতনের অভিনয়, খুবই সামান্য কটি কথা। তবু অনিলকুমার অভিনয় করতে আপত্তি জানালেন, কারণ তাঁর কথায় সিলেটি টান এসে যায়, তিনি মেঘকে বলেন ম্যাগ। রবীন্দ্রনাথ তখন ‘মেঘ’ শব্দের বদলে বসালেন কুয়াশা। একদিন মহড়া চলছে। এমন সময় বনমালী কেক হাতে নিয়ে উপস্থিত। জানাল, অমুক দিদিমণি ক্যাক করে পাঠিয়েছেন, আপনি একটু ক্যাক খান। কবি বললেন, ‘ওটা খেয়ে আমার কাজ নেই, যারা মেঘকে ম্যাগ বলে তাদের ক্যাক খাওয়াও গে।’ বলে কেকের থালা অনিলকুমারের দিকে এগিয়ে দিলেন। বার. রবীন্দ্রনাথ তখন থাকতেন দেহলীতে। একদিন দেহলী থেকে শালবীথির পথ ধরে তিনি চলেছেন লাইব্রেরির দিকে। তাঁর পরণে লম্বা গেরুয়া রঙের জোব্বা, মাথায় কালো টুপি। আশ্রমে তখন সদ্য এসেছে এক মারাঠী ছাত্র ভাণ্ডারে। কবিকে দেখামাত্র ভাণ্ডারে ছুটল তার দিকে। ছেলেটা আশ্রমে এসেছে দশ মিনিটও হয়নি। এরই মধ্যে কাউকে কিছু না জিজ্ঞাসা করে ছুটছে গুরুদেবের দিকে। ছাত্ররা তো অবাক। সবাই দেখল ভাণ্ডারে গুরুদেবকে কি যেন বলল। গুরুদেব অল্প অল্প হাসলেন, যেন মনে হলো তিনি কী নিয়ে অল্প অল্প আপত্তি জানাচ্ছেন আর ভাণ্ডারে তাঁকে চাপ দিচ্ছে। শেষে ভাণ্ডারে গুরুদেবের হাতে কী গুঁজে দিল। গুরুদেব মৃদু হেসে জোব্বার ভেতরে সেটা রেখে দিলেন। ভাণ্ডারে একগাল হেসে ফিরে এল, প্রণাম বা নমস্কার কিছুই করল না। ভাণ্ডারে ফিরে আসতে ছেলেরা সবাই তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসা করল, ‘গুরুদেবকে কী দিলি?’ ভাণ্ডারে তার মারাঠী হিন্দিতে বলল, ‘গুরুদেব কোন? ওহ তো দরবেশ হৈ।’ ছেলেরা সমম্বরে বলল, ‘না না, তিনি তো গুরুদেব।’ ‘ক্যা গুরুদেব, গুরুদেব করতা হৈ? হাম উসকো আঠান্নী দিয়া।’ ‘বলিস কীরে! আধুলি দিয়েছিস গুরুদেবকে?’ তারপর ছেলেটার পেট থেকে বের করা গেল আসল কথা। দেশ ছাড়ার সময় ভাণ্ডারের ঠাকুমা তাকে বলেছিল সে যেন সন্ন্যাসী, দরবেশকে দান দাক্ষিণ্য করে। ভাণ্ডারে ঠাকুমার কথামতোই দরবেশকে আধুলি দিতে গেছিল। দরবেশ অবশ্য প্রথমটায় একটু আপত্তি জানিয়েছিল, কিন্তু ভাণ্ডারে খুব চালাক, সহজে দমেনি, দরবেশের হাতে পয়সা গুঁজে দিয়েছে। ক’দিন আশ্রমে কাটানোর পর ভাণ্ডারে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের পরিচয় পেল। ততদিনে ভাণ্ডারের দৌরাত্ম্যে ছাত্র থেকে শিক্ষক সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ একদিন ভাণ্ডারকে ডেকে বললেন, ‘হ্যাঁরে, শেষ পর্যন্ত তুইও এসব আরম্ভ করলি? তোর মতো ভালো ছেলে আজ পর্যন্ত দেখিনি, আর তুই এখন এমন সব কাণ্ড আরম্ভ করলি যে, সবার সামনে আমাকে মাথা নিচু করতে হচ্ছে। মনে নেই, তুই দানখয়রাৎ করতিস, আমাকে পর্যন্ত তুই একটা পুরো আধুলি দিয়েছিলি? আজ পর্যন্ত কত ছাত্র এল গেল, কেউ আমাকে একটি পয়সা পর্যন্ত দেয়নি। সেই আধুলি আমি কত যত্নে তুলে রেখেছি। দেখবি?’ দেখতে আর হলো না। সেই থেকে ভাণ্ডারে শান্ত হয়ে গেল। পরবর্তী কালে সকালবেলায় বৈতালিকে সে নেতৃত্ব দিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App