×

খেলা

উইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল টাইগাররা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৯, ১২:৪৫ এএম

উইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল টাইগাররা
ডাবলিনের ক্লন্টার্ফ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ে শুরু করল মাশরাফি বাহিনী। আগের ম্যাচে দুর্বল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে উন্ডিজ যে ভীতি সৃষ্টি করেছিল টাইগার সমর্থকদের হৃদয়ে তা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন তামিম, সৌম্য, সাকিব এবং মুশফিক। উন্ডিজের ২৬১ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৪৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। টাইগার বোলার-ব্যাটসম্যানরা গতকাল তাদের নামের প্রতি সুবিচার করেছে। বল হাতে মাশরাফি, সাইফউদ্দিন এবং মোস্তাফিজ ঝলকে বেশি দূর যেতে পারেনি জেসন হোল্ডার বাহিনী। উইন্ডিজের চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে নেমে গুরুদায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করছেন দুই টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার এবং তামিম ইকবাল। এ জুটি ভাঙে ১৪৪ রানে। সৌম্য-তামিমের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে উন্ডিজ বোলাররা। ৬৮ বলে ৭৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলতে ৯ চার এবং এক ছক্কার সাহায্য নেন সৌম্য। ওপেনিং পার্টনার হারিয়ে খেই হারাননি তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। সৌম্যর মতো তামিমও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জানিয়ে ৮০ রানে আউট হন। এরপর সাকিব মুশফিককে নিয়ে বাকি কাজটুকু শেষ করলে সহজ জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। সাকিব ৬১ এবং মুশফিক ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। টাইগাররা তাদের প্রথম ম্যাচে বল হাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। এতে ভালো শুরু না হলেও শেষ দিকে টেনে ধরেন ইনিংসের লাগাম। ফলে ক্যারিবীয়রা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জড়ো করে ২৬১ রান। দলের পক্ষে এ দিনও শতক হাঁকান ওপেনার শাই হোপ। চোটের কারণে আগের ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরমার জন ক্যাম্পবেল মাঠে না নামায় হোপের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সুনীল আমব্রিস। তিনি ৩৮ রান করে মেহেদী হাসানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ইনিংসের ১৭তম ওভারে (দলীয় ৮৯ রান) মিরাজের বলে আমব্রিসকে তালুবন্দি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আমব্রিসের বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ডোয়াইন ব্রাভো। মাত্র ১ রান করে সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন, উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। তার বিদায়ের পর ওপেনার হোপকে নিয়ে দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন রস্টন চেজ। তবে বল হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মাশরাফি, সাকিবের মতো মিরাজও ছিলেন মিতব্যয়ী। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন হোপ ও চেজ। ৪০তম ওভারে চেজকে ৬২ বলে ৫১ রানে আউট করে জুটি ভাঙেন মাশরাফি। নিজের পরের ওভারে মাশরাফি সাজঘরে ফেরান সেঞ্চুরিয়ান হোপ (১৩২ বলে ১০৯ রান) ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে (২ বলে ৪ রান)। মাশরাফির এই দুর্দান্ত বোলিংয়েই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সেই প্রত্যাবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অভিষিক্ত শ্যান ডওরিচকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং জনাথান কার্টারকে মোস্তাফিজুর রহমান সাজঘরে ফেরান। শেষ দিকে কেমার রোচ ও অ্যাশলে নার্সও ফেরেন সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজের শিকার হয়ে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারানো দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬১ রান। বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি তিনটি, সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজ দুটি এবং সাকিব ও মিরাজ একটি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরা হন শাই হোপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App