নুসরাত হত্যা: শাকিল ছিল সিঁড়ি পাহারার দায়িত্বে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০১৯, ০৯:৩৩ পিএম
নুসরাত হত্যা মামলার আসামি শাকিল (ছবি: সংগৃহীত)।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি মহি উদ্দিন শাকিল। মঙ্গলবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
এসময় তিনি বলেন, আসামি মহি উদ্দিন শাকিল আদালতে বলে, হত্যাচেষ্টার ঘটনার দিন সে সাইক্লোন শেল্টারের সিঁড়ি পাহারার দায়িত্বে ছিলো। যাতে কেউ ছাদে উঠতে না পারে ও কিলিং মিশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। এছাড়া নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যাবতীয় যে পরিকল্পনা হয়েছে সব বিষয়ে সে জানত।
এর আগে ২ মে বৃহস্পতিবার আসামি শাকিলকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। আদালত মহি উদ্দিন শাকিলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী শহরের উকিলপাড়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। শাকিল সোনাগাজীর চর চান্দিয়া গ্রামের রহুল আমীনের ছেলে। সে নুসরাত জাহান রাফির সহপাঠী। আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিনের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দিতে শাকিলের নাম উঠে আসে।
গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যায়। শ্লীলতাহানির মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন সিরাজ উদ দৌলা। এ ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজ উদ দৌলাসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ১২ জন।