×

মুক্তচিন্তা

সমাজটা মাতৃতান্ত্রিক হোক না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০১৯, ০৮:৩৮ পিএম

আমি খুব নিশ্চিত হতাম আদি যুগের বা আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মতো সমাজটা যদি মাতৃতান্ত্রিক হয়ে যেত। হয়তো আমার এই স্বপ্ন পূরণ হবে না। তবে যে যুগে আমরা পা রেখেছি তাতে আমাদের নারীরা অতীতের সব অবস্থানকে অতিক্রম করে তাদের সামনে পড়া সব প্রতিবন্ধকতা জয় করতে পারবে। আমরা যে ডিজিটাল যুগের কথা বলি সেই যুগে বস্তুত পেশার দিক থেকে নারী-পুরুষের বিরাজমান বৈষম্যটাও থাকবে না। তবে সম্পত্তিতে নারীদের অধিকার এবং ঘরসহ কর্মক্ষেত্রে নারীদের উপযোগী পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করাটা রাষ্ট্রের একটি প্রতিশ্রুত দায়িত্ব।

গত ২৮ এপ্রিল আইন দিবসে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশের মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার নিয়ে যেসব প্রসঙ্গ তুলেছেন আলোচনাটি সেখান থেকেই হতে পারে। আমরা মুসলিম পরিবারে কন্যাদের পুত্রদের অর্ধেক সম্পত্তি দিয়ে থাকি। হিন্দু আইনে নাকি পুত্র থাকলে কন্যা কোনো সম্পত্তিই পায় না। স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর অধিকার নগণ্য। কিন্তু সম্পত্তির এসব অধিকারও মেয়েরা শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে পান না। প্রধানমন্ত্রী নিজের অভিজ্ঞতাসহ সামাজিক ও আইনগত অবস্থাগুলোর বস্তুত বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।

পুরুষশাসিত এই সমাজে সম্পত্তিসহ সব অধিকারের ক্ষেত্রে চরম নাজুক অবস্থায় বসবাসকারী নারীদের জীবনযাপনের অবস্থা দিনে দিনে চরমতম সংকটের দিকে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই আমরা নির্যাতন, অত্যাচার ও ধর্ষণের খবর পাচ্ছি। মাদ্রাসার শিক্ষক থেকে শুরু করে পাড়ার বখাটে পর্যন্ত সব স্তরের পুরুষরা নারীদের ঘরে-বাইরে-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনকি মাদ্রাসাতেও নিরাপদ রাখছে না।

কিন্তু তার মাঝেও বিপুল সফলতা আমাদের বাংলার মেয়েদের। আমাকে যদি কেউ কখনো জিজ্ঞেস করে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন কী- তা হলে আমি একেবারে চোখ বুজে উত্তর দেব যে সেটি হচ্ছে, এই দেশের নারী শিক্ষার অভূতপূর্ব উত্থান। এখন শিক্ষার সবকিছুতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এগিয়ে আসছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের সংখ্যা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি পাঁচ কোটির মতো এবং এর শতকরা ৫৩ ভাগ হচ্ছে মেয়ে। শুধু যে সংখ্যায় অর্ধেক মেয়ে তা নয়, আজকাল লেখাপড়াতেও মেয়েরা ছেলেদের থেকে ভালো করতে শুরু করেছে। যদি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয় তা হলে পরিবার থেকে সমাজ পর্যন্ত দেখা যাবে যে সুযোগ-সুবিধা হয়তো ছেলেরাই বেশি পাচ্ছে।

এক সময় আমরা পাকিস্তান নামক একটি দেশের অংশ ছিলাম। ভাগ্যিস সেই দেশটি থেকে সময়মতো আলাদা হয়েছি। সেই দেশে একটি মেয়ে লেখাপড়া করতে চেয়েছিল বলে তার মাথায় গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পশ্চিমারা তাকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে- কিন্তু পাকিস্তানিরা তাকে দেশেই থাকতে দেয়নি। প্রায় নিয়মিতভাবে সেই দেশে এখনো মেয়েদের স্কুল পুড়িয়ে দেয়া হয়। আমাদের দেশেও মেয়েদের চতুর্থ শ্রেণির ওপরে লেখাপড়া না করানোর, ঘর থেকে বের না করার দাবি করার মানুষের অভাব নেই। ওয়াজ মাহফিলে বস্তুত মেয়েরাই আসামির কাঠগড়ায় থাকে।

তারপরও আমাদের দেশে মেয়েদের এগিয়ে আসার চিত্রটা ঠিক তার উল্টো। দেশে ছেলে হোক মেয়ে হোক সবাই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। সময়মতো ঝকঝকে নতুন বই পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেয়ে হলে লেখাপড়া করার জন্য মাসে মাসে উপবৃত্তি পাচ্ছে। এক সময়ে পারিবারিক বা সামাজিকভাবে অনেকে মনে করত মেয়েদের শিক্ষক বা ডাক্তার হওয়াটাই বুঝি সহজ, তাই এই দেশে শিক্ষক এবং ডাক্তারের মাঝে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু যখন বাঙালিরা এই গতানুগতিক চিন্তা থেকে বের হতে শুরু করেছে তখন অন্য সব জায়গাতেও আমরা মেয়েদের দেখতে শুরু করেছি।

আমরা দেখেছি মহিলা পাইলট, কো-পাইলট আর ক্রুরা মিলে বিশাল বিমান ঢাকা থেকে উড়িয়ে লন্ডন নিয়ে গেছেন। ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক প্রথম পুরস্কারটি এনেছে মহিলা ক্রিকেট দল। পথে-ঘাটে মহিলা পুলিশ দেখে আমরা এত অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, আজকাল সেটি আলাদা করে চোখেও পড়ে না। সেনাবাহিনীতে মহিলারা আছেন। রাজনীতিতে দাপটের সঙ্গে আছেন মেয়েরা। বাংলাদেশের সবচেয়ে সাহসী কাজ ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশটিকে গ্লানিমুক্ত করা, সেই কাজটির জন্য এককভাবে কৃতিত্বটি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি একজন নারী। তিনি একটি দেশকে বিশ্বের মানচিত্রে সেরা দেশ হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তার একক নেতৃত্বের জন্য।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মহিলাদের কাজ করতে দেখে আমরা কিন্তু পুরুষ-মহিলার বিভাজনটি ভুলে যেতে শুরু করেছি। সবাইকেই মানুষ হিসেবে দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। কিন্তু পশ্চিমা জগতের মিডিয়া বিবিসি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের মতো সাপ্তাহিকী এখনো যথেষ্ট শিক্ষিত বা উদার হতে পারেনি। তারা আমাদের বর্তমান কিংবা আগের প্রধানমন্ত্রীদের এখনো অবমাননাকর ‘বেগম’ শব্দটি দিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, যারা বেগম শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয় তাদের এই শব্দটি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়।

আন্তর্জাতিক নানা ধরনের জরিপেও দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে মহিলারা যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছেন। সেগুলো দেখে কেউ যেন মনে না করে আমাদের দেশে মহিলাদের জন্য যা কিছু করা সম্ভব তার সবকিছু করা হয়ে গেছে। এটি মোটেও সত্যি নয়। খবরের কাগজে মাঝে মাঝেই আমরা মেয়েদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতনের খবর দেখি। যখনই এ রকম একটি খবর দেখব তখনই মনে মনে হিসাব করে নিজেকে বলতে হবে এই খবরটি খবরের কাগজ পর্যন্ত এসেছে।

এ রকম আরো অনেক খবর আছে যেগুলো খবরের কাগজ পর্যন্ত আসেনি। আমরা শুধু ধর্ষণ-গণধর্ষণসহ জাতীয় ভয়ঙ্কর খবরগুলোকে নির্যাতন হিসেবে দেখি। কিন্তু একজন মহিলা যখন একজন পুরুষ মানুষের সমান কাজ করে কম বেতন পান সেটিও যে এক ধরনের নির্যাতন, সেটি আমাদের মাথায় আসে না। যেসব মেয়ে পথে-ঘাটে চলাচল করে, বাসে ওঠার চেষ্টা করে তাদের সবারই প্রায় নিয়মিতভাবে পুরুষের অশালীন হাতের স্পর্শ সহ্য করতে হয়। একজন পুরুষ মানুষ যখন তার নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলে ঠিক সেই সময় একজন মহিলাকে সন্তান জন্ম দিতে হয়, তাকে বুকে আগলে বড় করতে হয়। কাজেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে মহিলাদের সংখ্যা কম। মহিলারা যেন পুরুষের পাশাপাশি সব জায়গায় আসতে পারে তার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। কিন্তু মহিলাদের সব জায়গায় সমঅধিকার পাওয়ার জন্য আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশের মেয়েরা কেন অন্য দেশের মেয়ে থেকে অনেক বেশি তেজস্বী সে ব্যাপারে আমার নিজস্ব একটা মতবাদ আছে।

১৯৭১ সালে এই দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছে, তুলনামূলকভাবে সেখানে পুরুষ মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। একটা সংসারে যখন পুরুষ মানুষটি মারা যায় তখন পুরো পরিবারটি পথে বসে যায়। কাজেই ১৯৭১ সালে এই দেশের অসংখ্য মহিলা আবিষ্কার করেছে তাদের সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। একজন মা তার সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত পর্যন্ত দিতে রাজি থাকেন। তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঘরের ভেতর আটকে থাকা স্বামীহারা মায়েরা ঘর থেকে বের হয়ে এসেছেন। সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য তারা পুরুষের পাশাপাশি নানা কাজে যুক্ত হয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন এবং সন্তানদের রক্ষা করেছেন। আমার ধারণা, এই কারণে আমাদের দেশের মহিলারা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি তেজস্বী। আমার এই থিওরিটি কতখানি সত্য আমি কখনো পরীক্ষা করে দেখিনি, কিন্তু আমার ধারণা এর মাঝে সত্যতা আছে।

আমাদের দেশের মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৯০৯ ডলার এবং সেটি প্রতিদিন বাড়ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু এখন এই দেশের অর্থনীতিকে সমীহ করে পাকিস্তান পর্যন্ত বাংলাদেশের মডেলের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। এই শক্ত অর্থনীতির একটা বড় অংশ এসেছে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি থেকে এবং এ খাতের শ্রমিক বেশিরভাগই নারী। কাজেই এই দেশে আমরা যদি নারীদের অবদানটুকু যথেষ্ট কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ না করি কেমন করে হবে? তাই এই দেশে যখন কেউ মেয়েদের নিয়ে কোনো এক ধরনের অসম্মানসূচক বা বৈষম্যমূলক কথা বলে তখন দেশের মানুষ যথেষ্ট বিচলিত হয়। সর্বশেষ বক্তব্যটি ছিল মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে। হেফাজতে ইসলামের আমির বলেছেন মেয়েদের প্রাইমারি স্কুলের বেশি লেখাপড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তা হলে মেয়েদের নিয়ে পুরুষেরা টানাটানি করবে।

বক্তব্যটি অবিশ্বাস্য। এর আগের বক্তব্যটিতেও দাবি করা হয়েছিল মেয়েরা তেঁতুলের মতো এবং তাদের দেখলেই পুরুষ মানুষের জিবে লোল চলে আসে। বক্তব্যগুলো মেয়েদের জন্য যেটুকু অবমাননাকর পুরুষদের জন্য তার থেকে অনেক বেশি গ্লানিকর। কেউ যদি এই কথাগুলো বিশ্বাস করে তা হলে ধরে নিতেই হবে পুরুষ মাত্রই বিকারগ্রস্ত এবং এক ধরনের অশালীন লোভাতুর দৃষ্টি ছাড়া অন্য কোনো দৃষ্টিতে তারা নারীদের দিকে তাকাতে পারে না। ফেসবুক, ইউটিউবে ইদানীং হুজুরদের ওয়াজে এমন কথাও শুনি যে স্বামীরা নাকি স্ত্রীকে যেভাবে খুশি নির্যাতন করতে পারে- এমনকি বেচেও দিতে পারে।

মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে বক্তব্যটি অবশ্যই যথেষ্ট আপত্তিজনক। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি সেটি নিয়ে বিশেষ দুর্ভাবনা করছি না। যে দেশে প্রায় আড়াই কোটি মেয়ে আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা করছে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিলে কোনো উন্মাদও সেটি গুরুত্ব দিয়ে নেবে না। প্রমত্তা পদ্মা নদীর সামনে কেউ একটা গামছা হাতে দাঁড়িয়ে যদি বলে সে এই গামছা দিয়েই পদ্মা নদীর পানিকে আটকে ফেলবে তখন কথাটা যে রকম হাস্যকর শোনাবে, এই কথাটাও সে রকম। এ দেশের মেয়েদের ওপর আমাদের অনেক বিশ্বাস। ওদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

বরং আমি দিনে দিনে দেশটিকে মাতৃতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চাই। দেশে মাতৃতান্ত্রিক বাঙালি পরিবার কবে বিরাজ করত, তা আমার জানা নেই। তবে আমার নিজের পরিবারের স্মৃতিগুলো আমাকে একটি মাতৃতান্ত্রিক সমাজের স্মৃতিই উপহার দেয়। আমার নানি তার পরিবারের কেবল কর্ত্রী ছিলেন না, আমার নানাকে দেখতাম নানির কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার সাহসও ছিল না। আমার দাদির কথা যদি স্মরণ করি তবে সেটাও প্রায় একই রকম। মক্তবে মুন্সীগিরি করা দাদার দরিদ্র সংসারে দাদিকে শূন্য হাতে সংসার শুরু করা থেকে তালুক কেনা পর্যন্ত যে দাপট দেখানোর গল্প মানুষের মুখে শুনি তাতে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গেই তাকে মনে রাখতে হয়।

আমার মাকে বাদ দিলে আর যাই হোক তার পাঁচ সন্তানের লেখাপড়া হতো না। আশপাশে যাদের দেখি তারাও তো আমার দাদি-নানি-মা ও স্ত্রীর রূপে রূপান্বিতা। মায়ের, স্ত্রীর ও কন্যার সংসারেও সেই ধারাবাহিকতাই দেখি। আমাদের নারীদের সফলতার কথা উঠলেই প্রথমে আমরা পোশাক শিল্পের কথা বলি। ঘর-সংসার চালিয়ে তারা যে পুরুষদের চেয়েও দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে পারে তার অসংখ্য নজির রয়েছে। আমার নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমাদের ডাক বিভাগে ৪০ জন নারী গাড়িচালক আছেন। অবাক হবেন এই ৪০ জনের একজনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভাঙার বা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ নেই। তারা সংসার করেই তাদের দায়িত্ব পালন করেন।

আমি খুব নিশ্চিত হতাম আদি যুগের বা আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মতো সমাজটা যদি মাতৃতান্ত্রিক হয়ে যেত। হয়তো আমার এই স্বপ্ন পূরণ হবে না। তবে যে যুগে আমরা পা রেখেছি তাতে আমাদের নারীরা অতীতের সব অবস্থানকে অতিক্রম করে তাদের সামনে পড়া সব প্রতিবন্ধকতা জয় করতে পারবে। আমরা যে ডিজিটাল যুগের কথা বলি সেই যুগে বস্তুত পেশার দিক থেকে নারী-পুরুষের বিরাজমান বৈষম্যটাও থাকবে না। তবে সম্পত্তিতে নারীদের অধিকার এবং ঘরসহ কর্মক্ষেত্রে নারীদের উপযোগী পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করাটা রাষ্ট্রের একটি প্রতিশ্রুত দায়িত্ব। সমাজকেও বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার: তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App