×

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৩ জেলায় চার জনের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০১৯, ১১:০৪ এএম

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৩ জেলায় চার জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে তিন জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক জন, বরগুনায় ২ এবং ভোলায় এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসময় আহত হয়েছেন আরো ৩৪ জন। আজ শনিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের কালিয়ার খাল এলাকায় ঘরচাপা পড়ে নুরজাহান বেগম (৬০) দাদি ও জাহিদুল ইসলাম (৮) নাতির মৃত্যু হয়েছে। মৃত নুরজাহান বেগম কালিয়ার খাল এলাকায় আব্দুল বারেকের স্ত্রী ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম বাঁধঘাট এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ইব্রাহিম হোসেনের বাড়িটি কাঠের ছিল। রাতে বাড়িটির একটি কক্ষে দাদি নুরজাহানের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল নাতি জাহিদুর। গভীর রাতে প্রচণ্ড ঝড়োবাতাস ও বৃষ্টিতে কক্ষটি ধসে পড়লে ঘটনাস্থলেই দাদি-নাতির মৃত্যু হয়। চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার ভোরে ঘুর্ণিঝড়ে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রানী বেগম ওই এলাকার সামসুল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন। অপরদিকে, নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সূর্বণচরের মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে আজ শনিবার ভোরে ফণীর অগ্রভাগ থেকে সৃষ্ট প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা। নিহত ও আহতদের নামপরিচয় এখনো জানা যায়নি। চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App