×

জাতীয়

 ঘুর্ণিঝড় ফণী : কুয়াকাটায় এখনও আশ্রয়ে কেন্দ্রে যায়নি মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০১৯, ০১:০২ পিএম

 ঘুর্ণিঝড় ফণী : কুয়াকাটায় এখনও আশ্রয়ে কেন্দ্রে যায়নি মানুষ
 ঘুর্ণিঝড় ফণী : কুয়াকাটায় এখনও আশ্রয়ে কেন্দ্রে যায়নি মানুষ
আজ সন্ধ্যার ঘুর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায়। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্যেগ উৎকন্ঠা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন মানুষকে আশ্রয়ে কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়নি। ব্যবসা বানিজ্য দোকান পাট এখনও পুর্বেও ন্যায় খোলা রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পর্যটকদের সমুদ্রে গোসল ও ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলার গুলো আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরসহ বিভিন্ন নদ নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে বর্তমানে ২-৩ ফুট পানি বেড়েছে সমুদ্র ও নদ নদীতে। সমুদ্র উপকূলের বেরীবাঁধের বাইরে থাকা সকল মানুষকে আশ্রয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুয়াকাটা পৌর মেয়রের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উদ্ধার তৎপড়তা নিয়ে সভা করা হয়েছে। সভায় পৌর কাউন্সিলর,হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ,পর্যটন হলিডে হোমস কর্তৃপক্ষ, ট্যুরিষ্ট পুলিশ,মহিপুর থানা পুলিশ,নৌ পুলিশ কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় স্কুল কলেজ,আশ্রয় কেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল গুলো দূর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য খুলে রাখার সিদ্দান্ত নেয়া হয়। পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও পানি মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা। ঘর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র উপকুলীয় এলাকা ও পায়রা বন্দও এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের গতি বারতে শুরু করছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে। কুয়াকাটায় অবস্থানরত পর্যটকদের সৈকতে নামতে এবং গোসল করতে মাইকিং করে নিষেধ করা হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে। আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে আজ সন্ধ্যার ঘর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে। সে লক্ষে ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক তৎপর দেখা গেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। সিপিপি সদস্যরা দিনরাত গ্রামে গ্রামে গিয়ে মাইকিং করে যাচ্ছেন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার জন্য। পটুয়াখালী সমুদ্র উপকুলীয় এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ১৩ টি মেডিকেল টিম গঠন এবং ১৫৪টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ফনীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড, পুলিশ ,ফায়ার সার্ভিসসহ সেবাদানকারী সংস্থার কর্মকর্তারা অংশগ্রহন করেন। সভায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার আগেই দুর্গত এলাকা থেকে যেন মানুষদের সরিয়ে নেয়া যায় এবং সকল সাইক্লোন শেল্টার গুলো ব্যবহার করা যায় সে জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে জানানো হয়েছে জেলায় ৩৯১টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১১১টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। খাবার মজুদ রয়েছে। সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিপিপি’র প্রায় ৬৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সাধারন জনগনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার আহবান জানাচ্ছে। এছাড়া জেলা খাদ্য বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসকে দুর্যোগ পরবর্তী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। সেনাবাহিনীর চারটি টিম জেলার ৮টি উপজেলা দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করবে বলে সভায় জানাননো হয়। এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর রহমান সাংবাদিকদের জানান, দূর্যোগ মোকাবেলায় উদ্ধার কাজের জন্য আমাদের সকল প্রস্ততি হাতে নেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার মেডিকেল টিম সাইক্লোন সেন্টার গুলি প্রস্তত করা এমনকি কুয়াকাটাটার ছোট বড় আবাসিক হোটেল গুলো খুলে রাখার জন্য বলা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App