×

জাতীয়

ঘুর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় টেকনাফে আগাম প্রস্তুতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মে ২০১৯, ০১:১৩ পিএম

ঘুর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় টেকনাফে আগাম প্রস্তুতি
ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ শক্তি সঞ্চার করে অগ্রসর হওয়ায়, দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় স্ব-স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত থাকায় সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল না করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিপি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইউএনও অফিসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক চলছে। ইতোমধ্যে সিপিপি সদস্যদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তা আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App