নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সোহেলী বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহতের গলা ও গালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর স্ত্রী হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামী রাব্বি মিয়াকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার নন্দলালপুর নাককাটার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত সোহেলী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের ভ্যানচালক সিরাজ সিকদারের মেয়ে।

সিরাজ সিকদার জানান, সোহেলী ও রাব্বি মিয়া নন্দলালপুর এলাকায় অবস্থিত প্রাইম টেক্সটাইলে কাজ করতো। এতে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এ পরিচয়ে রাব্বি মিয়া তার বাবা মাকে দিয়ে সোহেলীর বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় আমাদের কাছে। এসময় ভালোভাবে তাদের খোঁজখবর না নিয়েই বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হই এবং বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী নন্দলালপুর নাককাটার বাড়ি এলাকার হানিফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে। এরপর সোহেলী চাকরি ছেড়ে দেয়। রাব্বিও চাকরি ছেড়ে রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করে। তাদের ভাড়া নেয়া বাড়ির পাশে দেলোয়ার মিয়ার বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া থাকি আমি।

তিনি আরও জানান, সকালে আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি সোহেলীর নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে আর রাব্বি কিছুটা দূরে বসে আছে। এসময় দ্রুত সোহেলীকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলীকে মৃত ঘোষণা করেন। সোহেলীর গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে এবং চড়-থাপ্পরে গাল ফুলে আছে। রাব্বি মিয়ার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানি না।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই আব্দুল করিম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ও গালে আঘাতের দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গৃহবধূকে প্রথমে মারধর করেছে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যার কারণ জানা যাবে। নিহতের স্বামী রাব্বি মিয়াকে আটক করা হয়েছে।